স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনারের শক্ত নির্দেশ থাকার পরও ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের কুরবানীর পশু ব্যবসায়ীদের জন্য এবং কুরবানীর হাটে ন্যূনতম নিরাপত্তাও বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন?
সড়ক ও নৌপথে পশুবাহী যানগুলোতে চলছে চাঁদাবাজি-ডাকাতি চাঁদা না দিলে হত্যার ঘটনাও ঘটছে কুরবানী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে।
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৮ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
কুরবানীর পশুবাহী ট্রাক রাস্তায় কোথাও থামানো যাবে না- এই নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই বক্তব্য দিয়েছেন পুলিশের আইজিপি এবং ঢাকাসহ চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারও। এর উদ্দেশ্য যাতে কোনোভাবে চাঁদাবাজির শিকার না হন গরুর বেপারিরা। কিন্তু বেপারিরা জানিয়েছেন, রাস্তায় চাঁদাবাজির চেয়েও তারা বেশি আতঙ্কে আছেন জোর করে হাটে গরু নামানো নিয়ে। পথে পথে এখন তৎপর নানা হাটের ইজারাদারদের ‘গরু শিকারি’।
ঢাকার দুই সিটিতে এবার মোট ১৬টি গরুর হাট বসেছে। এরমধ্যে গাবতলীসহ দুইটি স্থায়ী আর ১৪টি হাট অস্থায়ী। আর সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো কোরবানির পশুর হাট বসবে। এইসব হাটের ইজারাদাররা পশু বিক্রির পর হাসিল ( খাজনা) আদায় করে বিপুল অর্থ আয় করেন। আর সেই জন্যই কোরবানির পশুর ট্রাক নিয়ে টানাটানি। পশুর হাটগুলোর ইজারা ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের বাইরে কারো পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
তাই ট্রাক থামিয়ে রাস্তায় পুলিশসহ স্থানীয় রাজনৈতিকনেতা, মাস্তান, শ্রমিক নেতাদের চাঁদা আদায়ের চেয়েও গরুর ট্রাক থামিয়ে ইজারাদারদের পছন্দের হাটে যাওয়াই কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের জন্য এখন বড় আতঙ্ক।
বেপারীরা জানিয়েছেন,"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললে কী হবে। তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। পথে পথে অসহ্য যন্ত্রণা। মহাসড়কের পাশে পশুর হাটের লোকজন গরুর ট্রাক থামানোর জন্য ওঁৎ পেতে থাকে। নানাভাবে তাদের ম্যানেজ করতে হয়। মারধোরও করে। অনেকে আসতে পারেন না। পথের হাটেই গরু নামাতে বাধ্য হয়। চাঁদা দিয়েও কাজ হয় না। গরু নামাতেই হয়।’’
এগুলো পুলিশ দেখে কী না জানতে চাইলে বেপারিরা জানিয়েছেন, "পুলিশ তো ইজারাদারদের লোক। যত হাট ইজারা হয়েছে সবগুলোর সঙ্গেই পুলিশ আছে। তারা ভাগ পায়। এখন আর আগের মতো গরুর ট্রাক থামিয়ে পুলিশ তেমন চাঁদা নেয় না। তারা ইজারাদারদের সঙ্গে থেকে ভাগ নেয়।’’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মন্তব্য করেছেন, ‘‘ধরুন বগুড়া থেকে ঢাকার গাবতলি গরুর হাটে কোরবানির পশু নিয়ে একটি ট্রাককে কমপক্ষে ৩০ জায়গায় থামানো হয়। এর বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য চাঁদা আদায়। এই দূরত্বে কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়।” তার কথা, এই চাঁদা শুধু পুলিশ নয়, স্থানীয় মাস্তান, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ইউনিয়ন, পৌরসভাসহ নানা নামে তোলা হয়। এট রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
গরুর বেপারিরা জানান, এই জোর করে হাটে নিতে গিয়ে অনেক সময় গরু ট্রাক থেকে পড়ে যায়। গরুর পা ভেঙে যায়। অতীতে গরুর ট্রলার ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনাও আছে। এর ফলে, তারাপছন্দের হাটে গরু নিতে পারেন না। ক্ষতি পোষাতে গরুর দাম তাদের বেশি চাইতে হয়। আর বিক্রি করতে না পারলে ইজারদারদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
কুরবানীর পশুর হাটে পশু ব্যবসায়ীরা প্রায় সময় টাকা লেনদেন করতে গিয়েও বিপাকে পড়ে। অনেক সময় ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি ও মলমপার্টির সদস্যরা সুযোগ বুঝে পশু ব্যবসায়ীদের নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন করে তাদের টাকা পয়সা সব হাতিয়ে নিয়ে যায়। তারা পশুরহাট থেকে বাইরে হোটেলে ভাত-নাস্তা খেতে গেলে সেখানে অপরাধী চক্রের খপ্পড়ে পড়ে সব কিছুই হারিয়ে ফেলে। এসব কারণে পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় খাবার হোটেল ও টাকা লেনদেনের জন্য পশুর হাটে আমরা অস্থায়ী ব্যাংক স্থাপনের প্রস্তাব করছি।
আমরা আরো মনে করি, সুষ্ঠু ও সহজভাবে কুরবানীর সম্পন্নের স্বার্থে সরকারের উচিত- পশুর হাটের স্থান নির্ধারণে রাজধানীতে জরিপের মাধ্যমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কুরবানীর পশুর হাটের নতুন এলাকা/স্থান নির্ধারণ করা। নগদ অর্থ লেনদেন হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের বুথ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া। প্রতিটি পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন রাখার ব্যবস্থা করা। এছাড়া নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য কুরবানীর পশুর হাটের ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং হাসিলমুক্ত হাটের ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত সমালোচক মহল মনে করছে, যথাযথভাবে ও মহাসমারোহে পবিত্র কুরবানী পালনের পৃষ্ঠপোষকতা করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। এদিকে কুরবানীর ক্ষেত্রে জনগণেরও পুরা আন্তরিকতা নেই। জনগণ এসব বিষয়ে একদিকে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানায় না। পাশাপাশি সরকারের উদাসীনতার বিপরীতে কোনো প্রতিবাদও করে না। অথচ বাংলাদেশের সাংবিধানিক দ্বীন হচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম। কাজেই কুরবানীর মতো সম্মানিত ইসলামী অনুষঙ্গের প্রতি অবহেলা করলে সরকার ও জনগণ উভয়েই যুগপৎভাবে দায়ী হবে। উভয়কেই সঙ্গতকারণে দ্বীন ইসলামপ্রবণ হতে হবে। কুরবানী সম্পর্কে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে এবং কুরবানীর হাট, পশু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিভাত করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












