ছবি নয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে এনআইডির দাবীতে দেশব্যাপী পর্দানশীন নারীদের আন্দোলন অব্যাহত:
হবিগঞ্জ, পাবনা, ফেনী, নরসিংদীর পর জয়পুরহাটেও পর্দানশীন নারীদের সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান
, ০৩ রা শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর
এনআইডিতে (জাতীয় পরিচয়পত্র) মুখচ্ছবি বাধ্যতামূলক না করার দাবিতে আরও একাধিক জেলায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন পর্দানশীন নারীরা।
সংবাদাতারা জানিয়েছেন গত ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) হবিগঞ্জ জেলা সদর জজকোর্টের সামনে পর্দানশীন নারীগণ সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষা অফিসার এবং নির্বাচন অফিসার বরাবর স্বারকলিপি জমা দেন।
ফেনী জেলা সদর শহীদ মিনারের সামনেও একই দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচন অফিসে স্বারকলিপি জমা দেয়া হয়।
পাবনা জেলা সদর লতিফ টাওয়ারের সামনেও এনআইডিতে ছবির বদলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট চালুর দাবিতে সমাবেশের খবর জানিয়েছেন আমাদের সংবাদদাতা। এখানে তারাও নির্বাচন ও শিক্ষা অফিসার বরাবর স্বারকলিপি জমা দেন।
নরসিংদী জেলা সদর উপজেলার সামনে সংবাদ সম্মেলন শেষে ডিসি অফিসসহ নির্বাচন অফিস এবং শিক্ষা অফিসার বরাবর সরাসরি স্বারকলিপি জমা দিয়েছেন পর্দানশীন নারীগণ।
গতকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) জয়পুরহাট জেলা সদর ডিসি অফিসের সামনে সমাবেশ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শতাধিক পর্দানশীন নারী। সমাবেশ শেষে তারা পরে নির্বাচন অফিস, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর সরাসরি স্বারকলিপি জমা দেন।
এ সকল সমাবেশে পর্দানশীন নারীরা অভিযোগ করে বলেন, ইসির কিছু কর্মকর্তা শুধু মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছেন, যা একধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ। এতে পর্দানশীন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশে শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষ মুসলমান। তারপরও এই দেশে পরিপূর্ণ পর্দা করতে গেলে পর্দানশীন নারীদের প্রতিনিয়ত নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে সরকারি-বেসরকারি প্রতি ক্ষেত্রে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। পর্দানশীন নারীদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক ও নাগরিক অধিকার আটকে রেখে ছবি তুলতে ও চেহারা দেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
পর্দানশীন নারীরা এত দিন তাদের কষ্টের কথাগুলো বলতে পারেননি। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে এমন দাঁড়িয়েছে, পর্দানশীন নারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা আর চুপ থাকতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়েছেন রাস্তায় নামতে। তাদের কষ্টের কথাগুলো সবাইকে জানাতে। অসংখ্য পর্দানশীন নারী এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি। এসব নারীর পিতা-মাতা বাংলাদেশি এবং তারা নিজেরাও বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তা সত্তে¦ও শুধু পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
সমাবেশে অংশ নেয়া নারীরা বলেন, গত ১৬ বছর ধরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সাবেক কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধু মুখচ্ছবি না তোলার অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখেছে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। মুখচ্ছবির অজুহাত দিয়ে সেসব নারীর এই অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। নারীরা বেপর্দা হলে শিক্ষা পাবে, নয়তো পাবে না- এমন অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, একজন নারী ছবি তুললে দুটি গুনাহ হয়; একটি ছবি তোলার গুনাহ, অন্যটি বেপর্দা হওয়ার গুনাহ। আবার ওই ছবিটি পরবর্তী সময়ে যতজন বেগানা পুরুষ দেখবে, বেপর্দা হওয়ার গুনাহ তত বাড়তেই থাকবে। এমনকি মৃত্যুর পরও ওই ছবির কারণে বেপর্দার গুনাহ জারি থাকবে। পর্দানশীন নারীরা সেই গুনাহ থেকে বাঁচতে চান। কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রে মৌলিক অধিকার আটকে রেখে পর্দানশীন নারীদের গুনাহ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তার ধর্মীয় বা দ্বীনি অধিকারের লঙ্ঘন।
কর্মসূচি থেকে পর্দানশীন নারীদের পক্ষে কয়েকটি দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো- ১৬ বছর ধরে যেসব সাবেক ইসি কর্মকর্তা পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা; পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণœ রেখে অবিলম্বে এনআইডি ও শিক্ষা অধিকার প্রদান করা; সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা ও ছবি মেলানোর সেকেলে পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা। এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ায় সময় পুরুষ নয়, নারী সহকারী বাধ্যতামূলক রাখা।
এ সকল সমাবেশে দেশের বিপুল সংখ্যক পর্দানশীন মুসলিম নারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পর্দানশীন নারীদের এই দাবির সাথে সহমত পোষণ করে তাদের দাবিকে বাস্তবায়নের দাবি করেছেন দেশের আপামর দ্বীনদার জনতা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পাথরবোঝাই ট্রাক উঠতেই ভেঙে পড়লো ব্রিজ, দুই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘বন্ধ হওয়া চিনিকলগুলো পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছি’
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বন্দর রক্ষার আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, হতে পারে শিলাবৃষ্টিসহ বজ্রঝড়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অনলাইনে ইনভেস্টমেন্টের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা আদায়, প্রতারক গ্রেপ্তার
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফরিদপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত, আহত ৫
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নতুন ঘোষণা
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘তারেক রহমান ৫ আগস্টের পর দেশে এলে অনেক কিছুই ঘটত না’
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘তারেক রহমান বাংলাদেশের ভোটার কি না, এ প্রশ্ন অবান্তর’
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনেই খালেদা জিয়ার রোগের সূচনা’
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করা হবে’
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের শপথ -সালাউদ্দিন
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












