খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
হে ঈমানদাররা! তোমরা ছদিক্বীন বা সত্যবাদী অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো। প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন।
যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্যই ফরয- একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ছোহবত ইখতিয়ার করে ও নিয়মিত সবক আদায় করে ইছলাহ ও নিসবত হাছিল করা।
, ২৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলম অর্জন করা ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন। ” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ইলম অর্জন করা ফরয। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মানুষের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সেটা আলাদা মাসয়ালা। কিন্তু শর্ত হচ্ছে ঈমানের সাথে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি করা যাবে না। ঈমানের সাথে যেতে হলে ইলম অর্জনের সাথে সাথে একজন হক্কানী-রব্বানী মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হয়ে তরীক্বা অনুযায়ী যিকির-আযকার করতে হবে। তরীক্বার প্রাথমিক যিকির, পাছ-আনফাছ এবং ইশা ও ফজর বাদ ১০০ বার করে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর ১০০ বার পবিত্র দরূদ শরীফ উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত পয়দা হবে এবং ফজর উনার নামাযের পর ১০০ বার পবিত্র দরূদ শরীফ উনার দ্বারা আল্লাহওয়ালা উনাদের মুহব্বত পয়দা হবে। আর পবিত্র পাছ-আনফাছ যিকির উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পয়দা হবে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে আমরা সরল পথ চাই, নিয়ামতপ্রাপ্ত উনাদের পথ চাই। নিয়ামতপ্রাপ্ত হচ্ছেন, হযরত নবী, ছিদ্দীক, শহীদ, ছলেহীন উনারা। উনাদের পথ আমরা চেয়ে থাকি। হযরত নবী আলাইহিমুস্ সালাম উনারা হচ্ছেন এক তবক্বা, আর ছিদ্দীক, শহীদ ছলেহ উনারা হচ্ছেন হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের তবক্বা। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন ১৭ রাকায়াত ফরয নামায, বিতর তিন রাকায়াত, আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা বারো রাকায়াত নামায আদায় করি। তাহলে কমপক্ষে প্রতিদিন ৩২ রাকায়াত নামাযে ৩২ বার মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বলি, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের সরলপথ প্রদর্শন করুন। ” অর্থাৎ হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের পথ আমাদেরকে দান করুন। আমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে এ দোয়া করি। শুধু মুখে মুখে দোয়া করলেই চলবে না। সাথে সাথে কাজও করতে হবে। অর্থাৎ সর্বদা পাছ আনফাছ যিকির করতে হবে এবং প্রতিদিন পবিত্র ইশা ও ফজর নামাযের পর পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র পাছ-আনফাছ যিকির করতে সময় লাগে না। এটা চলাফেরা, ওঠা-বসা সব সময় করা যায়। শোয়ার সময় করলেও আস্তে আস্তে জারি হয়ে যায়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে করা যেতে পারে। পড়াশুনার সাথে সাথে সব সময় করা যেতে পারে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “পবিত্র আরশে মুয়াল্লা উনার সামনে একটা নূরের স্তম্ভ বা খুঁটি আছে, যখন কেউ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ উনার যিকির করতে থাকে তখন খুঁটিটি কাঁপতে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি খুঁটিকে জিজ্ঞাসা করেন, হে খুঁটি! তুমি কাঁপো কেন? খুঁটি উত্তর দেয়, হে মহান আল্লাহ পাক! আপনার অমুক বান্দা পবিত্র কালিমা শরীফ উনার যিকির করছে সেজন্য আমি কাঁপছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে খুঁটি! তোমার কাঁপা বন্ধ করো। খুঁটি বলে, হে মহান আল্লাহ পাক! আমি কাঁপা বন্ধ করবো তাকে ক্ষমা করলে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যাও তাকে ক্ষমা করে দিলাম। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইশা উনার নামায বাদ পবিত্র দরূদ শরীফ পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর রাতে শোয়ার আগে ১০, ১১, ১২, ১টা পর্যন্ত পড়া যেতে পারে। আর পবিত্র ফজর নামায বাদ পবিত্র দরূদ শরীফ ৭, ৮, ৯, ১০টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ে নিলে কোন অসুবিধা নেই। আর পাছ-আনফাছ অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সবক্ব নিতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্যই ফরয- একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ছোহবত ইখতিয়ার করে ও নিয়মিত সবক আদায় করে ইছলাহ ও নিসবত হাছিল করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “অবশ্যই হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে – সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ!
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তিই তার আমলের কারণে পাকড়াও হয়ে যাবে। তার জন্য মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত কোনো ওলী বা অভিভাবক এবং সুপারিশকারী থাকবে না। যদি সে তার আমলের বদলাস্বরূপ সব ধরনের বিনিময় প্রদান করে তবুও তার থেকে সেই বিনিময় গ্রহণ করা হবে না। আর যারা তাদের আমলের কারণে পাকড়াও হবে তাদের জন্য থাকবে গরম পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। যেহেতু তারা কুফরী করতো। ” কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুসরণ করা যাবে। যে ঘরে পবিত্র ছলাত শরীফ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ-পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করা হবেনা সেই ঘর অন্ধকার কবরের মত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিরান হয়ে যাবে।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)