১১৭ বছর পর প্রকাশ্যে আসছে বাংলাদেশি দামি হীরা দরিয়া-ই-নূর
, ২০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৬ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দেশের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকার নবাবি রতœভা-ারের অন্যতম অমূল্য হীরা দরিয়া-ই-নূর, যা ‘কোহিনূরের সহোদর’ নামে পরিচিত, ১১৭ বছর পর প্রকাশ্যে আসতে যাচ্ছে।
প্রায় ছয়-সাত বছর আগে দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সাড়া ফেলে বলা হয়, দেশের সবচেয়ে মূল্যবান হীরা দরিয়া-ই-নূর দীর্ঘদিন ধরে ভল্ট থেকে গায়েব। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয় সরকার।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি বৈঠক ডেকে হীরার অবস্থান খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। বিভিন্ন সময় হীরাটি ব্যাংক থেকে ব্যাংকে স্থানান্তরিত হলেও বর্তমানে দরিয়া-ই-নূর সোনালী ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে।
তবে হীরার হেফাজতে থাকা সোনালী ব্যাংক বা ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তারাও কখনো সরাসরি হীরা দেখেননি। হীরার সঙ্গে আরও শতাধিক রতœালঙ্কার থাকায় ভল্ট তিন দশক ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয়নি। এতদিন পরে ভল্ট খোলার দায়িত্ব কাদের, তা নিয়েও জটিলতা ছিল। ফলে, নবাব পরিবারের প্রাচীন মালিকানা ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অনুনয়-আপত্তি সত্তে¦ও হীরা নিরাপদে সোনালী ব্যাংকের অন্ধকার ভল্টে সংরক্ষিত রয়েছে।
১৯০৮ সালে ভল্টে রাখা এই হীরার অবস্থান ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর অজানা ছিল। সরকারের নির্দেশে ভল্ট খোলার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান জানান, ভল্ট এখনও সিলগালা অবস্থায় রয়েছে। যদিও বহু বছর আগে একটি পরিদর্শক দল এসেছে, তারা ভল্ট খোলেনি, কেবল ভল্ট রাখার কক্ষের দরজা খুলেছিল।
বিখ্যাত দরিয়া-ই-নূরের মূল বৈশিষ্ট্য হলো বিশুদ্ধতা এবং ঐতিহাসিক মূল্য। এর সঙ্গে অতিরিক্ত মুক্তা ও হীরা যুক্ত থাকত। ব্রিটিশ আমলে লাহোর দরবারে প্রদর্শিত হওয়ার সময়ও হীরার এই বিশেষত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।
দরিয়া-ই-নূর ২৬ ক্যারেটের একটি টেবিলাকৃতির হীরা, যা কোহিনূরের নিকট আত্মীয়। এটি লাহোর থেকে পাঞ্জাবের শেষ বালক শাসক দিলীপের প্রতারণার মাধ্যমে ব্রিটিশ দস্যুরাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে পাঠানো হয়েছিল। বড় হীরেটি রানির পছন্দে বেশি ধরায় দরিয়া-ই-নূর ভারতে ফেরত আসে। ব্রিটিশরা হীরার কাটিং নিয়ে খুঁতখুঁতে হওয়ায় এর ওজন প্রায় অর্ধেকে নামানো হয়। ১৮৫২ সালে ভারত ফেরার পর নবাব পরিবারের খাজা আলিমুল্লাহ ৭৫ হাজার টাকায় নিলামে হীরাটি ক্রয় করেন।
পরে এটি বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকে পৌঁছে। হীরাটি নবাবদের হাতে বাজুবন্ধ বা পাগড়ির অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ঋণগ্রস্ত নবাব সলিমুল্লাহ ১৯০৮ সালে দরিয়া-ই-নূর সহ নবাব এস্টেট বন্ধক রাখেন, যা ভারতের ইম্পেরিয়াল ব্যাংক থেকে শুরু করে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের ভল্টে পৌঁছায়।
বর্তমানে দরিয়া-ই-নূর সোনালী ব্যাংকের ভল্টে রয়েছে। জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী জানান, বিভিন্ন সময় হীরাটি ব্যাংক থেকে ব্যাংকে স্থানান্তরিত হলেও এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় ছিল।
ভল্ট খোলার তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি, তবে দেশের সবচেয়ে মূল্যবান দামী এই হীরার পুনরায় প্রদর্শন প্রতীক্ষিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
চতুর্থ মাসের মতো পতনের ধারায় রপ্তানি খাত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘কর সন্ত্রাস থেকে মুক্তি চাই’
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বায়ুদূষণে দিল্লিতে বাড়ছে শ্বাসযন্ত্রের রোগ, আক্রান্ত ২ লাখ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১১, আসছে শৈত্যপ্রবাহ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিম যুবককে 'বাংলাদেশি' বলে মারধর, হিন্দুত্ববাদী সেøাগান বলানোর অভিযোগ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
১১৭২ জাল সনদধারী শিক্ষক শনাক্ত, ২৫৩ কোটি টাকা ফেরতের সুপারিশ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শেখ হাসিনার মামলা না লড়ার ঘোষণা, পান্নাকে ট্রাইব্যুনালে তলব
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মোবাইল আমদানি ও হ্যান্ডসেট বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো সরকার
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন’
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মোদির বার্তা প্রসঙ্গে যা বললেন ডা. জাহেদ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘প্রশাসনের বড় অংশ জামাতের দখলে’
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












