৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা পরাজিত করলেন ৬০ হাজার কাফিরকে (৭)
, ৩রা শাবান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ২৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ১০ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আইন ও জিহাদ
সম্মানিত আমীরুল মুজাহিদীন হযরত আবূ উবাইদাহ্ ইবনে জাররাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং হযরত মিরকাল ইবনে হাশিম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে দেখে অত্যন্ত খুশি হয়ে শুকরিয়া আদায় করে সম্মানিত সিজদাহ্ মুবারক করলেন। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনারা কোথায় গিয়েছিলেন?’ হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘মুশরিকদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি পরাজিত ও ব্যর্থ করে দেয়ার পর আমরা তাদেরকে ধাওয়া করতে গিয়েছিলাম। কারণ তারা আমাদের কয়েকজন সম্মানিত মুজাহিদ উনাদেরকে বন্দী করেছে। উনাদেরকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে গেলেও আমরা উনাদের কোনো খবর পাইনি। সন্দেহ নেই যে, উনারা সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক গ্রহণ করেছেন।’ হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘না; উনারা বন্দী অবস্থাতেই আছেন।’ হযরত যুবাইর ইবনে আওয়াম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘আপনি কিভাবে জানলেন যে, উনারা বন্দী অবস্থায় আছেন?’
হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ‘সম্মানিত জিহাদ মুবারক উনার ময়দানে সম্মানিত বীর মুজাহিদ উনারা ১০ জন শাহাদাত মুবারক গ্রহন করেছেন, আমরা ১০ জন সম্মানিত মুজাহিদ উনাদের সম্মানিত জিসিম মুবারক পেয়েছি। এখানে আমরা ২০ জন রয়েছি। আর আপনারা আছেন ২৫ জন। কাজেই ৫ জন বন্দী হয়েছেন এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’
উল্লেখ্য, এই ৫ জন সম্মানিত মুজাহিদ উনারা হলেন- হযরত রাফি’ ইবনে উমাইয়াহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, হযরত রবী‘আহ্ ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, হযরত দিরার ইবনে আযূর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, হযরত আছিম ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি অর্থাৎ উনারা।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় সবাই অত্যন্ত চিন্তিত হলেন। তখন হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের উদ্দ্যেশ্য করে বললেন, ‘হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম! আমি মহান আল্লাহ পাক উনার পথে সম্মানিত শাহাদাত মুবারক গ্রহণ করার জন্য আমার সম্মানিত প্রাণ মুবারক উৎসর্গ করেছি। কিন্তু সম্মানিত শাহাদাত মুবারক লাভ করতে পারিনি। যে সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারক গ্রহণ করেছেন, উনাদের সম্মানিত বিছাল শরীফ উনার সময় হয়েছেন, তাই উনারা সম্মানিত শাহাদত মুবারক গ্রহণ করতে পেরেছেন। আর যে কয়জন সম্মানিত মুজাহিদ উনারা বন্দী হয়েছেন, উনাদেরকে মুক্ত করার দায়িত্ব আমার। ইনশাআল্লাহ!’ অবশেষে উনাদেরকে মুক্ত করা হয়। সুবহানাল্লাহ!
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা ৬০ হাজার আরব খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে এই অসম সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ মহাসম্মানিত বিজয় মুবারক লাভ করার কারণে সেই রাতে সম্মানিত মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী উনারা অত্যন্ত আনন্দ এবং খুশী মুবারক প্রকাশ করেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায় করেন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত-সালাম মুবারক পেশ করেন। সুবহানাল্লাহ! অন্যদিকে রোমান খ্রিষ্টানরা তাদের সমর্থনকারী আরব খ্রিষ্টানদের কঠিন পরাজয় বরণ এবং তাদের মনোবল ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে অত্যন্ত দুঃখ-বেদনায় ডুবে ছিল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২৩০১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (১)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হযরত আবয়াদ্ব ইবনে হাম্মাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা কাওসাইনি আও আদনা, ছাহিবে কাওছার, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে মুনাফিকদের গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রামাণ্য ইতিহাস (৪)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২৩০০)
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিভিন্ন জিহাদে ব্যবহৃত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সমরাস্ত্রসমূহ এবং বাহন মুবারক উনাদের পরিচিতি মুবারক (৩)
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিভিন্ন জিহাদে ব্যবহৃত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সমরাস্ত্রসমূহ এবং বাহন মুবারক উনাদের পরিচিতি মুবারক (২)
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উসওয়াতুন হাসানাহ, খুলুকুন আযীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গাযওয়া বা অভিযান মুবারক
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা কাওসাইনি আও আদনা, ছাহিবে কাওছার, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে মুনাফিক্বদের গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রামাণ্য ইতিহাস (১)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উসওয়াতুন হাসানাহ, খুলুকুন আযীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গাযওয়া বা অভিযান মুবারক
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৯৯)
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উসওয়াতুন হাসানাহ, খুলুকুন আযীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গাযওয়া বা অভিযান মুবারক
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












