৮০ বছর পর প্রাণ ফিরেছে ফিলিস্তিনের যে মসজিদে
, ২১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ৭ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিদেশের খবর
১৯৪৫ সালের কথা। ফিলিস্তিনের অপরূপ গ্রাম ছিল সারাফান্দ। হাইফা ও আক্কা শহরের মধ্যবর্তী উপকূল এলাকায় অবস্থিত গ্রামটি দেখলে যে কারও মন ভরে যেত। এখানে বাসিন্দাদের প্রায় সবাই ছিল কৃষক। কৃষিকাজ করেই তাদের জীবন চলত। সাইট্রাস ফল, জলপাই এবং বিভিন্ন শস্য তারা চাষ করত। সবুজ করে তুলত চারপাশ।
এ ছাড়া গ্রামটির পাশে সমুদ্র থাকায় মাছ শিকার করেও কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহ করতো। ওই সময় সারাফান্দের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫২০ জন। তাদের সবাই মুসলমান। তাদের ইবাদতের জন্য সেখানে ছিল চমৎকার একটি মসজিদ। মুসল্লিদের পদচারণে মসজিদটি মুখর থাকতো।
আট দশক আগে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ওপর নেমে আসে নাকবা তথা মহাবিপর্যয়। বদলে যায় মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র। ফিলিস্তিনি ভূখ- দখল করে ইহুদীদের জন্য বলপূর্বক একটি রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইহুদী গোষ্ঠী ও সেনারা ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য হত্যা-লুট-অগ্নিসংযোগ শুরু করে। ধ্বংস করে গ্রামের পর গ্রাম। জ্বালিয়ে দেয় ঘরবাড়ি। সেই আগুনে ধ্বংস হয় সারাফান্দ গ্রামও। বিতাড়িত হন সেখানের বাসিন্দারা। বসতভিটা হারিয়ে তারা বরণ করে নেয় উদ্বাস্তু জীবন।
যুদ্ধের পর গ্রামটির বাসিন্দারা নিজ এলাকায় বারবার ফিরতে চাইলেও তাদের আর ফিরতে দেওয়া হয়নি। সেখানে ইহুদীরা গড়ে তোলে নাহশোলিম বসতি। পরে বসতিটির লোকজন ২০০০ সালের দিকে ভেঙে ফেলে সারাফান্দের মসজিদটি, যার ধ্বংসস্তূপ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিদের শেষ স্মৃতি বহন করছে আজও।
মুছে ফেলার শত চেষ্টা সত্ত্বেও সেই পরিত্যক্ত মসজিদের ধ্বংসাবশেষে আবার প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে। ভাঙা দেয়ালের স্থাপনায় উচ্চারিত হচ্ছে আযানের ধ্বনি। সারাফান্দের পাশে অবস্থিত ফুরাইদিস ও জিসর আজ-জারকা গ্রামের কিছু বাসিন্দা কয়েক বছর ধরেই এই মসজিদে এসে জুমুয়ার নামায আদায় করা শুরু করেছেন। রমাদ্বান শরীফ মাসে নিয়মিত তারাবীহ নামাযের আয়োজন করে মসজিদটিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন; আবারও ইবাদতে সজীব করে তুলছেন।
এ ছাড়া রমাদ্বান শরীফের প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার মসজিদটিতে সম্মিলিত ইফতার মাহফিলের আয়োজন হচ্ছে। পাশাপাশি দুই ঈদের নামাযও এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
দখলদার ইসরায়েলিরা জোরজবরদস্তি করে বসতি গড়ে সারাফান্দকে মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও, মসজিদটি নাকবার স্বাক্ষ্য হিসেবে আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে; ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা ও বিক্ষোভ চরমে
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে শেয়ার বেচছে টিকটক - চুক্তি চূড়ান্তের লক্ষ্য ২২ জানুয়ারি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে ২৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনছে আমিরাত
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
১ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বিল স্বাক্ষর ট্রাম্পের
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গাজার চিকিৎসকরা মনোনীত
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দাম্পত্য কলহ ও মানসিক সংকটে সন্ত্রাসী সেনারা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সৌদিতে শিল্পখাতের বিদেশি কর্মীদের ইকামা ফি বাতিল
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ স্বাস্থ্য সংকট: দূষিত বাতাসে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শীতকালীন ঝড়ে গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভারতকে স্থায়ী শিক্ষা দিয়েছে পাকিস্তান -শেহবাজ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জন্মহার বাড়াতে চীনে অভিনব সব ব্যবস্থা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












