মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয।” সুবহানাল্লাহ!
৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারকসহ ছহীহ আক্বীদা ও ছহীহ দ্বীনী শিক্ষা অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা।
আর সমস্ত কুফরী আক্বীদা ও শরীয়তবিরোধী আমল ও ভুল তথ্যসহ কাফির-মুশরিকদের আলোচনা সিলেবাস থেকে অবশ্যই বাদ দেয়া। এটা মুসলমানদের দ্বীনী অধিকার; সাথে সাথে সাংবিধানিক অধিকারও বটে। এ অধিকার থেকে মুসলমানদেরকে বঞ্চিত করা কোনো মতেই জায়িয হবে না, বরং তা কঠিন কবীরা গুনাহ হবে।
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২২ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এদেশের ৯৮ ভাগ লোক মুসলমান। আর মুসলমানদের কাছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো নিয়মনীতি গ্রহণ করে তার থেকে, তা কখনই গ্রহণ করা হবে না। এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ উনার আলোকে প্রতিভাত হয় যে, এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের শিক্ষানীতি সম্পূর্ণরূপে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আলোকে হতে হবে। তা না হলে কোনো মুসলমানই সেটা গ্রহণ করতে পারে না। করলে মুসলমান পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলামই একমাত্র দ্বীন- যেক্ষেত্রে দ্বীনী শিক্ষাকে ফরয বলা হয়েছে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে শুধু দ্বীনী ইলম শিক্ষা করাকেই ফরয বলা হয়নি। পাশাপাশি এর সময়কালও উল্লেখ করা হয়েছে। “তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত দ্বীনি ইলম অর্জন করো”- এ পবিত্র হাদীছ শরীফ পৃথিবীখ্যাত ও মশহুর। বহু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সন্তানকে আদব তথা দ্বীনী ইলম শিক্ষা দেয়া হলো উত্তম ছদকা।” সুবহানাল্লাহ! ইসলামী আদব বা শিক্ষারূপেই মুসলমানদের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান-ইক্বামত ও মুখে মধু দিতে হয়। অর্থাৎ আযান-ইক্বামত দিয়ে দ্বীনী তা’লীম শুরু করা হয়। আর মধুপান করিয়ে পবিত্র সুন্নত মুবারক আমল শুরু করা হয়। অর্থাৎ সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার সময়টা জন্মলগ্ন থেকেই। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রচলিত শিক্ষানীতিতে এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, আবেগ ও গুরুত্ব আদৌ প্রতিফলিত হয়নি। অর্থাৎ এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। বরং এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। কারণ বর্তমান শিক্ষানীতি বা সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষার প্রাধান্য নেই। নেই ছহীহ আক্বীদা ও আমলের কোনো বিষয়। নেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত আবু রসূলিনা ও উম্মু রসূলিনা আলাইহিমাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মুবারক আলোচনা। নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উনাদের বিষয়ে যতটুকু আছে তাতেও অনেক মারাত্মক ভুল তথা কুফরী পরিলক্ষিত হয়। আর ইসলামী ব্যক্তি উনাদের আলোচনা না থাকলেও কাফির-মুশরিকদের আলোচনা ঠিকই রয়েছে। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! তাহলে এরূপ একটি সিলেবাসের মাধ্যমে মুসলমানরা কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবেন। মূলত, এ শিক্ষানীতি বা সিলেবাস হচ্ছে মুসলমানদেরকে কাফির-মুশরিক বানানোর নীলনকশা। যা স্পষ্টতঃ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী এছাড়া সংবিধানেরও খিলাফ। সঙ্গতকারণেই স্পষ্টত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী এ শিক্ষানীতি এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানরা মেনে নিতে পারে না। অতএব সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো বর্তমানে প্রচলিত কুফরী আক্বীদা সম্বলিত শিক্ষানীতি ও সিলেবাস বাদ দিয়ে অতিসত্বর সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্বলিত শিক্ষানীতি ও সিলেবাস চালু বা জারী করা।
-০¬-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম শাসকদের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম ছবি পরিহার করে অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সম্বলিত পাসপোর্ট ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরী করা ও তা তৈরিতে এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রচলনে সর্বাত্মক সহায়তা করা।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিয়াম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই মহাসম্মানিত জান্নাতসহ সমস্ত কিছুর মালিক ও বণ্টনকারী। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনিই কায়িনাতের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টন করেন। সুবহানাল্লাহ!
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক ও একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবূব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক ও একক। সুবহানাল্লাহ!
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত হাবীব,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক যতবার উচ্চারণ বা শ্রবণ করবে,ততবারই উনার প্রতি মহাপবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলার জন্য ফরয। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত হাবীব,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করে বা শুনে উনার প্রতি যারা পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করেনা বা করবেনা,তাদের জন্য ধ্বংস ও জাহান্নাম অবধারিত। নাউযুবিল্লাহ
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৮ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ বরকতময় সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল মাসাকীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র রবীউছ ছানী শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- পবিত্র ২৯শে রবীউল আউওয়াল শরীফ ১৪৪৬ হিজরী, ৫ই খমীস ১৩৯২ শামসী, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ খৃঃ, ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী প্রতি মাসে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া আর চাঁদের হিসাব অনুযায়ী সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করা ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ও মাহবুব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খেলাফ কোনো বিষয় কখনোই বরদাশত করেন না।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং সেই মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেন। ’ সুবহানাল্লাহ!
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তো অবশ্যই, বরং অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই হচ্ছেন সকলের জন্য সমস্ত বিষয়ে একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সুবহানাল্লাহ! অতএব, জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্যই ফরয হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও উনাকে প্রতিক্ষেত্রে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমান প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযে ১৭ বার, ওয়াজিব নামাযে ৩ বার, আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাযে ১২ বারসহ কমপক্ষে মোট ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে এবং উপরোক্ত দোয়া করে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)