‘অনৈসলামিক’ বিয়ের মামলায় ইমরান খানকে আদালতে তলব
এডমিন, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিদেশের খবর

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবার ‘অ-ইসলামিক’ বিয়ে সম্পর্কিত একটি মামলায় সমন জারি করেছে ইসলামাবাদের একটি আদালত। তাকে ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিভিল জজ কুদরতুল্লাহ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আদালতে হাজির করার জন্য অ্যাটক জেলের সুপারিনটেনডেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন। তোষাখানা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান খান অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, ইমরান খান তার ইদ্দতের সময় তৃতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগের মুখে পড়েছেন। ইদ্দত হলো একটি ইসলামী পরিভাষা যা বিয়ে বিচ্ছেদের পর অন্য কাউকে বিয়ে করার আগে একজন নারীর জন্য অপেক্ষা করার নির্দিষ্ট সময়কালকে বলা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার বর্তমান স্ত্রী বুশরার বিয়েকে অনৈতিক আখ্যা দেয়া হয়েছে মামলায়। দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে ইদ্দত চলাকালেই ইমরান বুশরা বিবিকে বিয়ে করেন। এ জন্য তিনি অনুমতিও নেননি। চলতি বছরের ১৮ জুলাই মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী মুহাম্মদ হানিফের দাবি, বুশরা বিবির সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। এরপর তিনি ইদ্দত (বিচ্ছেদ হওয়া নারী ৩ মাস ও বিধবা নারী ৪ মাস ১০ দিন সময়ের মধ্যে বিয়ে না করার বিধান) সম্পন্ন না করেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ইমরানকে বিয়ে করেন, যা ইসলামিক বিধান (শরিয়া) ও মুসলিম রীতিনীতিবিরোধী।
গত ১৪ জুলাই মামলাটি দেওয়ানি আদালতের বিচারকের কাছে স্থানান্তর করেন ইসলামাবাদের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জজ মুহাম্মদ আজম খান। পাশাপাশি এ বিবাহের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি নালিশি মামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে দেওয়ানি আদালতের দেয়া একটি রায় খারিজ করে দেন তিনি।