ভারতকে শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারী:
‘আমার পাহাড়ে চোখ দিলে, তোমাদের মুরগির গলা চেপে ধরবো’
, ০১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) তাজা খবর
ভারতীয় উস্কানীতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাষ্ট্র তৈরীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামে একটি সংগঠন। তারা ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমাদের পাহাড়ে চোখ দিলে তোমার মুরগির গলা (চিকেনস নেক) চেপে ধরবো।
গতকাল ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু পাদদেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ বা ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শিক্ষার্থীসমাজ’ এর ব্যানারে এক প্রতিবাদী সমাবেশে এমন হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে নানান রকম প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। 'কেউ নয় আদিবাসী, সবাই আমরা বাংলাদেশী; সমতল ও পাহাড়- এক আইনে চলতে হবে; পাহাড়ের বাঙ্গালীদের সাথে সকল বৈষম্য বন্ধ করো; ঢাবিতে উপজাতি কোটা বন্ধ করোসহ নানান স্লোগান লেখা ছিল প্ল্যাকার্ডজুড়ে।
সমাবেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড বানাতে ভারতীয় মদদে উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ বলে জোর প্রচারণা চলছে। উপজাতিদের উস্কানি দেয়া হচ্ছে ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতি আদায়ের জন্য। অথচ পাহাড়ের উপজাতিরা কেউ আদিবাসী নয়, তারা অভিবাসী। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ভারত, মায়ানমার ও তিব্বত থেকে বাংলাদেশে অভিবাসন করে এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দখলদার (সেটেলার) যারা দস্যুবৃত্তি করতে করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করে জোর করে বাঙ্গালীদেরকে ভূমিচ্যূত করে দখলদারিত্ব চালিয়েছে। আবার কেউ বা আশপাশের অঞ্চল থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের এই উভয় শ্রেণি-ই বাংলাদেশের আদিম কিংবা প্রকৃত অধিবাসী নয়। তাদেরকে 'আদিবাসী' বলে প্রচার করা মানে একটি ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক সত্যকে অস্বীকার করা; যে প্রচারণার পেছনে ভারত, মিশনারি ও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি এনজিওর মদদ রয়েছে।
কারণ আদিবাসী স্বীকৃতি আদায় করতে পারলে আইএলও কনভেনশন কিংবা জাতিসংঘের ২০০৭ সালের কনভেনশন অনুযায়ী ‘রাইট টু সেলফ ডিটারমিনেশন’ বা স্বায়ত্তশাসন, আলাদা জাতীয়তা, আলাদা ভূমির মালিকানা ও সর্বশেষ স্বাধীনতার দাবিকে লেজিটিমেসি বা আইনগত বৈধতা দেয়ার পথ খুলে যাবে। অথচ বাংলাদেশের উপজাতিরা কেউ-ই আদিবাসী নয়। কাজেই উপজাতিদের ‘আদিবাসী’ দাবি করা কিংবা সম্বোধন করা মানে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করা, যা অবশ্যই রাষ্ট্রদ্রোহিতা। বাংলাদেশের কেউ যদি এমন প্রচারণায় অংশ নেয়, তবে সে অবশ্যই রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে অপরাধী হবে, তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি' প্ল্যাটফর্মের যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুরসালীন বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো রাজার শাসন চলতে পারে না। পাহাড়ে জমি ক্রয় করতে গেলে চাকমা, বোমাং ও মং রাজাকে খাজনা দিতে হয়। এক বাংলাদেশে দুই নিয়ম কেন? মুহম্মদ মুরসালীন পাহাড়ে কথিত রাজাদের খাজনা দেয়া বন্ধের দাবি তোলেন।
‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ প্ল্যাটফর্মের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মশিউর রহমান বলেন, পাহাড়ে খ্রিস্টান মিশনারীরা একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তারা উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করে পাহাড়ে খ্রিষ্টান ধর্মের আধিক্য দেখাতে চায়। এর সাথে বেশ কিছু এনজিও রয়েছে যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরকে ‘আদিবাসী’ প্রচারণার সবক দিয়ে থাকে ও সম্বোধন করে থাকে। উপজাতিদেরকে আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য উস্কানিও দেয়। তাদের উদ্দেশ্য- পাহাড়কে খিৃষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদান বা পূর্ব তীমুরের মত আলাদা রাষ্ট্র তৈরি করা। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের দায়ে পাহাড়ে সর্ব প্রকার মিশনারী ও এনজিও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবী তুলেন মশিউর রহমান।
মশিউর আরো বলেন, সিএইচটি কমিশন নামক একটি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমে লিপ্ত। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের অধিকার রক্ষার নামে যারা বাংলাদেশের পাহাড়কে দক্ষিণ সুদান বা পূর্ব তীমুর বানাতে চায়। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড. জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক। মশিউর রহমান রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমের জন্য জাফর ইকবালসহ সিএইচটি কমিশনের সকল সদস্যের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ শাহীন বলেন, পাহাড়ে উপজাতি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি নিরীহ বাঙালীকে হত্যা করেছে। রাজনগর গণহত্যা, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি, মাটিরাঙ্গা গণহত্যা, ভূষণছড়া গণহত্যার ইতিহাস এখনও জনগণ ভুলে যায়নি। এখনও পাহাড় সেই সকল শহীদদের গণকবরের ওজন বহন করে। আমরা এই সব নৃশংস গণহত্যার বিচার চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই। এখনো ভারতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ না হলে ভারতকে অবশ্যই তার ফল ভোগ করতে হবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন বলেন, আমার বাংলাদেশকে জুম্মল্যান্ড-কুকি চীন হতে দেবো না। ভারত আমাদের পাহাড়ে চোখ দিলে, তার মুরগির গলা (চিকেনস নেক) চেপে ধরবো। পাহাড়কে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র হলে চিকেনস নেক দিয়ে তারাও দুই টুকরা হয়ে যাবে। জসিম উদ্দিন পাহাড়ে ষড়যন্ত্র রূখে দিতে সেনাবাহিনীকে শক্ত ভূমিকা নেয়ার দাবি তোলেন। তিনি পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প আরো বৃদ্ধি করার আহবান জানান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রাজারবাগ শরীফ উনার উদ্যোগে মহাসমারোহে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ পালনের মহা-আয়োজন
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দখলদারদের উপর ব্যাপক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে হিযুবুল্লাহ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জার্মানিতে বন্ধ হল আরো একটি ইসলামিক সেন্টার
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ থেকে সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলের বিছানাজুড়ে টাকা আর টাকা!
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যেভাবে গোপন রাখা হয় হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটের অবস্থান
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
করদাতাদের জুলুম নয়, দেয়া হবে স্বস্তি -এনবিআর চেয়ারম্যান
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আমরা যেন পরমুখাপেক্ষী না হই -অর্থ উপদেষ্টা
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শাহজালাল বিমানবন্দরের সেবায় আমূল পরিবর্তন, খুশি যাত্রীরা
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
করলা চাষে কম খরচে বেশি লাভ
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)