মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম”। দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নিজে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং অধীনস্তদেরকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি সে অনুযায়ী আমল করা এবং নিজের জীবন পরিচালনা করা।
, ৩০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, দ্বীনি ইলম অর্জন না করলে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ঐ সমস্ত লোকদের মত হয়োনা যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে গিয়েছে। আর ভুলে যাওয়ার কারণে তাদের আত্মবিস্তৃতি ঘটেছে। তারাই নাফরমান বা অবাধ্য। ” যে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাবে সে নিজেকেও ভুলে যাবে অর্থাৎ নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে ভুলে যাবে। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাওয়া থেকে বাঁচতে হবে। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভুলে যাওয়া মানে হলো উনার আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধানকে ভুলে যাওয়া। আর উনার বিধানকে ভুলে গেলে বান্দারা আত্মবিস্মৃত হয়ে যাবে, নিজেদের সৃষ্টিরহস্য বা দুনিয়াতে আগমনের উদ্দেশ্য কি তা জানতে পারবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “যে নিজেকে চিনতে পারলো সে মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতে পারলো। ” বান্দা নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে যত বেশি জানবে, নিজেকে যত বেশি চিনবে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার বড়ত্ব, মহত্ব, কর্তৃত্ব, উনার দয়া-ইহসান সম্পর্কে জানা, বুঝা সম্ভব হবে অর্থাৎ উনার মা’রিফাত বা পরিচয় লাভ করতে পারবে। তখন বান্দা মহান রব তায়ালা উনার বিধি-বিধান পালনে সচেতন হবে, উনার মুহাব্বত অর্জনে নিজেকে নিয়োজিত করতে সচেষ্ট হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাদেরকে কোন উদ্দেশ্যে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি (মহান আল্লাহ পাক) জ্বিন এবং ইনসানকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য। ” মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত, মা’রিফাত হাছিল করে উনার ইবাদত-বন্দেগী ও আনুগত্য করার জন্যই তিনি জ্বিন-ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি জ্বিন-ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী, আনুগত্য করার জন্য। তারা যেন মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী চলে এটাই মূল উদ্দেশ্য। তাই উনার আদেশ-নিষেধগুলো জানতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ-নিষেধ তথা বিধি-বিধান জানে না কিন্তু কাফির মুশরিকদের বিধি-বিধান জানে। আর এই জন্য তারা কোনো আমলও করতে পারে না। মনে করে কাফির-মুশরিকদের বিধি-বিধানই তার প্রয়োজন। আর মহান আল্লাহ পাক উনার বিধি-বিধান জানার প্রয়োজন নেই। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এই বিধি-বিধান সম্পর্কিত জ্ঞান বা দ্বীনি ইলম অর্জন করাই ফরয। মানুষ দ্বীনি ইলম অর্জন না করলে আমলও করতে পারবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ইলম হচ্ছে আমলের ইমাম। ” জামায়াতে নামায আদায় করার জন্য যেমন ইমাম আবশ্যক ঠিক তদ্রুপ আমল করার জন্য দ্বীনি ইলম অর্জন করা আবশ্যক। পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলার জন্য ইলম অর্জন করা ফরয। ”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ওহী মুবারকের ইলমকেই অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের ইলমকেই দ্বীনি ইলম বলা হয়। আর দুনিয়াবী শিক্ষাকে হুনর বলা হয়, যা দ্বারা দুনিয়াবী কোনো কাজের যোগ্যতা অর্জন করা হয়। দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে যে, কেন সে দ্বীনি ইলম অর্জন করলো না? এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। কিন্তু হুনর বা দুনিয়াবী শিক্ষা অর্জন করা ফরয না। আর এর জন্য পরকালে কোনো জবাবদিহিও করতে হবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, দ্বীনি ইলম অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ মহান আল্লাহ পাক উনাকে চিনতে পারে, ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা এবং হক্ব-বাতিলের মাঝে পার্থক্য করতে পারে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী করতে পারে। তাই এই ইলম অর্জনের দ্বারাই বান্দাদের পক্ষে দুনিয়াতে আগমনের প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা এবং পরকালের কঠিন জবাবদিহিতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নিজে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং অধীনস্তদেরকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি সে অনুযায়ী আমল করা এবং নিজের জীবন পরিচালনা করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সিবতু রসূল আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব। উনাকে মুহব্বতকারীদের জন্য সুসংবাদ আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের জন্য জাহান্নাম।
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহভীতি। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে উনার নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ হতে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার নাম তাক্বওয়া। আর পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের রোযা উনার দ্বারা সেই তাক্বওয়া হাছিল হয়ে থাকে।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হচ্ছেন মুয়াসাহ বা সহানুভূতির মাস।’ সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে সিন্ডিকেট করে বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র যাকাত আদায় করা যেরূপ ফরয; তদ্রুপ সঠিক স্থানে পবিত্র যাকাত পৌঁছানোও ফরয এবং পবিত্র যাকাত কবুল হওয়ার কারণ। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র যাকাত দেয়ার উত্তম ও সঠিক স্থান হলো- ‘রাজারবাগ দরবার শরীফস্থ মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ মাদরাসা ও ইয়াতীমখানা’। সুবহানাল্লাহ!
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ!
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই। বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট। যে যত বেশি দুনিয়া ত্যাগ করতে পারবে সে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত-মারিফত, নিসবত-কুরবত হাছিল করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস লাভ করার পরও যারা নিজেদের গুণাহখতা ক্ষমা করাতে পারবেনা, তাদের জন্য আফসুস।
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে – সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
তাজবীদ অনুযায়ী তারতীলের সাথে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা ফরয। তাই তাজবীদ শিক্ষা করাও প্রত্যেকের জন্য ফরয। পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করার মধ্যে রয়েছে অশেষ ফায়দা ও ফযীলত। যে যত বেশি পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করবে সে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক বা রেযামন্দী মুবারক হাছিল করতে পারবে।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)