পাহাড়ে উপজাতি কর্তৃক বাঙালী মুসলিমকে পিটিয়ে শহীদ করার প্রতিবাদে সমাবেশে বক্তারা:
“উপজাতিদের আচরণ ইসরাইলি দখলদারদের মত”
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) তাজা খবর
‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১লা অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে পাহাড়ে আবুল হাসনাত মাসুদ রানা নামক এক বাঙালী শিক্ষককে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে শহীদ করা হয়েছে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে মামুন নামে আরেক বাঙালী মুসলিমকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শহীদ করা হয়। পাহাড়ে গত কয়েক দশকে উপজাতিরা ৪০ হাজার বাঙালী মুসলিমকে শহীদ করে এবং এখনও তাদের হত্যাকা- অব্যাহত আছে। এত এত বাঙালী শহীদ করার পরও উপজাতিরা নিজেদের নিরীহ দাবী করে সব সময় মায়াকান্না করে, ঠিক যেন ইসরাইলি দখলদারদের আপন ভাই। কারণ ইসরাইলিরাও প্রতিয়িনত ফিলিস্তিনি মুসলমানদের শহীদ করে নিজেদের নিরীহ দাবী করে মায়াকান্না করতে থাকে।
‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ বলেন, ইহুদীরা ইউরোপ থেকে নির্যাতিত হয়ে জান বাচাতে আরবভূমিতে আশ্রয় নিয়েছিলো। কিন্তু আরবে আশ্রয় পেয়ে তারা বেঈমানি করে। নিজেদের আদিবাসী দাবী করে জাতিসংঘের সহায়তায় ইসরাইল রাষ্ট্র কায়েমে সচেষ্ট হয়। অপরদিকে প্রকৃত আদিবাসী ফিলিস্তিনীদের উদ্বাস্তু বানিয়ে ফেলে।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে উপজাতিদের আচরণ ইসরাইলীদের মতই। তাদের পূর্বপুরুষ এক সময় ভারত-মায়ানামার-ত্রিপুরায় বিভিন্ন অপরাধী ও সন্ত্রাসী দলের সদস্য ছিলো। নিজেদের পরিচয় গোপন করে এক সময় সময় বাঙলার পাহাড়ে আত্মগোপন করে। কিন্তু বাঙলার পাহাড়ে আশ্রয় পেয়ে তারা নিজেদের আদিবাসী দাবী করা শুরু করে এবং বাঙলার প্রকৃত আদিবাসী বাঙালীদের সেটেলার বলে উচ্ছেদ করতে চায়। শুধু তাই না, ইসরাইলীদের মত জাতিসংঘের সহায়তায় তারা তিন পার্বত্য জেলাকে পৃথক করে পৃথক রাষ্ট্র ‘জুম্মল্যান্ড’ কায়েমের স্বপ্ন দেখছে। এজন্য পাহাড় থেকে সেনা অপসারণসহ স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবীও তুলছে, যা খুবই আশঙ্কার বিষয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শুধু ইসরাইলের ইহুদী নয়, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সাথেও বাংলাদেশের উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর মিল রয়েছে। ভারতে যেমন মুসলমানদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা পিটিয়ে শহীদ করে, তেমনি বাংলাদেশের উপজাতিরাও পাহাড়ে মুসলমানদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে শহীদ করছে। তাছাড়া বাংলাদেশে উপজাতিরা উগ্র হিংগ্র হয়ে ওঠার মূল কারণ ভারতে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের উস্কানি। যেমন- সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরার বিজেপির সহযোগী দল তিপ্রা মোথা সংখ্যালঘু হিন্দু ও উপজাতিদের নিয়ে বাংলাদেশ ভেঙ্গে নতুন রাষ্ট্র তৈরীর হুমকি দিয়েছে, যা খুবই বিপদজনক বিষয়।
‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাহাড়ে উপজাতিদের এরূপ সন্ত্রাসীপনার বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনা না করলে পাহাড়ে বড় ধরনের বাঙালী মুসলিম গণহত্যার আশঙ্কা আছে।
‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজা উপলক্ষে ইনসাফ কায়েমে আমরা সরকারের কাছে ১৬ দফা দাবী উত্থাপন করি। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের কাছে যে কোন দাবী উত্থাপন করতেই পারি, এটা আমাদের বাক স্বাধীনতা, এটা আমাদের অধিকার। কিন্তু এই ১৬ দফা উত্থাপনের পর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামক এক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী দলের মাথা খারপ হয়ে যায়। তারা আমাদের বাক স্বাধীনতাহরণ করে আমাদের গ্রেফতারে দাবী তুলেছে।
‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কার্যক্রম আমরা ভুলি নাই। কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিবাদ স্বরূপ শ্লোগান দিয়েছিলো “তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার।” তখন এই হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এক বিবৃতিতে ঐ শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রদ্রোহী দাবী করে বিচার চায়। শুধু তাই না, ঐ সব শিক্ষার্থীরা যেন ভবিষ্যতে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানে; এমনকি সেনাবাহিনীতেও চাকরি করতে না পারে আওয়ামী সরকারকে সে পথ দেখিয়েছিলো। ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ বলেন, ঐদিন শিক্ষার্থীদের শ্লোগানের বিরোধীতা করে যদি হাসিনা সরকারের পতন হয়, হাসিনাকে ভারত পালিয়ে যেতে হয়, তবে আজকে কেন হিন্দু বৌদ্ধ খিৃস্টান ঐক্য পরিষদের কেন বিচার হবে না, কেন তাদের ভারত পাঠিয়ে দেয়া হবে না, আমরা তা জানতে চাই।
সমাবেশে ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদের দোসর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সকল কর্মীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে সরকারকে আহবান জানান। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আন্দোলন ও বিদেশি অপারেটর বিতর্কে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্থিরতার এক বছর
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এবার ভারতে মুসলমানদের হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানাল বাংলাদেশ
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সীমান্তে দফায় দফায় বেড়া দেয়ার চেষ্টা বিএসএফের
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বরেন্দ্র অঞ্চলের সরিষাখেতে সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ফুল ভরে উঠতে শুরু করেছে।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফের শাহবাগ মোড়ে অবস্থান ইনকিলাব মঞ্চের
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বোমা বানাচ্ছিলো এক জেএমবি সদস্য, আরও যা জানা গেল
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘২ পত্রিকা অফিসে হামলা সরকারের কোনো না কোনো অংশ ঘটতে দিয়েছে’
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সমুদ্রে মিসাইল ফায়ারিং পরিচালনা, নৌযান চলাচলে সতর্কতা
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যোদ্ধাদের হামলায় ধ্বংস হওয়ার আগমুহুর্তে টার্গেটে দখলদারদের ট্যাংক
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘আরো ১৭ বছর চেষ্টা করলেও হামাসকে পরাজিত করতে পারব না’
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সীমান্ত এলাকা থেকে ২৪টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর উদ্ধার
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শীতের সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও মুদিপণ্যের বাজার চড়া
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












