হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ফতওয়া দিয়েছেন, পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ উনার মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মান, অন্যান্য সবকিছুর চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। এমনকি পবিত্র লাইলাতুল বরাত ও পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরের চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
আজ পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা জুমুয়াহ শরীফ উনার দিন। অর্থাৎ মহাপবিত্র রগায়িব শরীফ উনার মহাসম্মানিত দিন। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উক্ত দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা।
, ৩রা রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আজ পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা জুমুয়াহ শরীফ উনার দিন।
অর্থাৎ মহাপবিত্র রগায়িব শরীফ উনার মহাসম্মানিত দিন। সুবহানাল্লাহ!
পাশাপাশি আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্য মহাপবিত্র এই দিনটি তওবা-ইস্তেগফার, ইবাদত-বন্দেগী, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও দোয়া মুনাজাতে কাটানো এবং রোযা রাখা অশেষ ফযীলত হাছিলের কারণ।
এবং এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিলের সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উক্ত দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা।
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই মহাপবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা জুমুয়াবারে আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম উনাদের মহাপবিত্র মহাসম্মানিত রহমতপূর্ণ, বরকতপূর্ণ, সাকীনাপূর্ণ, ফযীলতপূর্ণ আযীমুশ্ শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। আর সেই মুবারক জুমুয়াবারেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। যার কারণে এ মুবারক রাত্রিটি সারা বিশ্বে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ হিসেবে মশহুর। অর্থাৎ তারিখ হিসেবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা তারিখ। আর বার হিসেবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার প্রথম জুমুয়াবার হচ্ছেন- পবিত্র রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই এই রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা জুমুয়াবার উনার মর্যাদা-মর্তবা, বুযূর্গী-সম্মান, অন্যান্য সবকিছুর চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। এমনকি পবিত্র লাইলাতুল বরাত ও পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরের চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রজবুল হারাম মাসে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনের লক্ষ্যে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার যে কোনো একদিন পবিত্র রোযা রাখবে ও কোনো একরাত ইবাদতে কাটাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমলনামায় পূর্ণ এক বৎসর রোযা রাখার ও পূর্ণ এক বৎসর রাতে ইবাদত করার ফযীলত লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!¬¬ তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, এ মহাপবিত্র দিনটি তওবা ইস্তেগফার, ইবাদত-বন্দেগী, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া মুনাজাতে কাটানো এবং রোযা রাখা।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রগায়িব শরীফ উনার পাশাপাশি আজকের এই দিনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম অর্থাৎ আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরুল বাশার, সাইয়্যিদুল আরব, আবুল বাশার, ছাহিবুল জান্নাহ, ছাহিবু নূরিম মুজাসসাম, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। অর্থাৎ পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার ২ তারিখ তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম’। আর সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমা বিনতে আমর ইবনে আইছ আলাইহাস সালাম’। সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি সুদর্শন, সুযোগ্য ও মুত্তাক্বী বা পরহেযগার। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যবীহুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা মোট ১৩ ভাই ও ৬ বোন ছিলেন। তন্মধ্যে ৩ ভাই ছোট বেলাতেই পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পর্যায়ক্রমে ৬টি নিসবাতুল আযীমাহ মুবারক করেন। উনাদের ঘরে সর্বমোট ১৯ জন আওলাদ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তন্মধ্যে আবনা বা ছেলে সন্তান হচ্ছেন ১৩ জন আর বানাত বা মেয়ে সন্তান হচ্ছেন ৬ জন। আবনা উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম, ২. সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম, ৩. সাইয়্যিদুনা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম, ৪. হারিস, ৫. কাসেম (কুসুম), ৬. আবু তালিব (আব্দে মান্নাফ), ৭. আবু লাহাব (আব্দুল উজ্জা), ৮. দ্বিরার (আব্দুল কা’বা), ৯. গাইদাক (হাজাস, হজল, মুগীরা, মাসাব, নাওফেল) ১০. মুকাওইম (মুকাইম), ১১. জুবায়ের, ১২. আওয়াম, ১৩. আব্দুল কা’বাহ। আর বানাত উনারা হচ্ছেন- ১. সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছুফিয়্যাহ (সাফিয়া) আলাইহাস সালাম, ২. সাইয়্যিদাতুনা উম্মে হাকীম আল বায়দ্বা আলাইহাস সালাম, ৩. সাইয়্যিদাতুনা আত্বিকা আলাইহাস সালাম, ৪. সাইয়্যিদাতুনা বাররা আলাইহাস সালাম, ৫. সাইয়্যিদাতুনা উমায়মা আলাইহাস সালাম, ৬. সাইয়্যিদাতুনা আরওয়া আলাইহাস সালাম।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে তাশরীফ মুবারক আনার কয়েক মাস পরেই সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া হতে ফেরার পথে মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে পবিত্র মদীনা শরীফে উনার নানীর বাড়িতে মুবারক অবস্থান গ্রহণ করেন এবং সেখানেই পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ মাস উনার ২ তারিখে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ সম্মানিত “আবওয়া” নামক স্থানে অবস্থিত।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি আরো সম্মানিত হয়েছেন- কেননা, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি এই পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার ২ তারিখে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারকে তাশরীফ নেন। উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘আউওয়াল’ তথা প্রথম। তাই উনাকে ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম। তিনি ‘ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম’ এই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ সম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার প্রায় সাড়ে ১২ বছর পূর্বে ২রা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা’ শরীফ সকালে পবিত্র মক্কা শরীফে মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়াবী হায়াত মুবারক অনুযায়ী তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় সাড়ে ২৭ বছর। আর উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় সাড়ে ৪২ বছর। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াতী শান মুবারক প্রকাশের প্রায় ১০ বছর ৮ মাস পূর্বে ২রা রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ভোররাত্রে পবিত্র মক্কা শরীফেই পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী হায়াত মুবারক প্রায় ২৯ বছর ৪ মাস। সুবহানাল্লাহ! ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি পূর্ণ ২২ মাস দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন। আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মধ্যে তিনিই সর্বাধিক সময় দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত রওযা শরীফ সম্মানিত মক্কা শরীফে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!
¬-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ শরঈ তারতীব অনুযায়ী তালাশ করা এবং উক্ত মহাপবিত্র রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা ইস্তেগফার ও দুয়া করা, আর পরের দিন রোযা রাখা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী। তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে, প্রত্যেক অবস্থায় এবং দায়িমীভাবে সমস্ত বিধর্মীদের সর্বপ্রকার নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা থেকে আন্তরিকভাবে দূরে থাকা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৭ হিজরী, ২২শে সাবি’ ১৩৯৩ শামসী, ২১শে ডিসেম্বর ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দিবাগত সন্ধ্যায়। দেশের অনেকেই কোন্টি হিজরী সনের প্রথম মাস সেটি জানে না। নাঊযুবিল্লাহ! আরবী মাস কখন শুরু হচ্ছে এবং কখন শেষ হচ্ছে, সে ব্যাপারেও থাকে সম্পূর্ণ বেখবর। নাঊযুবিল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সরকার ও জনগণ সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে তা’যীম-তাকরীম করা এবং উনার সম্মানার্থে সর্বপ্রকার হারাম-নাজায়িয ও শরীয়ত বিরোধী কাজ অর্থাৎ গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনা, ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদি হারাম কাজ থেকে নিজে বিরত থাকা ও জনগণকে বিরত রাখা।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ দিনটি সকলের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ২০শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি’য়াহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ও মাহবুব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খেলাফ কোনো বিষয় কখনোই বরদাশত করেন না। তাই বর্তমানে যারাই উনার মহান শান মুবারক উনার খিলাফ কথা বলবে এবং মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধীতা করবে তারা কাট্টা কাফির আবূ লাহাবের ন্যায় গযবে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সুন্নত তরীক্বা অনুযায়ী পরস্পর-পরস্পরকে সালাম আদান-প্রদান করা। যা ইহকাল ও পরকালে বেমেছাল রহমত-বরকত ও সাকীনা লাভের কারণ হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ উনাকে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












