এর মধ্যে রয়েছে সোকোল্লু মুহম্মদ পাশা, একজন অটোমান উজির বা মুখ্যমন্ত্রী, যিনি সুলতান সুলেমান এবং সুলতান দ্বিতীয় সেলিম এর অধীনে কাজ করেছিলেন। এছাড়াও এখানে দাফন করা হয়েছে সিয়াভুস পাসা, ১৬ শতকের আরেক উজির এবং লালা মুস্তাফা পাশা যিনি ১৬ শতকে উসমানীয় সালতানাতের জন্য সাইপ্রাস বিজয় করেছিলেন। তাদের কবরগুলো মসজিদের কাছাকাছি অবস্থিত রয়েছে, যেমন আদিল সুলতান এবং তার পরিবারের অন্যান্যরাও মসজিদের পাশেই শায়িত রয়েছেন। যেখানে সুলতানদের কবর অবস্থিত সে কবরস্থানটি ঐতিহাসিক এই মসজিদের পিছনে গোল্ডেন হর্ণে শহরের দিকে পাহাড়ের উপরে উঠে গেছে। য বাকি অংশ পড়ুন...
মসজিদের স্থাপত্য:
হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ পুনর্নিমাণের পর উসমানীয় সালতানাতের বিখ্যাত স্থপতি মিমার সিনান পাশার নির্মিত আজাপকাপি মসজিদের অনেকটা মিল পাওয়া যায়। এই মসজিদটিতে বিশেষভাবে দুটি মিনার এবং একটি বিশাল আকারের গম্বুজ রয়েছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সম্মুখে একটি বিশাল উঠান রয়েছে। মসজিদের বাহিরে একটি ওযু করার ফোয়ারা বা ঝরনা রয়েছে। মসজিদটিতে সংস্কারের পূর্বে মূল নামাজ কক্ষের পাশে একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি লঙ্গরখানা (যেখানে মানুষের ফ্রী খাওয়ার ব্যবস্থা করা হতো) এবং একটি পাবলিক হাম বাকি অংশ পড়ুন...
১৪৫৮ খৃ: হযরত আক শামসুদ্দিন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি রুহানীভাবে হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাজার শরীফের সন্ধান পান। মাজার শরীফের সন্ধান পাওয়ার পরেই উনার মাজার শরীফের পাশেই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
১৮ শতকের প্রথম দিকে, সুলতান তৃতীয় আহমদ এই ঐতিহাসিক মসজিদের দুটি মিনার পুনর্নিমাণ করেন। ১৮ শতকের শেষের দিকে মসজিদটির কিছু অংশ সংস্কারের অভাব দেখা যায়, সম্ভবত ভূমিকম্পের মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৭৯৮ খৃ: সুলতান তৃতীয় সেলিম মিনারগুলির কাঠামোগত পরিবর্তন করে বারোক শৈলীতে পুনর্নিমাণে বাকি অংশ পড়ুন...
হিজরী ৫২ সনে কনষ্টান্টিনোপোলের যুদ্ধে সম্মুখ সমরে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে তিনি যখন শাহাদাতের তামান্নায় অপেক্ষমান, একজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন “হে আবু আইয়ূব (রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)! জীবনের শেষ ইচ্ছা আমাদের বলুন, আমরা তা যথাসম্ভব বাস্তবায়ন করব। তখন তিনি ব্যক্ত করলেন : আপনারা আমার দেহ মুবারক আমার ঘোড়ায় উঠিয়ে দিন এবং যতদূর সম্ভব কনষ্টান্টিনোপোলের শেষ সীমানায় নিয়ে যান, যাতে আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারি: “মহান আল্লাহ পাক! আমি যুদ্ধের ময়দান থেকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সর্বোচ্চ চেষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
ঐতিহাসিক আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদ তুরস্কের ইস্তাম্বুলের ইয়ূপ জেলায় এবং গোল্ডেন হর্ন শহরের কাছে অবস্থিত। এই ঐতিহাসিক মসজিদটি হযরত আবু আইয়ূব আল আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নামে নামকরণ করা হয়েছে যা স্থানীয় ভাষায় “ইয়ূপ বা আইয়ূব সুলতান মসজিদ” নামেই বেশি পরিচিত।
এই ঐতিহাসিক মসজিদটি উসমানীয় সালতানাত কর্তৃক ইস্তাম্বুলে নির্মিত প্রথম মসজিদ। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মসজিদটি ১৪৫৮ খৃ: নির্মিত হয়। ইসলামী ও ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় স্থাপত্যশৈলীতে এই ঐতিহাসিক মসজিদটি নির্মিত। মসজিদে মিনারের সংখ্যা ২ বাকি অংশ পড়ুন...












