অন্যান্য ঘটনা:
হযরত হুসাইন বিন আবিল হুর আল-আনবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, একবার আমি সিরিয়া গেলাম। সেখানে আমি হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম। লোকেরা বলল, তিনি এখানে এক বৃদ্ধা মহিলার আশ্রয়ে জীবন যাপন করেন। অতঃপর আমি উক্ত বৃদ্ধা মহিলার নিকট গিয়ে উনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। সেই বৃদ্ধা মহিলা বললেন, তিনি ঐ পাহাড়ের পাদ-দেশে রাত্র-দিন নামায পড়েন। যদি উনার সাথে সাক্ষাত করতে ইচ্ছা হয়, তবে সন্ধ্যায় ইফতারের সময় আসবেন।
বর্ণনাকারী হযরত হুসাইন বিন আবিল হুর আল-আনবারী রহমতুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত মুহম্মদ ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত- হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলা হলো, অমুক খুব ছূরত তরুণী বেহেশতে আপনার আহলিয়া হবেন। ইহা শুনে তিনি উক্ত তরুণীর অনুসন্ধানে বের হলেন। অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পেলেন, সেই তরুণী এক অসভ্য বেদুঈন পরিবারের বাঁদী, তাদের মেষ চরান। যখন হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেখানে পৌঁছলেন, তারা সেই তরুণীকে গালি-গালাজ করছিল, তার প্রতি রুক্ষ ব্যবহার করছিল, অতঃপর তার দিকে দু’টি রুটি ছুঁড়ে মারল। অতঃপর সেই বাঁদী রুটি দু’টি নিয়ে উনা বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কোন জিহাদে লোকদেরকে সঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করতেন, তিনি তাদের সাথে শর্ত করে নিতেন। তিনি তাদের খিদমত করবেন, তিনিই নামাযের আযান দিবেন এবং উনার সামর্থ্য অনুসারে তিনিই তাদের জন্য খরচ করবেন, এসবে সঙ্গীদের কেউ কোন আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
হযরত ছাবা বিন আবী আবদা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনার গোত্রের একজন সত্যবাদী লোক উনাকে বলেছেন, আমি হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাকি অংশ পড়ুন...
বছরা থেকে সিরিয়ায় স্থানান্তর:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, প্রাদেশিক গভর্ণর যিয়াদের নিকট হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে কিছু লোক অভিযোগ করে যে, আমাদের এখানে এক ব্যক্তি রয়েছে, যাঁর সম্মুখে যখন বলা হয়, হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি কি আপনার অপেক্ষা উত্তম নন? তখন সেই ব্যক্তি চুপ করে থাকেন, এই কথার কোন উত্তর করেন না। আর সেই ব্যক্তি স্ত্রীলোক গ্রহণ করেন না অর্থাৎ বিবাহ করেন না। প্রাদেশিক গভর্ণর এই বিষয়টি তৎকালীন খলীফা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট লিখিতভাবে জ বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত মুবারক:
বর্ণিত আছে যে, হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন উনার অন্তরকে স্ত্রীলোকের আকর্ষণ থেকে মুক্ত রাখেন। অতঃপর কোন পুরুষের সাথে সাক্ষাত অথবা কোন মহিলার সাথে সাক্ষাত এই উভয় ক্ষেত্রে উনার কোন মানসিক পরিবর্তন ঘটত না। আর তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন নামাযের মধ্যে উনার অন্তরকে শয়তান থেকে মুক্ত রাখেন। সুতরাং শয়তান নামাযের মধ্যে উনার কোন ক্ষতি করতে পারত না। বর্ণিত আছে যে, তিনি গৃহের বাইরে রাত্রি যাপন বাকি অংশ পড়ুন...
ইবাদত বন্দেগী:
হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি বলতেন, দুনিয়াতে রয়েছে চিন্তা ও দুঃখ, আর আখিরাতে রয়েছে দোযখ আর হিসাব, সুতরাং শান্তি ও খুশি কোথায়? আয় বারে ইলাহী! আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমার সৃষ্টিতে আমার কোন ইখতিয়ার রাখেননি। আর আমাকে দুনিয়ার বালা মুছিবত দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। অতঃপর আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন সৎ কাজে দৃঢ় থাকার জন্য। আমি কিভাবে দৃঢ় থাকব, যদি আপনি দৃঢ় না রাখেন? আয় বারে ইলাহী! নিশ্চয়ই আপনি জানেন, আমাকে যদি সারা দুনিয়াপূর্ণ প্রাচুর্য দেয়া হয়, আর আপনি যদি তা আমার নিকট চান, আমি অবশ্যই তা আপনাকে দিয়ে দিবো। সুতরা বাকি অংশ পড়ুন...
ইবাদত বন্দেগী:
বর্ণিত আছে যে, একবার (ওয়াদী সিবা’ অর্থাৎ বন্যজন্তুর উপত্যকা) নামে একটি উপত্যকায় হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অবতরণ করেন। উপত্যকার অন্য এক পাশে হযরত হামামা রহমতুল্লাহি আলাইহি নামে একজন হাবশী আবিদ (দরবেশ) ছিলেন। এক পাশে হযরত আমির রহমতুল্লাহি আলাইহি নামায পড়তেন, অন্য পাশে হযরত হামামা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও নামায পড়তেন। এইভাবে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত্র উনারা সেখানে ছিলেন, কিন্তু একজন অপরের নিকট যেতেন না। উনারা এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শুধু ফরয নামাযের সময় জামায়াতে নামায পড়ার জন্য একত্র হত বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক:
নাম মুবারক: হযরত আমির রহমতুল্লাহি আলাইহি, পিতার নাম: আবদুল্লাহ বিন আবদিল ক্বায়েস (পিতার নাম বাদ দিয়ে হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি এই উপনামে তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন), বনু তামীম গোত্রের আল-আনবার শাখার লোক, বছরার অধিবাসী। শীর্ষ স্থানীয় ওলীআল্লাহ, যাহিদ, প্রথম শ্রেণীর তাবেয়ীদের অন্যতম। তিনি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম এবং হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের ছোহবত মুবারক পেয়েছেন এবং উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। উনার নিকট থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হ বাকি অংশ পড়ুন...












