ফরেইন রিজার্ভ বলতে বিদেশের সাথে লেনদেন যোগ্য টাকা বা সম্পদকে বুঝায়। মানে বিদেশীরা দ্রব্য বা সেবার বিনিময়ে যা নিতে রাজি আছে তা। ডলার, ইউরো, রুপী, স্বর্ণ, ইত্যাদি যা কিছু দিয়ে বিদেশের সাথে লেনদেন করা যাবে তা ই ফরেইন রিজার্ভ। এর মোট পরিমাণকে একটি দেশের ফরেইন রিজার্ভ বলে।
আমাদের মুদ্রার নাম টাকা। আমরা চাইলে বিলিয়ন, বিলিয়ন টাকা ছাপাতে পারি। কিন্তু বিদেশীরা এই টাকা নিবে না। আমরা তেল আমদানির বিপরীতে যদি টাকা দিতে চাই ওরা মানবে না, বলবে ডলার বা ইউরো দাও। স্বর্ণ দিলেও মানবে। সেজন্য অন্যদের গ্রহণযোগ্য মুদ্রায় রিজার্ভ রাখতে হয়।
রিজার্ভ বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব সংবাদদাতা:
মেঘনা নদীতে বর্তমানে প্রচুর পাঙাশ মাছ ধরা পড়ছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে এত পাঙাশ মাছ ধরা পড়েনি। ইলিশ মাছ না পাওয়ার দুঃখ ভুলিয়ে দিচ্ছে পাঙাশ মাছ। মেঘনা নদীর তীরের মাছঘাট প্রতিদিন পাঙাশেন জমজমাট বেচাবিক্রিও হচ্ছে। এতে জেলেসহ মাছ ব্যবসায়ীরাও খুশি।
মেঘনা নদীর জেলে মোতালেব ব্যাপারী বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ নেই। কিন্তু ইলিশ মাছের জাল ফেললে দুই একটা পাঙাশ মাছ ধরা পড়ছে। পাঙাশ মাছের জালে আরও বেশি ধরা পড়ছে। ইলিশের জালে পাঙাশ ধরা পড়ায় জেলেরাও খুশি। কারণ নদীর কারণ মাছের দাম বেশি। প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি ক বাকি অংশ পড়ুন...
বাগেরহাট সংবাদদাতা:
সাগর-নদী ও সুন্দরবনে মাছ ধরায় একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। প্রায় সারা বছর ধরেই মৌসুমভিত্তিক থাকছে কোনো না কোনো নিষেধাজ্ঞা। এতসব অবরোধের মধ্যে মাছ শিকারের তেমন একটা সুযোগ নেই জেলেদের। বংশ পরম্পরায় এ পেশায় টিকে থাকতে ধার-দেনা করে জেলেরা জাল ও নৌকা তৈরি করলেও সেই ধার আর মেটে না তাদের। ঋণের বোঝা যেমনি বাড়ছে তেমনি সঙ্গ ছাড়ছে না অভাব-অনটন।
গতকাল ইয়াওমুস সাবত (শনিবার) থেকে সাগর ও সুন্দরবনের নদ-নদীতে শুরু হয়েছে টানা ৮ মাসের অভিযান। এ অভিযান চলাকালে কোনো জেলে জাটকা আহরণ করতে পারবেন ন বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব সংবাদদাতা:
বঙ্গোপসাগর থেকে এক টানে ১৫০ মণ ইলিশ নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি ট্রলার। ২৭ হাজার টাকা মণ হিসেবে এ মাছ বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকা।
গতকাল জুমুয়াবার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ নামের আড়তে এ মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এসব মাছ গত ২৯ অক্টোবর কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
জানা গেছে, এফবি সাফওয়ান-৩ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি গত ২৯ অক্টোবর পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। ওই দিন বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাজারগুলোতে শুরু হয়েছে ইলিশের সরবরাহ। টানা ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে নামেন জেলেরা। অনেকে ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন ঘাটে। ফলে বাজারে ইলিশের সরবরাহ শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর সবাই আশা করেছিলেন বাজারে টাটকা ইলিশ পাওয়া যাবে। কিন্তু হাটবাজারগুলোতে যে ইলিশ আসছে তা হিমায়িত। ডিমভরা এসব ইলিশ দেখে সহজেই বোঝা যায়, এগুলো দীর্ঘসময় বরফে সংরক্ষিত ছিল। ফলে এর স্বাদ ও গুণগত মান নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ ক্রেতাও কমেছে।
গতকাল ইয়াওম বাকি অংশ পড়ুন...
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা:
বঙ্গোপোসাগরে জেলে সাদ্দাম হোসেনের জালে আড়াই কেজি ওজনের একটি বড় ইলিশ ধরা হড়েছে। ইলিশটি কমলনগরের মতিরহাট মাছঘাটে ডাকে ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
গতকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) ইলিশটি সর্বোচ্চ দামে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন।
জানা গেছে, ভোলার জেলে সাদ্দাম ১৫ জন সঙ্গী নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে জাল ফেললে অন্যান্য ইলিশের সঙ্গে ওই বড় ইলিশটিও ধরা পড়ে। পরে মাছটি আড়তে আনা হলে ডাকে (নিলামে) ৯ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে মেঘনা নদীতে মাছ কম পাওয়াতে তিনি এমন চড়া দাম পেয় বাকি অংশ পড়ুন...
চাঁদপুর সংবাদদাতা:
সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শনিবার দিবাগত মধ্য রাতে। এরই মধ্যে চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় জেলেরা ইলিশ ধরার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় অবসর জেলেদের সময় ভালো কাটেনি। সরকারি সহায়তা পেলেও তা ছিল খুবই কম। তবে নিষেধাজ্ঞা শেষে আবার নতুন করে জাল নিয়ে নদীতে নামবেন।
সরেজমিন মেঘনা উপকূলীয় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জেলেদের ইলিশ ধরার জন্য নামতে ব্যস্ততা। এসব এলাকার বেশিরভাগ লোকজন ইলিশসহ অন্য মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষ বাকি অংশ পড়ুন...
চাঁদপুর সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারী ‘নিষেধাজ্ঞা’ না মেনে ইলিশ ধরায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
গতকাল ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার) জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার সময় ৫৪ ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ৩৯৯ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিদর্শন করা হয়- মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ১৯ বার, মাছঘাট ২৯২ বার, আড়ত ১ হাজার ২০১ বার।
এসব অভিযানে জব্দ জালের পরিমাণ ৫ লাখ ৩ হাজার ৪২ মিটার। যার আনুমানিক মূল্ বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের নৌসীমায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা অন্যায়, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গতকাল ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সাভার প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, নদী বা সাগরে নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের জেলেরা গেলে তাদের পুলিশ কিংবা কোস্টগার্ড আটক করে। সে সময় সাগর যখন ফাঁকা থাকে, তখন ভারতীয় জে বাকি অংশ পড়ুন...
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। বার্ষিক উৎপাদন প্রায় তিন লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য দশ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আর জিডিপিতে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় এক শতাংশ।
ওয়ার্ল্ডফিশের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৮৬ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ইলিশের চারটি প্রজনন ক্ষেত্র এবং ছয়টি অভয়াশ্রম আছে।
ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞাকালে কাছাকাছি দেশগুলোর জেলেরা গোপনে আমাদের পানিসীমায় ঢুকে ইলিশ শিকার করে নিয়ে যায়। ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, চীন তাদের দৈত্যাকার বিশাল ফিশিং বোট দিয়ে দিনরা বাকি অংশ পড়ুন...
কক্সবাজার সংবাদদাতা:
ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকা ২৬ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। ওই জেলেরা একটি ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ৫ দিন ধরে সাগরে ভাসছিল। যদিও গত ৪ অক্টোবর থেকে সাগরে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার সিয়াম উল হক। তবে তিনি তাৎক্ষণিক বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, সাগরে মা ইলিশ সংরক্ষনে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করছে নৌ বাহিনীর ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ। জাহাজগুলো বঙ্গোপসা বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০০৭ সালের এক গবেষণায় দেখানো হয়, ১৯৭৫ সালে ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মাণের পর গঙ্গার উজান অঞ্চলে ইলিশ ধরা ৮০-৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ২০২০ সালে রিসার্চগেটে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, গঙ্গা নদীতে ভারতের তৈরি ফারাক্কা ব্যারেজ ইলিশের স্বাভাবিক অভিবাসনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ব্যারেজের কারণে ইলিশের আকার ছোট হচ্ছে, প্রজনন কমছে এবং ধরা পড়ার পরিমাণও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
গবেষকরা ফারাক্কার উজান ও ভাটির বিভিন্ন স্টেশনে সরেজমিনে জরিপ চালায়। দেখা যায়, ব্যারেজের ওপরের অংশে ধরা পড়া ইলিশের সংখ্যা ও আকার উভয়ই কম। বিশেষ করে পূ বাকি অংশ পড়ুন...












