নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার (الإبل) বা উট মুবারক ছিলেন ৪টি। যথা-
(১) ‘ক্বাছওয়া’ (الْقَصْوَاءُ)। যাতে সাওয়ার হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের সফরে গমন করেন এবং পবিত্র বিদায় হজ্জের সময় পবিত্র আরাফার ময়দানে খুতবা মুবারক দেন। (বুখারী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৪৪০০; তিরমিযী শরীফ, হাদীছ শরীফ নং ৩৭৮৬)
(২) ‘আযবা’ (الْعَضْبَاءُ) ও (৩) ‘জাদ‘আ’ (الْجَدْعَاءُ) নামে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আরও দু’টি উষ্ট বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ কবুলের আলামতসমূহ:
১. ভয় লাগা, ভীতি সঞ্চার হওয়া।
২. অন্তরের পরিবর্তন হওয়া, অসাধারণ অবস্থার সৃষ্টি হওয়া।
৩. শরীরের পশম দাড়িয়ে যাওয়া, শরীর শিউরে উঠা।
৪. অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়া।
৫. বিকট আওয়াজে ক্রন্দন করা।
৬. অজান্তেই হেসে দেয়া।
৭. অন্তরের পরিবর্তনের পর প্রফুল্লতা অনুভব করা।
৮. হৃদয় ও মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যাওয়া।
৯. সব কিছু হালকা পাতলা ও ঝরঝরে মনে হওয়া।
১০. নিজের উপর থেকে কোন বিপদ কেটে গেছে এমনটি মনে হওয়া।
১১. যা দু‘আ করেছে সরাসরি সেটা পাওয়া।
১২. যা চেয়েছে তার থেকে উত্তম কিছু পাওয়া।
১৩. ক্বলব বা অন্তরে ইতমিনান বা প্ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দু‘আ বা মুনাজাত কবুলের সময়:
২. পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার প্রথম ১০ দিন ১০ রাত।
৩. বিশেষ করে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৯ তারিখ। অর্থাৎ পবিত্র আরাফাহ্র দিবসে।
৪. পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে।
৫. পবিত্র জুমুআহ বার দিনে ও রাতে।
৬. রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে।
৭. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে।
৮. রাতের বেলার দু‘আ। বিশেষতঃ মধ্য রাতের দু‘আ।
৯. শেষ রাতের এক ষষ্ঠাংশে।
১০. ছুবহে ছাদিকের সময়।
১১. মুয়াযযিন যখন আযান দিতে থাকে।
১২. পবিত্র আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
১৩. পবিত্র তাকবীর আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে।
১৪. জিহাদের ময়দানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর পর।
বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
২১. এমন বাক্য দ্বারা দু‘আ করা যা ছোট হলেও ব্যাপক অর্থবহ। অর্থাৎ যেই বাক্যের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে সে সমস্ত বাক্য দ্বারা দু‘আ করা।
২২. চক্ষু বন্ধ করে একাগ্রতার সাথে দু‘আ করা। দু‘আর সময় হা করে উপরের দিকে তাকিয়ে না থাকা।
২৩. গানের মত সুর করে দু‘আ না করা। সম্মানিত শরীয়তে এ ধরণের দু‘আ করার কোন ভিত্তি নেই।
২৪. সম্পর্ক বিচ্ছেদ বা কোন গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্য দু‘আ না করা।
২৫. দু‘আর সময় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রহমত-দয়া মুবারক উনার আরজী করে দু‘আ করা।
২৬. দু‘আ কবুল হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত লায়লা বিনতে আবূ হাশমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নাম মুবারক লায়লা। উম্মে আব্দুল্লাহ উনার কুনিয়াত। বিখ্যাত ও পবিত্র কুরাইশ নসবের ‘আদী কবিলায়’ উনার বিলাদত শরীফ।
হযরত আমের ইবনে রবীআ আম্বরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে উনার নিকাহ মুবারক হয়।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত পেয়ে আহালের সাথেই তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করে অতুলনীয় সৌভাগ্যের অধিকারিণী হন।
হযরত লায়লা বিনতে আবূ হাশমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি প্রথমে হাবশায় এবং পরে মহাপবিত্র মদীনা শরীফে হিজরত মুবারক করেন।
যে সকল সম্মানিত মহিলা ছাহাবী বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত লায়লা বিনতে আবূ হাশমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নাম মুবারক লায়লা। উম্মে আব্দুল্লাহ উনার কুনিয়াত। বিখ্যাত ও পবিত্র কুরাইশ নসবের ‘আদী কবিলায়’ উনার বিলাদত শরীফ।
হযরত আমের ইবনে রবীআ আম্বরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে উনার নিকাহ মুবারক হয়।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত পেয়ে আহালের সাথেই তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করে অতুলনীয় সৌভাগ্যের অধিকারিণী হন।
হযরত লায়লা বিনতে আবূ হাশমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি প্রথমে হাবশায় এবং পরে মহাপবিত্র মদীনা শরীফে হিজরত মুবারক করেন।
যে সকল সম্মানিত মহিলা ছাহাবী বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ‘খিলাফতের সময় সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সিরিয়ায় যে অভিযান প্রেরণ করেন তাতে হযরত আমর ইবনুল আস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত শুরাহবীল ইবনে হাসানা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে আমীর নিযুক্ত করেন। মুজাহিদ বাহিনীকে রওয়ানা করার পূর্বে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি যে নছীহত মুবারক করেন তা বিশ্বের সমর ইতিহাসে একেবারেই বিরল।
তিনি সেই অবিস্মরণীয় নছীহত মুবারক-এ বলেন, “হে মুসলিম মুজাহিদ বাহিনী! আমি আপনাদেরকে ন বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত জোড় ও বিজোড় উনাদের গুরুত্ব:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফজর শরীফ উনার ৩নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ ﴿٣﴾
অর্থ : কসম জোড় ও বিজোড়ের”।
এই আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْوَتْرُ يَوْمُ عَرَفَةَ وَالشَّفْعُ يَوْمُ النَّحْرِ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বিজোড় হচ্ছে আরাফার দিন আর জোড় হচ্ছে ইয়াওমুন নহর বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার শেষ দশকের বেজোড় সংখ্যক রাতে পবিত্র ক্বদর শরীফ তালাশ করা খাছ সুন্নত মুবারক। মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র শবে ক্বদর শরীফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-ফযীলতপূর্ণ দিবস মুবারক।
সকলকেই এই মহামান্বিত ‘লাইলাতুল ক্বদর’ উনার পরিপূর্ণ নি’য়ামত, রহমত-বরকত অর্জন করতে হবে। এই বরকতময় রাত্রিতে অবহেলা-অলসতা আর খোশগল্পে কাটানো কোনোক্রমেই নেককারদের কাজ হবে না।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও ইখলাছের সাথে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনা বাকি অংশ পড়ুন...












