সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন পারিবারিকভাবে অত্যন্ত উচ্চ বংশীয়। প্রাথমিক জীবনে তিনি একদিন একটি কাফেলার সাথে উনার নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ‘ক্বায়েস গোত্র’ উনাদের কাফেলার সব কিছু ছিনিয়ে নিলো। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও নিয়ে গিয়ে গোলাম হিসেবে বিক্রি করে দিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত হাকিম ইবনে হায্ম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুফু উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের অবস্থা মুবারক:
আযাদীর পরিবর্তে গোলামীকে বেছে নেয়া:
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন পারিবারিকভাবে অত্যন্ত উচ্চ বংশীয়। প্রাথমিক জীবনে তিনি একদিন একটি কাফেলার সাথে উনার নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ‘ক্বায়েস গোত্র’ উনাদের কাফেলার সব কিছু ছিনিয়ে নিলো। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-
إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنِ الْقَوْمُ أَوْ مَنِ الْوَفْدُ قَالُوْا رَبِيْعَةُ قَالَ مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ أَوْ بِالْوَفْدِ غَيْرَ خَزَايَا وَلَا نَدَامَى فَقَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّا لَا نَسْتَطِيْعُ أَنْ نَأْتِيَكَ إِلاَّ فِيْ شَهْرِ الْحَرَامِ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَىُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فَصْلٍ نُخْبِرْ بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا وَنَدْخُلْ بِهِ الْجَنَّةَ وَسَأَلُوْهُ عَنِ الأَشْرِبَةِ فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ أَمَرَهُمْ بِالإِيْمَانِ بِاللهِ وَحْدَهُ قَالَ أَتَدْرُوْنَ বাকি অংশ পড়ুন...
শরীয়তের ফতওয়া অনুযায়ী ক্বদমবুছী নেয়া বা করার জন্য অনুমতি দান করা আখাছ্ছুল খাছ সুন্নত মুবারক:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أُمِّ أَبَانَ بِنْتِ الْوَازِعِ بْنِ زَارِعٍ رَحْمَة اللهِ عَلَيْهَا عَنْ جَدِّهَا زَارِعٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّـى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَه
অর্থ: হযরত উম্মু আবান বিনতে ওয়াযি’ ইবনে যারি’ রহমতুল্লাহি আলাইহা তিনি উনার সম্মানিত দাদা হযরত যারি’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণ বাকি অংশ পড়ুন...
ফযীলত ও মর্যাদা:
হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনায় অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। উনার বর্ণিত হাদীছ শরীফের সংখ্যা ৮৪৮টি। বিশিষ্ট ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনাদের এক দল যেমন- হযরত আবু মূসা, হযরত আবু হুরায়রা, হযরত ইবনে আব্বাস, হযরত ইবনে উমর, হযরত ইমরান বিন হুসাইন, হযরত জাবির, হযরত আনাস, হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম প্রমুখ উনার নিকট থেকে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। প্রসিদ্ধ তাবেয়ীদের মধ্যে হযরত আলকামা, হযরত আসওয়াদ, হযরত মাসরূক, হযরত উবায়দা, হযরত আবু ওয়াছিলা, হযরত ক্বায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন পারিবারিকভাবে অত্যন্ত উচ্চ বংশীয়। প্রাথমিক জীবনে তিনি একদিন একটি কাফেলার সাথে উনার নানার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ‘ক্বায়েস গোত্র’ উনাদের কাফেলার সব কিছু ছিনিয়ে নিলো। এমনকি সাইয়্যিদুনা হযরত যায়েদ ইবনে হারিছাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকেও নিয়ে গিয়ে গোলাম হিসেবে বিক্রি করে দিলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত হাকিম ইবনে হায্ম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফুফু উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত হুসাইন বিন আবিল হুর আল-আনবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, একবার আমি সিরিয়া গেলাম। সেখানে আমি হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম। লোকেরা বলল, তিনি এখানে এক বৃদ্ধা মহিলার আশ্রয়ে জীবন যাপন করেন। অতঃপর আমি উক্ত বৃদ্ধা মহিলার নিকট গিয়ে উনার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। সেই বৃদ্ধা মহিলা বললেন, তিনি ঐ পাহাড়ের পাদ-দেশে রাত্র-দিন নামায পড়েন। যদি উনার সাথে সাক্ষাত করতে ইচ্ছা হয়, তবে সন্ধ্যায় ইফতারের সময় আসবেন।
বর্ণনাকারী হযরত হুসাইন বিন আবিল হুর আল-আনবারী রহমতুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত মুহম্মদ ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত- হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলা হলো, অমুক খুব ছূরত তরুণী বেহেশতে আপনার আহলিয়া হবেন। ইহা শুনে তিনি উক্ত তরুণীর অনুসন্ধানে বের হলেন। অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পেলেন, সেই তরুণী এক অসভ্য বেদুঈন পরিবারের বাঁদী, তাদের মেষ চরান। যখন হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেখানে পৌঁছলেন, তারা সেই তরুণীকে গালি-গালাজ করছিল, তার প্রতি রুক্ষ ব্যবহার করছিল, অতঃপর তার দিকে দু’টি রুটি ছুঁড়ে মারল। অতঃপর সেই বাঁদী রুটি দু’টি নিয়ে উনা বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য ঘটনা:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন কোন জিহাদে লোকদেরকে সঙ্গী হিসাবে গ্রহণ করতেন, তিনি তাদের সাথে শর্ত করে নিতেন। তিনি তাদের খিদমত করবেন, তিনিই নামাযের আযান দিবেন এবং উনার সামর্থ্য অনুসারে তিনিই তাদের জন্য খরচ করবেন, এসবে সঙ্গীদের কেউ কোন আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)
হযরত ছাবা বিন আবী আবদা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনার গোত্রের একজন সত্যবাদী লোক উনাকে বলেছেন, আমি হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বাকি অংশ পড়ুন...
বছরা থেকে সিরিয়ায় স্থানান্তর:
হযরত বিলাল বিন সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, প্রাদেশিক গভর্ণর যিয়াদের নিকট হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে কিছু লোক অভিযোগ করে যে, আমাদের এখানে এক ব্যক্তি রয়েছে, যাঁর সম্মুখে যখন বলা হয়, হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি কি আপনার অপেক্ষা উত্তম নন? তখন সেই ব্যক্তি চুপ করে থাকেন, এই কথার কোন উত্তর করেন না। আর সেই ব্যক্তি স্ত্রীলোক গ্রহণ করেন না অর্থাৎ বিবাহ করেন না। প্রাদেশিক গভর্ণর এই বিষয়টি তৎকালীন খলীফা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নিকট লিখিতভাবে জ বাকি অংশ পড়ুন...
কারামত মুবারক:
বর্ণিত আছে যে, হযরত আমির বিন আবদিল ক্বায়েস রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন উনার অন্তরকে স্ত্রীলোকের আকর্ষণ থেকে মুক্ত রাখেন। অতঃপর কোন পুরুষের সাথে সাক্ষাত অথবা কোন মহিলার সাথে সাক্ষাত এই উভয় ক্ষেত্রে উনার কোন মানসিক পরিবর্তন ঘটত না। আর তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরজ করেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন নামাযের মধ্যে উনার অন্তরকে শয়তান থেকে মুক্ত রাখেন। সুতরাং শয়তান নামাযের মধ্যে উনার কোন ক্ষতি করতে পারত না। বর্ণিত আছে যে, তিনি গৃহের বাইরে রাত্রি যাপন বাকি অংশ পড়ুন...












