পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী ফুটবল-ক্রিকেটসহ সমস্ত খেলাধুলাই হারাম। মাঠে গিয়ে হোক আর টিভিতে হোক সর্বাবস্থায়ই খেলা দেখা হারাম ও কবীরাহ গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত কিতাব, মুস্তাদরাকে হাকিম শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُلُّ لَعِ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
উক্ত কিতাবে পবিত্র জুমু‘আর নামাযসমূহের বর্ণনা এভাবে দেয়া হয়েছে,
اَنْ يُّصَلِّىَ اَلسُّنَّةَ أَرْبَعًا ثُمَّ الْجُمُعَةَ ثُمَّ يَنْوِىْ أَرْبَعًا سُنَّةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ يُصَلِّىَ الظُّهْرَ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ سُنَّةَ الْوَقْتِ فَهٰذَا هُوَ الصَّحِيْحُ الْمُخْتَارُ
অর্থ: “প্রথমে (ছলাতুল জুমুআহ আদায়ের পূর্বে) ৪ রাকাত সুন্নাত পড়তে হবে। এরপর পবিত্র ছলাতুল জুমু‘আহ শরীফ আদায় করতে হবে। তারপর ৪ রাকাত সুন্নাতুল জুমু‘আহ অর্থাৎ বা’দাল জুমু‘আহর নিয়্যত করবে, অতঃপর আখেরী যোহর আদায় করবে (এটা মুস্তাহাব, সব স্থানে আদায় করতে হয়না), সর্বশেষ ২ র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يـَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاَمْرَأَةٍ اِلَّا ثَالِثُهَا الشَّيْطَانُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম!) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয়। অর্থাৎ তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত করার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে।” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُواْ بِاللّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ
অর্থ: আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, আমার রব তায়ালা তিনি সমস্ত প্রকার অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন সেটা প্রকাশ্য হোক এবং অপ্রকাশ্য হোক। আর হারাম করেছেন সমস্ত গুনাহের কাজ, অন্যায়-অত্যাচার। মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে এমন বস্তুকে শরীক করা, তিনি যার কোন সনদ বা দলীল নাযিল করেননি। আর মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
সেটাই বলা হয়েছে যে, আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। যাঁরা আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবে তারা প্রকৃতপক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারই ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলো। সেটাই কিতাবে এসেছে, বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
ہر کے خواہد ہمنشینی باخدا +گو ناشیند در حضور اولیاء
অর্থ : যদি কোনো ব্যক্তি চায় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উঠা-বসা করতে, তাহলে সে যেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের সাথে উঠা-বসা করে। সুবহ বাকি অংশ পড়ুন...
শরীয়তসম্মত নয় এমন কোন কারণে যে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার উদ্দেশ্যে দু‘আ করে তার দু‘আ কবুল হয় না:
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت جَابِرٍ رضى الله تعالى عنه قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ
অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি বলতে শুনেছি: তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- কোন ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুব বাকি অংশ পড়ুন...
দু‘আ বা মুনাজাত উনার সম্মানিত আদব:
২১. এমন বাক্য দ্বারা দু‘আ করা যা ছোট হলেও ব্যাপক অর্থবহ। অর্থাৎ যেই বাক্যের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে সে সমস্ত বাক্য দ্বারা দু‘আ করা।
২২. চক্ষু বন্ধ করে একাগ্রতার সাথে দু‘আ করা। দু‘আর সময় হা করে উপরের দিকে তাকিয়ে না থাকা।
২৩. গানের মত সুর করে দু‘আ না করা। সম্মানিত শরীয়তে এ ধরণের দু‘আ করার কোন ভিত্তি নেই।
২৪. সম্পর্ক বিচ্ছেদ বা কোন গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ার জন্য দু‘আ না করা।
২৫. দু‘আর সময় মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত রহমত-দয়া মুবারক উনার আরজী করে দু‘আ করা।
২৬. দু‘আ কবুল হওয়া বাকি অংশ পড়ুন...












