বংশীয় পবিত্রতা মুবারক:
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: (আমার হাবীব মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টিও ছিল সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: আয়াত শরীফ ২১৯)
‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে-
فَالْاٰيَةُ دَالَّـةٌ عَلـٰى اَنَّ جَمِيعَ ابَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانُوْا مُسْلِمِيْنَ.
অর্থ: এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ২৩ নম্বর আয়াত শরীফ:
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلاتِ الْمُؤْمِنَاتِ لُعِنُوا فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
অথ : নিশ্চয়ই যারা অপবাদ দেয়, যে সমস্ত সতী-সাধবী মহিলা, পবিত্রা মহিলা উনারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। (উনারা অপরাধতো করেন নাই বরং এ বিষয়ে উনাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। উনাদের বিরুদ্ধে তোমরা তোহমত দিও না, দিলে কি হবে?) যে অপবাদ দিবে তার জন্য ইহকাল পরকালে কঠিন লা’নত রয়েছে। এবং তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রাখা হয়েছে।” নাউযুবিল্লাহ!
অর বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পবিত্রতার অতীব গুরুত্ব রয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلطُّهُوْرُ شَطْرُ الْإِيمَانِ
অর্থ: ‘পবিত্রতা অর্জন করা সম্মানিত ঈমান উনার অঙ্গ।’ সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই সকল লোকদেরকে মুহব্বত করেন; যারা উনার কাছে বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করে, এবং যারা বেশি পাক-পবিত্র থাকে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনূ কুরাইজা উনার জিহাদ মুবারক:
উল্লেখ্য যে, ইহুদী হুয়াই ইবনে আখতাব সে কা’ব ইবনে আসাদের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছিলো। কুরাইশ কাফির মুশরিক ও গাতফানরা চলে যাওয়ার পর কা’ব ইবনে আসাদ সে বনূ কুরাইজার সাথে তাদের দুর্গে ঠাঁই নেয়। বনূ কুরাইজা যখন বুঝে ফেললো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদেরকে ধ্বংস না করে ফিরবেন না। তখন কা’ব ইবনে আসাদ তাদের লক্ষ্য করে বললো, “হে ইহুদী সম্প্রদায়! আজ তোমরা যে অবস্থার সম্মুখীন হয়েছো, তাতো তোমরা দেখতেই পাচ্ছো। আমি তোমাদের সামনে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সূরা নূর শরীফ উনার ২১ নম্বর আয়াত শরীফ:
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ وَمَن يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَوْلا فَضْلُ اللهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ مَا زَكَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ أَبَدًا وَلَكِنَّ اللهَ يُزَكِّي مَن يَشَاء وَاللهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ.
অর্র্থ : হে ঈমাদারগণ! তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। যে শয়তানের পদাংক অনুসরণ করবে, অবশ্যই শয়তান তোমাদেরকে অশ্লীল-অশালীন, হারাম কাজে ওয়াসওয়াসা দিয়ে গোমরাহ করে ফেলবে। নাউযুবিল্লাহ! যদি খ¦লিক মালিক রব ম বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সকলের জন্য সর্বাবস্থায় অনুসরণীয়। কাজেই, নামায-কালাম, ইবাদত-বন্দেগী, ওযূ-গোসল, তায়াম্মুম, ইস্তিঞ্জা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজার-সদাইসহ যাবতীয় বিষয়ে তিনি অনুসরণীয়। উনাকেই সব বিষয়ে অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোন লজ্জাবোধ করা যাবে না এবং হীনমন্যতায় ভোগা যাবে না। আজকে, আমাদের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, “ইস্তিঞ্জার মাসয়ালা-মাসায়িল ও ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক” এ সম্পর্কে।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের কত বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক তা স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরাআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! প্রত্যেকটা পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উনাদের শান-মান, বুযূর্গী, সম্মান মুবারক স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
‘আমরা সে বিষয়গুলো সবসময় বলে থাকি।’ সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহি বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিব্তু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ্বামিস আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল উখরা শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) ১২টা ২৭ মিনিটে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি হচ্ছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শি বাকি অংশ পড়ুন...
তাইয়াম্মুমের জরুরী মাসায়িল
১. মাটিতে কোনো নাজাসাত পতিত হয়ে তা যদি শুকিয়ে যায় এবং দুর্গন্ধও চলে যায়, তবে উক্ত মাটি পাক এবং তার উপর নামায পড়া জায়িয হবে। কিন্তু সেই মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয হবে না।
২. যদি কোনো স্থানে কাদা বা ভিজা মাটি ব্যতীত অন্য কোনো জিনিস না পাওয়া যায়, তবে তা কাপড়ে বা শরীরে মেখে, শুকানোর পর উক্ত মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম করাই উত্তম যদিও কাদা মাটি দ্বারা তাইয়াম্মুম জায়িয রয়েছে।
আর যদি নামাযের ওয়াক্ত ফউত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে কাদা মাটি দ্বারাই তাইয়াম্মুম করে নামায আদায় করতে হবে, নামায ক্বাযা করা যাবে না।
৩. বন্ বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত শব্দের অর্থ :
যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অতিরিক্ত যদি কোন মাল বা অর্থ-সম্পদ নিছাব বাকি অংশ পড়ুন...












