বাজারের ভেজাল প্রসাধনীর ভিড়ে ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখা কঠিন। দামি ক্রিম, ফেস প্যাক বা পার্লারের ট্রিটমেন্ট যদি নির্ভেজাল হয় তাহলে অসুবিধা নেই অন্যথায় এ সমস্যা থেকে উত্তরণে উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রাকৃতিক উপাদানেই রয়েছে। আমাদের আশপাশের অনেক সাধারণ ফল আছে যেগুলো প্রতিদিন খেলে ত্বক ভেতর থেকে সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। দেশে সহজেই পাওয়া যায় এমন কিছু ফল রয়েছে যেগুলো ত্বকের আভিজাত্য ও সুস্থতা ধরে রাখতে দারুণ উপকারী।
জেনে নিন এমন ৫টি ফল সম্পর্কে যেগুলো নিয়মিত খেলে বা ত্বকে ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্ব বাকি অংশ পড়ুন...
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আম খাওয়ার পর আমরা সাধারণত বিচি ফেলে দিই। কিন্তু জানেন কি? এখন সেই আমের বিচিই বিক্রি হচ্ছে ভালো দামে! আগে যেটাকে কেউ মূল্য দিত না, আজ সেটাই হয়ে উঠেছে টাকার খনি। আমের বিচির চাহিদা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত। কারণ এর ভেষজ গুণ, খাদ্যমান, এবং প্রসাধনীতে এর অবিশ্বাস্য ব্যবহার।
কেন এত চাহিদা আমের বিচির?
বর্তমানে আমের বিচি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মূল্যবান পণ্য। আমের বিচি শুকিয়ে গুঁড়া করে তা ব্যবহার করা হচ্ছে: হারবাল চা, ডায়রিয়া ও আমাশয়ের ভেষজ ওষুধ, ওজন কমানোর খাবার, গ্লুটন ফ্রি ফ্লাওয়ার, প্রাকৃতিক ফেস বাকি অংশ পড়ুন...
স্থানীয় একটি জনপ্রিয় ফল পেঁপে। এটি সবজি হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হয়। পেটের নানা রোগবালাই দূরীকরণে কাঁচা পেঁপে খুবই কার্যকরী। শুধু পেটের সমস্যায় নয়, আরও অনেক নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় এই ফলের উপকারিতা অনেক।
অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছে তারা অনায়াসে খেতে পারে এ ফলটি। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিচে পেঁপের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হলো-
ত্বকের সমস্যা ও ক্ষত দূর করে:
পেঁপেতে বিদ্যমান পুষ্ বাকি অংশ পড়ুন...
মেছতার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ত্বকের এক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলো মেছতা। একবার মেছতার দাগ পড়লে ত্বকের সৌন্দর্য পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায়।
যাদের মুখে মেছতা আছে, তারা বিভিন্ন বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বকের আরও ক্ষতি করেন। এসব ব্যবহারে মেছতার দাগ হালকা হয় ঠিকই, কিন্তু কিছুদিন পর আবারও দাগ গাঢ় হতে থাকে।
তাই ভরসা রাখুন ভেষজ উপাদানে। এতে সময় লাগলেও এক সময় দেখবেন মেছতার দাগ ধীরে ধীরে উঠে যাবে। ঘরোয়া এক ফেসপ্যাক ব্যবহারেই মুখের মেছতার দাগ সহজেই দূর করতে পারবেন।
এজন্য যা যা লাগবে-
টমেটো বাটা ২ টেবিল চামচ, বেসন ২ টেবিল চামচ, মধু ১ চা চা বাকি অংশ পড়ুন...
ত্বক ভালো রাখতে অনেকেই নানা জিনিস ব্যবহার করেন। বাড়ীর রান্না ঘরেই রয়েছে ত্বক মসৃণ ও চকচকে রাখার উপাদান। ঘিতে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা নিস্তেজ ত্বকের কোমলতা ফেরায় এবং ত্বককে নরম করে। প্রথমে এক চা চামচ হলুদের সঙ্গে ২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে নিন। তার পর সেটি মুখে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ভালো করে ধুয়ে নিন। হলুদের ঔষধী গুণ মুখের কালো দাগ, পিগমেন্টেশনের জন্যে আদর্শ সমাধান। এছাড়া ঘি এর ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকেও লাগাতে পারেন। একটি বাটিতে ২ চা চামচ ঘি এবং ২ চা চামচ বেসন মেশান। তাতে এক চিমটে হলুদ দিন। শুকনো মুখে ফে বাকি অংশ পড়ুন...
ত্বক ভালো রাখতে অনেকেই অনেক রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেন। অথচ ক্যামিকেল মিশ্রিত প্রসাধনী ব্যবহারের চেয়ে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে অধিক উপকার পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, ঘরোয়া টোটকা হচ্ছে সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। আপনার বাসার রান্না ঘরেই রয়েছে ত্বক মসৃণ ও উজ্জল রাখার উপাদান। ঘি তে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা রূক্ষ ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বককে করে কোমল। প্রথমে ১চা চামচ হলুদের সঙ্গে ২চা চামচ ঘি মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি মুখে ম্যাসাজ করুন। মোটামুটি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ভালো করে ধুয়ে নিন। হলুদের ঔষধিগুণ ম বাকি অংশ পড়ুন...
ত্বকের যত্নে গোলাপ পানির জুড়ি মেলা ভার। বেশিরভাগ মানুষ গোলাপ পানিকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করেন। কেউ কেউ আবার ফেসপ্যাকেও গোলাপ পানি মেশান। কিন্তু এমন বেশ কিছু উপাদান রয়েছে, যা মেশানো চলে না গোলাপ পানির সাথে। গোলাপ পানির সঙ্গে ৪টি উপাদান মেশালে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
গোলাপ পানির সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মেশানো যায় না।
বেকিং সোডায় গোলাপ পানি মিশিয়ে মুখে মাখলেই বিপদ।
এমনকি লেবুর রসের সঙ্গেও গোলাপ পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগাবেন না।
সিরকার সঙ্গে গোলাপ পানি মিশিয়ে মাখলেও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
বাকি অংশ পড়ুন...












