প্রকৃতি মহান আল্লাহ পাক উনার শিল্প বা নিদর্শন। পবিত্র দ্বীন ইসলামে শুধু মাতৃভূমি, মাতৃভাষার প্রতি মুহব্বতের কথাই বর্ণনা হয়নি পাশাপাশি বর্ণিত হয়েছে প্রকৃতি এমনকি ঋতুর প্রতিও গভীর অনুরাগের কথা, ভালো লাগার কথা।
আমরা আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে নানা ধরনের ফল-ফুল ও সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাই। এগুলো একজন ঈমানদারের কাছে স্রেফ মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শন মনে হয়।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘এবং তিনি সেই সত্তা যিনি ভূতলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে অটল পাহাড় ও নদ-নদী সৃষ্টি করেছ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “তাফসীরে ইবনে কাছীরের” ৮ম খ-, ৩-৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
قَالَ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ فِى قَوْلِهٖ تَعَالٰى وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ....... قَالَ هُوَ وَاللهِ اَلْغِنَاءُ ....... وَكَذَا قَالَ اِبْنُ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَعِكْرَمَةَ وَسَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَمُجَاهِدٍ وَمَكْحُوْلٍ وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ وَعَلِىِّ بْنِ بُذَيْمَةَ وَقَالَ حَسَنُ الْبَصْرِىِّ نَزَلَتْ هٰذِهِ الْاٰيَةُ فِى الْغِنَاءِ وَالْمَزَامِيْرِ.
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি لَهْوَ الْحَدِيثِ -এর ব্যখ্যায় বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! لَهْ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পব বাকি অংশ পড়ুন...
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘ঐ ব্যক্তি কামিয়াব হয়েছে যে ব্যক্তি তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করেছে।’ আর হযরত ইমাম হাসান বছর বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
সেটাই বলা হয়েছে যে, আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো। যাঁরা আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করবে তারা প্রকৃতপক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারই ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলো। সেটাই কিতাবে এসেছে, বিশিষ্ট বুযুর্গ হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন রুমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন-
ہر کے خواہد ہمنشینی باخدا +گو ناشیند در حضور اولیاء
অর্থ : যদি কোনো ব্যক্তি চায় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উঠা-বসা করতে, তাহলে সে যেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের সাথে উঠা-বসা করে। সুবহ বাকি অংশ পড়ুন...
উনি অনেক চিন্তা করতে করতে গভীর রাতে ঘুমিয়ে গেলেন। ঘুমের মধ্যে তিনি স্বপ্নে শামাউনকে দেখলেন। সে স্বর্ণের মুকুট মাথায় প্রফুল্ল অবস্থায় দামী দামী পোশাক পরিচ্ছদ পরে বেহেশ্তের মধ্যে বিচরণ করছে, খুব হাসি-খুশি। সে বললো, হে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনার কথা আমি সত্য পেয়েছি। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, কেমন আছ? আপনি যেমন দেখছেন। বললো, হুযূর! আপনার এই কাগজটার এখন আর জরুরত নেই, আপনি এটা নিয়ে নেন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি চিন্তা করছিলেন, কাগজটা আবার যদি ক্বিয়ামতের দিন পেশ করে, তাহলে আমার কি অবস্থা বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ওয়াকেয়া উল্লেখ করা হয়। উনার প্রতিবেশীর মধ্যে শামাউন নামে একজন মজুসী (অর্থাৎ অগ্নি উপাসক) ছিল এবং সে ব্যক্তি সত্তর বছর হায়াত পেয়েছে। তার যখন মৃত্যুর সময় হলো, তখন এক ব্যক্তি সংবাদ দিল হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। হুযূর! আপনার প্রতিবেশী যে মজুসী শামাউন সেতো মারা যাচ্ছে। আপনি একটু দয়া করে তাকে নছীহত করুন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি আসলেন। এসে বললেন, হে শামাউন, তুমি তো সারা জীবন অগ্নি উপাসনা করলে, এখন আর কত করবে? সত্তর বছর হয়ে গেছে, তার চেহারাটা কালো হয়ে গেছে, শরীরট বাকি অংশ পড়ুন...
তাহলে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যাঁরা নেককার উম্মত হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত মুবারক যদি কেউ ইখতিয়ার করে সে কত বেমেছাল ফযীলত, বুযুর্গী, সম্মান মুবারক হাছিল করবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ بَـهْذِ بْنِ حَكِيْمٍ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنِ اسْتَقْبَلَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ اِسْتَقْبَلَنِىْ وَمَنْ زَارَ الْعُلَمَاءَ فَقَدْ زَا বাকি অংশ পড়ুন...
সে আরো দোয়া করলো, কান্নাকাটি করলো, তারপর সে তার মাথা উত্তোলন করলো এবং সামনে বসা হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বললো, হুযূর! আমাকে আপনি চিনেছেন?
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, “কে তুমি”?
আপনার কি স্মরণ নেই, বছরার বাজারে একবার এক ইহুদী মহিলা, একটা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছিলো, আপনি নিষেধ করেছিলেন। আমি সেই মহিলা। আমি বলেছিলাম, হুযূর! মহান আল্লাহ পাক তিনিতো দিলের খবর রাখেন।
হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, তুমি কি সেই মহিলা? মহিলা বললো, হুযূর! আমি যে দান করেছিলাম তার বদৌলতে মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
ঐ কুলি ছেলেটি আবার মাছটা নিয়ে বাড়ীতে পৌঁছায়ে দিয়ে পারিশ্রমিক নেয়ার পর বললো, আমাকে তাহলে এখন চলে যাওয়ার এজাযত দেন।
কিন্তু বুযুর্গ ব্যক্তির স্ত্রী ঘটনাটা শুনার পর বললেন, তাহলে এক কাজ করেন, এই কুলি ছেলেটাকে দাওয়াত দেন। সেও আমাদের সাথে মাছ খাবে।
কিন্তু সেই কুলি ছেলেটি বললো, আমি একবার যেখানে যাই দ্বিতীয়বার সেখানে যাই না আর আমি আজকে রোযা। তখন সেই বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, তাহলে তুমি এক কাজ করো, আমাদের সাথে ইফতারী করে যাও। সে বললো, তাহলে আমি আপনাদের বাড়ীর নিকটে যে মসজিদ, সেখানে অপেক্ষা করতে থাকি। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে ইফতারীর পরে খাওয়া-দ বাকি অংশ পড়ুন...












