হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, একদা আমি এবং খাতুনে জান্নাত হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে গেলাম। আমরা দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরুল মহ্ববত মুবারক প্রকাশ করছেন অর্থাৎ কান্না মুবারক করছেন।
আমরা সবিনয়ে আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি এভাবে কেন নূরুল মহ্ববত (কান্না) মুবারক প্রকাশ করছ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, ‘সম্মানিত যমযম কূপ মুবারক খনন করার সময় কুরাইশদের সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিবাদ হয়েছিলো, তার প্রেক্ষিতে তিনি মানত করেছিলেন, যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে দশ জন আওলাদ (পুত্র সন্তান) দান করেন, তাহলে উনাদের একজনকে পবিত্র কা’বা শরীফ উনার নিকটে কুরবানী করবেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ইচ্ছা মুবারক পূরণ করলেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক রজনী মুবারকে কা’বা শরীফ উনার নিকটে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি স্বপ্ন মুবারকে বাকি অংশ পড়ুন...
দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘ই’জাযুল কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,
وَسَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمَّا زُجَّ بِهٖ فِـىْ عَالَـمِ الْعِزَّةِ اَرَادَ اَنْ يـَّخْلَعَ نَـعْلَـيْهِ فَاِذَا النِّـدَاءُ يَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَـخْلَعْ نَـعْلَـيْكَ. فَـقَالَ يَا رَبِّ سَــمِعْـتُكَ تَـقُوْلُ لِـحَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاخْلَعْ نَـعْلَيْكَ. فَـقَالَ يَا سَيِّدَنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ لَئِنْ اَمَرْتُ حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ بِنَـزْعِ نَـعْلَيْهِ عَلـٰى বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـآ اَعْطَـيْـنٰكَ الْكَوْثَـرَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমি আপনাকে মহাসম্মানিত কাউছার মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছি। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
এই মহাসম্মানিত কাওছার মুবারক উনার লক্ষ-কোটি ব্যাখ্যা মুবারক রয়েছেন। উনাদের মধ্যে একখানা ব্যাখ্যা মুবারক হচ্ছেন, ‘খইরে কাছীর’ তথা সমস্ত প্রকার ভালাই। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত প্রকার ভালাই তথা সর্বো বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ সম্মানিত ১২ রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ অর্থাৎ ছুবহে ছাদিক্ব উনার সময় সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সময়টি ছিলো রাত্রি এবং দিন উভয়ের মাঝামাঝি। এর মাধমে মহান আল্লাহ পাক তিনি রাত ও বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা নারী জাতি, নারী কুল
ঘুণ ধরা সমাজের।
আমরা বলি,
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন জানিলাম আর্তনাদের ধ্বনিগুলো
আকাশে বাতাসে দুলিলো না;
সর্বহারা নারী জাতিদের দুঃখ-কষ্ট রহিলো না;
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত।
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন জানিলাম-
শয়নে-স্বপনে নারী সকল পুলকিত;
মায়া-মমতায় হৃদচেতনায়
এ ধরার বুকে শিহরিত।
খুশির আমেজ ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
বহিয়া চলিলো হেথায় ,
কুল-মাখলুক্বাত পড়িলো ক্বাছীদা
শান্তি পেল সবাই।
আমরা সেই দিনই হয়েছি শান্ত
যেদিন কনকচাঁপা, রজনীগন্ধা,
গোলাপ, হাসনাহেনা
আরো যত ফুল, ফুটিল বাগানে
সুবাসে মাতিলো ধরণ বাকি অংশ পড়ুন...












