এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিলেন, যেহেতু আপনাদেরকে এত পবিত্রা থেকে পবিত্রাতম করা হলো, তাহলে আপনাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে সেটা হচ্ছে-
وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا
“আপনাদের ঘরের মধ্যে যে সমস্ত আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে থাকে বা আলোচনা করা হয়ে থাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সমস্ত কথা বলে থাকেন অর্থাৎ যে সমস্ত হাদীছগুলো আপনাদের এখানে আলোচনা হয়ে থাকে সেগুলো আপনারা স্মরণ রাখুন এবং সে আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ মানুষদেরকে আপনারা সাধ্যমত, তা বাকি অংশ পড়ুন...
ইলিম অর্জন করা পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই ফরয। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুরুষ-মহিলা সকলের জন্য ইলিম অর্জন করা ফরয ঘোষণা করেছেন। পুরুষ ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ যেভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে তালিম নিতেন মহিলাগণ উনারাও অনুরূপভাবে তা’লীম নিতেন। পর্দার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পর শরয়ী পর্দার সাথে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট তা’লীম মুবারক গ্রহণ করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবু বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা, সে হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।”
আর নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “শয়তান মানুষের ক্বলবের উপর বসে থাকে। যখন সে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল থাকে তখন শয়তান তাকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে হারাম কাজে লিপ্ত করে দেয়।” নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্য বাকি অংশ পড়ুন...
ইমাম-মুজতাহিদ উনারা বলেন, হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলমে লাদুন্নী হাদিয়া করে থাকেন। হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বদ আক্বীদা পোষণকারী, বদ মানসিকতাসম্পন্ন এবং বদ আমলকারী কোনো মানুষের প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তার যে বিনাশসাধন হবে, এটিইতো সঙ্গত ও স্বাভাবিক। সূক্ষ্মদর্শী মাহবূব ওলীআল্লাহ উনাদের সম্পর্কে বদ আক্বীদা পোষণ এবং উনাদের বিরুদ্ধাচরণের কারণে উনাদের কোপানলগ্রস্ত হওয়ার কঠিন পরিণামফল সম্পর্কে কিতাবে বহু ঘটনা বর্ণিত রয়েছে।
যেমন: হযরত ফুযাইল বিন আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
খলীফা মামূনুর রশীদের নিকট অনেক শিকারী বাজপাখি ছিল। যখন সে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে চলে গেলো তখন তার একটি বাজ পাখিকে শিকারের জন্য ছেড়ে দিলো। বাজ পাখিটি অদৃশ্য হয়ে গেলো। অতঃপর বাজ পাখিটি তার চঞ্চুতে করে (থাবায় করে) সমুদ্র থেকে একটি অর্ধ জীবিত ছোট মাছ নিয়ে ফিরে আসলো। মামূনুর রশীদ এটা নিয়ে পূর্বের জায়গায় প্রত্যাবর্তন করলো। সে এসে দেখলো, বালকগুলো তখনও আগের অবস্থায়ই আছে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ আলাইহিস সালাম তিনিও তখন পর্যন্ত তাদের কাছেই অবস্থান করছেন। (মামূনুর রশীদকে দেখে) বালকগুলো আবার বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বারোজন ইমামের মাঝে হযরত ইমাম মুহম্মদ তক্বী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন নবম, তাই উনাকে হযরত ইমামুত তাসি’ আলাইহিস সালাম বলা হয়। সকলের মাঝে তিনি হযরত ইমাম মুহম্মদ জাওয়াদ আলাইহিস সালাম হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তবে উনার আসল নাম সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ আলাইহিস সালাম।
একদিন, তিনি বাগদাদের এক গলিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন কিছু বালক সেখানে খেলাধূলা করছিল। হঠাৎ তৎকালীন খলীফা মামূনুর রশীদ সে পথ দিয়ে গমন করলো, তখন সকল বালকরা (মামূনুর রশীদকে দেখে ভয়ে পথ ছেড়ে) পালিয়ে গেলো। কিন্তু হযরত ইমামুত তাসি’ আলাইহিস সা বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বারোজন ইমামের মাঝে হযরত ইমাম মুহম্মদ তাক্বী আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন নবম, তাই উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লক্বব মুবারকে সম্বোধন করা হয়। সকলের মাঝে তিনি হযরত ইমাম মুহম্মদ জাওয়াদ আলাইহিস সালাম হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তবে আসল নাম মুবারক সাইয়্যিদুনা মুহম্মদ আলাইহিস সালাম।
একদিন, তিনি বাগদাদ শরীফের এক গলিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন কিছু বালক বাগদাদের গলিতে খেলাধুলা করছিলো। হঠাৎ তৎকালীন কথিত খলীফা মামূনুর রশীদ সেখান দিয়ে গমন করল বাকি অংশ পড়ুন...












