খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থ্যাৎ উনাদের ঘোষণাকৃত চারটি হারাম বা সম্মানিত মাস উনাদের মধ্যে একটি হলো পবিত্র রজবুল হারাম মাস।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাস, পবিত্র শা’বান শরীফ হলেন আমার মাস এবং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হলেন আমার উম্মতের মাস।” সুবহানাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান মাস হচ্ছেন- শাহরুল্লাহ শরীফ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার মাস। এই মহান মাস উনাকে সম্মান করা, তা’যীম-তাকরীম করা সমস্ত মুসলমান, জিন-ইনসান সকলের জন্য ফরয।
এই মাস উনাকে কেন্দ্র করে মুসলিম উম্মাহ’র মাঝে অন্যরকম একটা আমেজ তৈরী হয়। প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে যেন ইবাদত বন্দেগীর উৎসব শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে এই সম্মানিত মাহিনা উনাকে কেন্দ্র করে নিত্য-প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী থেকে শুরু করে সব কিছুতে ব্যাপক ছাড় দেয়া হয়।
অথচ, এক্ষেত্রে আমাদের দেশের চিত্র পুরোপুরি উল্টা। রমাদ্বান মাস আসার কয়েকমাস আগ থেকে (অর্থাৎ এখন থেক বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাতের হিসাব কখন থেকে করতে হবে?
যাকাত বছরান্তে ফরয হয় এবং বছরান্তে যাকাতের হিসাব করা ওয়াজিব। চন্দ্র বছরের তথা আরবী বছরের যে কোন একটি মাস ও তারিখকে যাকাত হিসাবের জন্যে নির্ধারণ করতে হবে। বাংলা বা ইংরেজী বছর হিসাব করলে তা শুদ্ধ হবে না।
যাকাত পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যে দেয়াই উত্তম :
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যে ১টি ফরয আদায়ে ৭০টি ফরয আদায়ের ছাওয়াব দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা পবিত্র রমাদ্বান মাসের মধ্যেই যাকাত আদায় করতেন।
যেমন পবিত্র হা বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘আর রবি‘আহ্’ অর্থাৎ চতুর্থ। ’ বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই পবিত্র ছলাত বা নামায মু’মিনদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ে’।
পবিত্র ছলাত বা নামায সম্মানিত শরীয়ত উনার একটি বুনিয়াদী ফরয ইবাদত। সুবহানাল্লাহ! যা ইহকালে গুনাহখতা ক্ষমা করার ও পরকালে জান্নাত অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার একটি অন্যতম মাধ্যম।
তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত পবিত্র ছল বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُحْضُرُوا الْمِنْبَـرَ فَحَضَرْنَا فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ الثَّانِيَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمَّا اِرْتَقَى الدَّرَجَةَ الثَّالِثَةَ قَالَ اٰمِيْـنَ فَلَمّاَ نَزَلَ قُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ سَـمِعْنَا مِنْكَ الْيَوْمَ شَيْئًا مَا كُنَّا نَسْمَعُهٗ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ حَضْرَتْ جِبْـرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَرَضَ لِـىْ فَقَالَ بَعُدَ مَنْ اَدْرَكَ رَمَضَانَ فَلَمْ يُغْفَرْ لَهٗ قُل বাকি অংশ পড়ুন...
বলা হয়; গাউসুল আ’যম, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কারামত মুবারক এতবেশী ছিলো, যা লিখা ও বর্ণনার বাইরে। যার মধ্যে মিথ্যা ও বানোয়াঁটির লেশ মাত্র নেই। কেননা উনার পুরো অস্তিত্বটাই ছিলো কারামতের সাথে সম্পৃক্ত। উনার কারামত মুবারক সম্পর্কে এ ধরণের বর্ণনা আছে যে, তিনি বিলাদত শরীফের পর পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দিনের বেলায় উনার আম্মাজান উনার দুধ মুবারক পান করতেন না। যার দরুণ মানুষের নিকট এই বিস্ময়কর ঘটনা এরকম মশহুর হয়ে গেছে যে, ওমুক সম্ভ্রান্ত পরিবারে এমন এক ভাগ্যবান শিশু জন্ম গ্রহণ করেছেন, যিনি নাকি পবিত্র রমাদ্বান শরীফে দি বাকি অংশ পড়ুন...
পরিচিতি মুবারক ও নসবনামা:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন হযরত ছফিয়াহ আলাইহাস সালাম। তিনি তৎকালীন আহলে কিতাবধারী ইয়াহুদী সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। উনার পিতা হুয়াই বিন আখতাব, ইয়াহুদী বনু নাদ্বীর গোত্রের সর্দার ছিলেন, যিনি জলিলুল ক্বদর রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ভাই হযরত হারুন ইবনে ইমরান আলাইহিস সালাম উনার অধঃস্তন পুরুষ। উনার নসবনামা হচ্ছেন- হযরত ছফিয়াহ বিনতে হুয়াই আলাইহিস সালাম ইবনে আখত্বব আলাইহিস সালাম ইবনে সাঈদ আলাইহিস সালাম ইবনে আমির আলাইহিস সাল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْ رَسُوْلِ اللهِ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “তোমাদের জন্য তোমাদের মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। ” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: আয়াত শরীফ ২১)
অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বকালের সবার জন্য সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। মাখলুকাতের সবার জন্যই তিনি অনুসরণীয়-অনুকরণীয়। সঙ্গতকারণেই উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা, বেশি বেশি আলো বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দু‘আ বা মুনাজাত কবুলের সময়:
২. পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার প্রথম ১০ দিন ১০ রাত।
৩. বিশেষ করে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার ৯ তারিখ। অর্থাৎ পবিত্র আরাফাহ্র দিবসে।
৪. পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে।
৫. পবিত্র জুমুআহ বার দিনে ও রাতে।
৬. রাতের প্রথম তৃতীয়াংশে।
৭. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে।
৮. রাতের বেলার দু‘আ। বিশেষতঃ মধ্য রাতের দু‘আ।
৯. শেষ রাতের এক ষষ্ঠাংশে।
১০. ছুবহে ছাদিকের সময়।
১১. মুয়াযযিন যখন আযান দিতে থাকে।
১২. পবিত্র আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়।
১৩. পবিত্র তাকবীর আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে।
১৪. জিহাদের ময়দানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর পর।
বাকি অংশ পড়ুন...












