মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهَ وَسَلَّمَ لَا يُؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَتّٰى اَكُوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ اَجْمَعِيْنَ
অর্থ: “খাদিমু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমাদের নিকট তোমাদের স বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা পালন করা সম্পর্কে বহু আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে। যেমন আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ. وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ.
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয় বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনার শেষ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)কে ফার্সী ভাষায় ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শরীফ বলা হয়। দিনটি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনেক বরকতপূর্ণ স্মৃতি ধারণ করে রেখেছে। ফলশ্রুতিতে সকল মু’মিন-মুসলমান সারা বছরব্যাপী পবিত্র ছফর শরীফ মাস উনাকে স্মরণে রাখেন। শ্রদ্ধাভরে গণনা করেন, মুহব্বত করেন। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুবারক মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছিলেন পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ। মহান আল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত-মুহব্বতে দগ্ধীভূত ব্যক্তি তথা মুসলমানরা যে দিনটিকে মা’রিফাত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছেন সেই মুবারক দিনটি ‘পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ’ হিসেবে মশহুর। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে তওবা করালেন। উনি মুসলমান হয়ে গেলেন। এই সালমান ফারেসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এত বছর কোশেশ করেছেন মহান আল্লাহ পাক উনাকে পাওয়ার জন্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার জন্য।
কাজেই এটাই প্রমাণ করে অর্থাৎ যে কোন কাজে, মহান আল্লাহ পাক উনাকে পেতে হলে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে চলতে হলে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পেতে হলে, যেটা মহান আল্লাহ পাক ত বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
وَقَالَ بَعْضُ الصَّالِـحِـيْـنَ كَانَ شَيْخِىْ لَهٗ عَادَةً كُلَّ عَامٍ يَـقْـرَاُ قِصَّةَ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ وَيـَحْـتَـفِـلُ فِـيْـهِ اِحْـتِـفَالًا عَظِـيْمًا فَجَاءَتْ سَنَةُ اِحْدٰى وَسِتِّـيْـنَ وَثَـلَاثـِـمِائَةٍ وَّاَلْفٍ بَـلَغَ فِـيْهَا شُـنْـبُـلُ الْـحِـنْطَةِ سَبْعِـيْـنَ لِـيْـرَةً سُوْرِيَّـةً وَحَصَلَ فِـيْهَا كَـرْبٌ عَظِـيْـمٌ لِـبَعْضِ النَّاسِ فَلَمَّا جَاءَ وَقْتُ اِقَامَةِ حَفْلَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ صَارَ شَيْخِـىْ يَسْتَعِدُّ لَـهَا فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَـيْتَ الشَّـيْخَ هٰذِهِ الدَّرَاهِمَ الَّذِىْ يُرِيْدُ اَنْ يُّـنْفِقَهَا عَلـٰى قِرَاءَةِ الْـمَوْلِدِ الشَّرِيْفِ يُـنْفِقُهَا عَلَى الْفُقَرَاءِ وَالْـمَسَاكِـيْـنِ كَانَ اَفْضَلُ فَبَلَغَ شَيْخِىْ هٰذ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
অর্থ: হে মু’মিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও (বন্ধুত বাকি অংশ পড়ুন...
মাত্র দুটি অক্ষর কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এই পৃথিবীতে সবাই সুখী হতে চায় কিন্তু জানে না সুখের পায়রাটা কোথায়? সুখ হৃদয়ের একটি অনুভূতি। ছূফীরা যাকে বলে ‘তাত্মাইন্নুল ক্বুলূব’- হৃদয়ের প্রশান্তি। মানুষের হৃদয় বেশি সময় এটা ধরে রাখতে পারে না। অশান্ত চিত্ত, নফসে আম্মারা শুধু ডালে ডালে ঘুরে বেড়ায়, সুখের সন্ধান পায় না। নফসে আম্মারা হলো অস্থির চিত্ত, কোনো কিছুতে সে সন্তুষ্ট নয়। আরো চাই, আরো চাই হলো তার ইচ্ছা। এ ক্ষুধা মেটানো অসম্ভব। অশান্ত চিত্তকে সুখী করা যাবে না। এর ঊর্ধ্বগতিকে নিম্নমুখী করতে হবে। অতৃপ্ত ক্ষুধা শয়তানের স্বভা বাকি অংশ পড়ুন...












