একদিন এক লোক আসল মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে। এসে বললো, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার কিছু আর্থিক জরুরত রয়েছে, টাকা পয়সার দরকার আছে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনি এক কাজ করুন। হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার কাছে যান। উনার কাছে গিয়ে আমার কথা বলুন।
উনি গেলেন। উনি গিয়ে দেখলেন কি? হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি এক লোক বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের অবস্থা মুবারক:
পূর্ববর্তী পর্বসমূহে আলোচনা করা হয়েছে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা ছিলেন ২৪ ঘণ্টা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাঝে ফানা ও বাক্বা এবং উনার যিকির ও মুহব্বত মুবারক-এ গরক্ব। উনারা বলতেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আপ বাকি অংশ পড়ুন...
বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক
তিনি ‘হায়াতুন্নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা বিশ্বাস করা ফরয আর অস্বীকার করা কাট্টা কুফরী। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تَقُوْلُوْا لِمَنْ يُّقْتَلُ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ اَمْوَاتٌ. بَلْ اَحْيَآءٌ وَّلٰكِنْ لَّا تَشْعُرُوْنَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় যাঁরা শহীদ হয়েছেন উনাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং উনারা হায়াতপ্রাপ্ত বা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারো বাকি অংশ পড়ুন...
১. রবী‘উল আউওয়াল শরীফ سَيِّدُ سَيِّدِ الشُّهُوْرِ॥ سَيِّدُ سَيِّدِ الشُّهُوْرِ الْاَعْظَمِ شَرِيْفٌ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূর/ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ
২. ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ سَيِّدُ سَيِّدِ الْاَيَّامِ شَرِيْفٌ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ
৩. ছানী ‘আশার অর্থাৎ ১২ই শরীফ سَيِّدُ سَيِّدِ الْاَعْدَادِ شَرِيْفٌ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ
বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি, বেদী, ভাগ্য নির্ধারণকারী তীর এসবগুলোই শয়তানের কাজ। অতএব, এগুলো থেকে তোমরা বিরত থাকো। অবশ্যই তোমরা সফলতা লাভ করবে। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
অর্থ: তোমরা মূর্তিসমূহের খারাবী, অপবিত্রতা, নাপাকী, নিষিদ্ধতা বা শাস্তি থেকে বেঁচে থাকো। ( বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কোনো মুসলমান ভাইকে তুচ্ছ জ্ঞান করা মহাপাপ।’ (কিমিয়ায়ে সা’য়াদাত)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ‘উত্তম ধারণা হচ্ছে উত্তম ইবাদত।’ সুবহানাল্লাহ!
একজন দরবেশ লোক বহু ইবাদত করেছে বলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে, অপরাপর লোককে তুচ্ছ জ্ঞানে ঘৃনা করে তাদের প্রতি বদগুমান (খারাপ ধারণা) রাখে। নাউযুবিল্লাহ! আর এক ব্যক্তি অপর একজন মুসলমান ভাইকে নিজের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ধারণা করে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূর বাকি অংশ পড়ুন...
যে যত বেশী মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করবে সে তত বেশী কামিয়াবী হাছিল করবে। আর সেই নিসবত-তা‘য়াল্লুক্ব হাছিল করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন- কামিল শায়েখ। এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক একখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার অবতারণা- হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনেন না, এমন কোন আলিম পৃথিবীর বুকে নেই। উনারই জীবনী মুবারক-এ ঘটে যায় বাকি অংশ পড়ুন...
অশ্লীল কথা পরিহার করা ফরয; কেননা তা হারাম এবং কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। যার পরিণাম জাহান্নাম। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি অশ্লীল কথা বলে তার জন্য জান্নাত হারাম। তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন, দোযখবাসী কতিপয় লোকের মুখ দিয়ে পূতিগন্ধময় অপবিত্র দ্রব্যাদি নির্গত হবে এবং তার দূর্গন্ধে দোযখবাসীরা অভিযোগ করতে থাকবে ও জিজ্ঞাসা করবে, এরা কারা? তখন বলা হবে, এরা হলো ওই সমস্ত লোক যারা দুনিয়াতে কুৎসিত ও অ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবো-
এক. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সম্মান মুবারক করবেন।
দুই. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারকের আনজাম দিবেন।
তিন. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ اِكْرَامًا فَكَاَنَّـمَا اَنْفَقَ جَبَلًا مِّنْ ذَهَبٍ اَحْـمَرَ فِـى الْيَتَامٰى فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ
অর্থ: যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বরকতময় তাশরীফ মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র তারীখ মুবারক মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সাইয়্য বাকি অংশ পড়ুন...
আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৭৭নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না।”
সাইয়্য বাকি অংশ পড়ুন...












