সম্মানিত যাকাত শব্দের অর্থ
সম্মানিত যাকাত শব্দের আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ : زَكٰوةٌ ‘যাকাত’ শব্দের একটি আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বরকত বা বৃদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে যাকাতদাতার মাল বাস্তবে কমে না; বরং বৃদ্ধি পায়, বরকত হয়। আর ‘যাকাত’ শব্দের অন্য আরেকটি আভিধানিক অর্থ হলো পবিত্রতা বা পরিশুদ্ধি। যেহেতু সম্মানিত যাকাত আদায়ের ফলে সম্পদ হারাম হওয়া থেকে পবিত্র হয় এবং জিসমানী ও রূহানী মুহলিকাত বা কলুষতা হতে পবিত্রতা লাভ হয়।
সম্মানিত শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাওয়ায়িজে আছলিয়াহ (الْاَصْلِيَةُ اَلْـحَوَائِجُ) বা মৌলিক চাহিদা মিটানোর পর অত বাকি অংশ পড়ুন...
(ধারাবাহিক পর্ব- ০৬)
সাম্প্রতিক কালের বিশিষ্ট হাদীছ শরীফ বিশারদ শায়েখ মুহম্মদ বিন ছালিহ আল উছাইমিন উনাকে ‘গরুর গোশতে রোগ আছে’ এই হাদীছের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো। জবাবে তিনি বলেন-
هذا الحديث الذي فيه أن لحم البقر داء هذا حديث باطل مكذوب على الرسول صلى الله عليه وسلم، ولا يمكن أن يصح إطلاقاً؛ لأن الله سبحانه وتعالى يقول فيما أحل لنا: { وَمِنَ الإِبِلِ اثْنَيْنِ وَمِنَ الْبَقَرِ اثْنَيْنِ قُلْ آلذَّكَرَيْنِ حَرَّمَ أَمِ الْأُنْثَيَيْنِ أَمَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ أَرْحَامُ الْأُنْثَيَيْنِ} [الأنعام:১৪৪] فأباح الله عز وجل لحم البقر، وهل الله تعالى يبيح لعباده ما هو داء؟ لا. لا يمكن أن يبيح ما هو داء، إذاً: فهذا الحديث نعلم أنه مكذوب، وقد خرجه بعض الأخوة من طلب বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করার নির্দেশ স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا اَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে পবিত্র ছলাত বা পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে ঈমানদার বাকি অংশ পড়ুন...
ই’তিকাফ উনার ফযীলত:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, যে ব্যক্তি পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার শেষ দশ দিন (সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া) ই’তিকাফ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দুটি হজ্জ ও দুটি উমরাহ করার সমতুল্য ছওয়াব দান করবেন। সুবহানাল্লাহ!
আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার অতীতের গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
আরো বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি একদিন ই’তিকাফ করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জাহান্নাম থেকে তিন খন্দক দূরে রাখবেন। প্রতি খন্দকের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা। সুবহানাল্লাহ!
ই’তিকাফ উনার বাকি অংশ পড়ুন...
সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দ্বিতীয় আহলিয়া বা স্ত্রী উনার নাম মুবারক হযরত ইছমাতুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহা:
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “যদিও আমার বয়স মুবারক অনেক হয়েছে। বিবাহের বয়স নেই। তথাপি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আপনার প্রস্তাব কবুল করলাম। ” সুবহানাল্লাহ! (খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৮৭)
আওলাদ-সন্ততি:
ঐতিহাসিকগণ সকলে একমত যে, সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুব বাকি অংশ পড়ুন...
অসুস্থতার কারণে রোযা না রাখার হুকুম:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- যে সকল মেয়েরা অসুস্থতার কারণে নামায পড়তে পারে না এবং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে কিছু সংখ্যক রোযা রাখতে পারলো না, তবে কি তারা উক্ত নামাযের ফযীলত ও পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রোযার ফযীলত হতে মাহ্রূম থাকবে? জবাবে বলা যায়- কখনোই নয় বরং সে নামায ও রোযার পরিপূর্ণ ফযীলতই লাভ করবে। কারণ সে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মাজূর।
অনুরূপ কারো যদি ওযূ অথবা গোসলের প্রয়োজন হয় কিন্তু যদি পানি পাওয়া না যায়, তবে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে, এখানে পান বাকি অংশ পড়ুন...












