কিন্তু সে হাবশী একটা জাহেল, একটা মূর্খ। যার মধ্যে আল্লাহভীতি নেই, খোদাভীতি নেই, কোন পরওয়া নেই। সে আমার কাছ থেকে বাচ্চাটাকে টেনে নিয়ে সমুদ্রের মধ্যে নিক্ষেপ করল। যখন বাচ্চাটাকে ফেলে দিল, তখন আমি দেখলাম আমার তো আর কোন উপায় নেই। আমি দোয়া করলাম, মহান আল্লাহ পাক আপনি তো হেফাজতের মালিক, আপনার ভয়েতো আমি পাপ থেকে বিরত থাকতে চাই, আপনি আমাকে হেফাজত করুন। বলার সাথে সাথে দেখা গেল একটা বড় মাছ উঠে আসল। সেটা এসে সেই হাবশীকে কামড় দিয়ে অর্থাৎ মুখে নিয়ে সমুদ্রের তলে চলে গেল। সে নিখোঁজ হয়ে গেল, আমি বেঁচে গেলাম। আমি ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের কিনারে আসলা বাকি অংশ পড়ুন...
৮ম মাস হচ্ছে شعبان শা’বান: شعبان শব্দটিتشعب القبائل হতে উৎকলিত। شعبان অর্থ ছড়িয়ে পড়া। আরবরা এই মাসে নানা উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেন, এজন্যই এ মাসকে شعبان ‘শা’বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। شعبان শব্দের বহুবচন হচ্ছে شعابين ও شعبانات
৯ম মাস হচ্ছে رمضان রমাদ্বান: অর্থাৎ গ্রীষ্ম বা গরমের মাস। আরবদেশে এই মাসে অত্যধিক গরম পড়তো বলে এ মাসকে رمضان ‘রমাদ্বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। رمضت الفصال অর্থাৎ অতিশয় পিপাসার কারণে গবাদি পশুর বাছুর গরম হয়ে যাওয়া। رمضان শব্দের বহুবচন হচ্ছে رماضين- رمضانات ও ارمضة।
হযরত শায়েখ সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ত বাকি অংশ পড়ুন...
‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী। এর আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ মাশায়িখে তরীক্বত উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে।
একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَـٰكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য ইজ্জত-সম্মান মুবারক, আর মু’মিনদের জন্যও। কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না। (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন : আয়াত শরীফ ৮)
বাকি অংশ পড়ুন...
তাকওয়া পরহেযগারী কতটুকু থাকতে হবে, সেটা সম্বন্ধে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করে বলেছেন-
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللهِ وَرَسُولِهِ وَاتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ. يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অগ্রগামী হয়ো না এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حُبُّ الصَّحَابَةِ إيْمَانٌ وَ بُغْضُهُمْ كُفْرٌ
অর্থ: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান, আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। (কানযুল উম্মাল)
বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বিতীয় দলীল
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَت إِمَامِ الْأَوَّل كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ كُلُوا اللَّحْمَ فَإِنَّهُ يُصَلِّي اللَّوْنَ وَيُحْمِصُ الْبَطْنَ وَيُحْسِنُ الْخَلْقَ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা (গরুর) গোস্ত খাও। কেননা (গরুর) গোস্ত শরীরের রং ফর্সা করে, পেটের ক্ষুধা নিবারণ করে এবং শারীরিক গঠন সুন্দর করে। ” (যাদুল মা‘য়াদ ফি হাদয়ি খাইরিল ই’বাদ: ৪র্থ খ-: ৩৪০ পৃষ্ঠা; তিব্ব নববী লি ইবনে ক্বাইয়্যিম: ১ম খ-: ২৭৬ পৃষ্ঠা)
তৃতীয় দল বাকি অংশ পড়ুন...
তখন খৃষ্টানরা বললো, আমাদের একটা আবদার আছে, কি আবদার? যিনি খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন উনার সম্মানার্থে আমরা একটা খাবার সভার বন্দোবস্ত করতে চাই।
আমীরুল ম’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বলা হলে, উনি তাতে রাজী হলেন। আরব দেশে সাধারণতঃ গোস্ত আর রুটি খাওয়া হতো। দস্তরখানা ছিল চামড়ার খয়েরী রংয়ের, তার মধ্যে রুটি দেয়া হত। এটা ছিল মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত।
খাবারের সময় রুটি গোস্ত দেয়া হলো। খাওয়া প্রায় শেষ, আমীর উমরাহ অনেক বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِّنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের দ্বীন উনাকে খেল-তামাশা হিসেবে গ্রহণ করে এবং যারা কাফির, তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো যদি মু’মিন হয়ে থাকো। (পবিত্র সূরা মায়িদা: আয়াত শরীফ ৫৭)
বাকি অংশ পড়ুন...












