মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক:
শাব্দিক পরিচিতি মুবারক: আরবী ক্বাওয়ায়িদ বা ব্যাকরণ অনুযায়ীاَهْلُ بَيْتٍ (আহলু বাইত) মুরাক্কাবে ইদ্বাফী হয়েছে। অর্থাৎ اَهْلُ (আহাল) শব্দ মুবারকখানা হচ্ছেন মুদ্বাফ আর بَيْتٍ (বাইত) শব্দ মুবারকখানা হচ্ছেন মুদ্বাফ ইলাইহ। اَهْلُ (আহাল) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন অধিবাসী, পরিবার-পরিজন, লোকজন, বাসিন্দা, সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদি। আর بَيْتٍ (বাইত) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন ঘর, হুজরা শরীফ, বাড়ি, বাসস্থান, পরিবার ইত্যাদি। সুতরাং اَهْ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে কয়টি রোযা রাখতে হয়?
উত্তর: দুটি রোযা রাখতে হয়।
প্রশ্ন: পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে কোন কোন তারীখে রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক?
উত্তর: সম্মানিত ও পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ উনার ৯ ও ১০ তারীখে। এ বছরের জন্য পবিত্র জুমু‘আহ্ শরীফ এবং ইয়াওমুস সাবাত (শনিবার)।
প্রশ্ন: পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে দুইটি রোযা রাখতে হয় কেন?
উত্তর: ইহূদীরাও পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন রোযা রাখে, তাই তাদের খিলাফ করে দুইটি রোযা রাখতে হয়।
বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন?
উত্তর: ৮ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার) ইশরাকের ওয়াক্তে।
প্রশ্ন: সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোথায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন?
উত্তর: মহাসম্মানিত ও মহাপবি বাকি অংশ পড়ুন...
৭. ক) বৎসরের প্রথম দিন উপলক্ষে ভালো খাবার খাওয়া বা খাওয়ার নিয়ত করা সুস্পষ্ট কুফরী। খ) বরং ভালো খাবার খেতে হবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন। গ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন ভালো খাবার খেলে এক বৎসরের স্বচ্ছলতা লাভ করা যাবে:
عَنْ حَضَرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ وَّسَّعَ عَلٰى عِيَالِهٖ فِى النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ وَسَّعَ اللهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِهٖ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
আফযালু নিসা ওয়ান নাস বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফযালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সা বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে কেউ যদি একটি ডিমও দান করে তার পরিণাম কি হবে?
উত্তর: তার ৫০ বছরের অর্থাৎ সারা জীবনের সমস্ত ইবাদত নষ্ট হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: কেউ যদি নওরোজ বা বছরের প্রথম দিনের সম্মানার্থে কোনো কিছু খরিদ করে তার হুকুম কি হবে?
উত্তর: কাফির হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: কেউ যদি মজূসী ও মুশরিকদের অনুসরণে নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন পালন করে তাহলে তার হুকুম কি হবে?
উত্তর: ক্বিয়ামতের দিন সে তাদের সাথেই পুনরুত্থিত করা হবে।
বাকি অংশ পড়ুন...
৬. নওরোজ অর্থাৎ বাংলা, ইংরেজী, আরবী বা যে কোনো বর্ষপুঞ্জির প্রথম দিন বা নববর্ষ পালন করা, সম্মান করা, গুরুত্ব দেয়া, মর্যাদাসম্পন্ন মনে করা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ই হারাম এবং কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ যারা এগুলি করবে তারা কাট্টা কাফির হবে:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّ اللهَ اَبْدَلَكُمْ بِيَوْمَيْـنِ يَوْمَيْنِ بِيَوْمِ النَّيْرُوْزِ وَالْمِهْرِجَانِ اَلْفِطْرَ وَالْاَضْحٰى
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে দুইটি দিন পরিবর্তন করে নতুন দুইটি দিন হাদিয়া মুবারক করেছেন। আর তা বাকি অংশ পড়ুন...
ইস্তাওয়া সর্ম্পকে হযরত ইমাম মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের অভিমতবিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবুল হাসান মুক্বাতিল ইবনে সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘তাফসীরে মুক্বাতিলে’ বলেন,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ يَـعْنِـىْ اِسْتَـقَرَّ عَلَى الْعَرْشِ
অর্থ: “ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল আরশ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আরশে আযীম উনার উপর স্থির হয়েছেন।” (তাফসীরে মুক্বাতিল ২/১০৯)
‘তাফসীরে ত্ববারী শরীফ’ উনার ১৩ তম খ-ের ৪১১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ فَاِنَّهٗ يَـعْنِـىْ عَلَا عَلَـيْهِ
অর্থ: “ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল আরশ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
{ثُـمَّ اسْتَـوٰى عَلَى الْعَرْشِ} فَلِلنَّاسِ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَقَالَاتٌ كَـثِيْـرَةٌ جِدًّا لَـيْسَ هٰـذَا مَوْضِعَ بَسْطِهَا وَاِنَّـمَا يُسْلِكُ فِـىْ هٰـذَا الْمَقَامِ مَذْهَبُ السَّلَفِ الصَّالِحِ مَالِكٌ وَالْاَوْزَاعِىُّ وَالثَّـوْرِىُّ وَاللَّـيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَالشَّافِعِىُّ وَاَحْمَدُ بْنُ حَنْـبَلٍ وَاِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ وَغَيْـرُهُمْ مِنْ اَئِمَّةِ الْمُسْلِمِيْـنَ قَدِيْـمًا وَحَدِيْـثًا وَهُوَ اِمْرَارُهَا كَمَا جَاءَتْ مِنْ غَيْـرِ تَكْيِـيْفٍ وَلَا تَشْبِيْهٍ وَلَا تَـعْطِـيْلٍ
অর্থ: “ (ছুম্মাস তাওয়া ‘আলাল ‘আরশ)। এ স্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰى এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ কি?
উত্তর: ‘একজনের পাপের বোঝা অপরজন বহন করবে না। অর্থাৎ এক জনের পাপের জন্য অন্য জনকে দোষারোপ করা যাবে না।’
প্রশ্ন: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি-এর কারণে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা, গালমন্দ করা কি?
উত্তর: কাট্টা কুফরী এবং চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
প্রশ্ন: ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি খিলাফত প্রাপ্ত হওয়ার পর কিভাবে গুমরাহ্ ও কাফির হয়ে যায়?
উত্তর: ইহুদী ও মুনাফ বাকি অংশ পড়ুন...
ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি-এর কারণে অনেকে জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করে থাকে, গালমন্দ করে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অথচ সাইয়্যিদুনা হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি যখন ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহিকে খলীফা নিযুক্ত করেন, তখন ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি ভালো ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে ইহুদী ও মুনাফিকদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি গুমরাহ ও কাফির হয়ে যায়। না‘ঊযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহি সালাম উনাকে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া) সম্পর্কে কি বলেছেন?
উত্তর: ‘আমাদের সথে اِسْتَـوٰى (ইস্তাওয়া)-এর কি সম্পর্ক আছে? আমরা তো এর মুহ্তাজ না। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মানুষ অর্থ করে- উপবেশন করা, বরাবর হওয়া, সমা বাকি অংশ পড়ুন...












