‘ক্বিছ্ছাতুল গরানীক্ব’ কী?
‘ক্বিছ্ছাতুল গরানীক্ব বা গরানীক্বের ঘটনা’ হলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক উনার খিলাফ একটি বাতিল, মওযূ, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বর্ণনা। মিথ্যাবাদীরা বলে থাকে যে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন দেখলেন উনাকে উনার সম্প্রদায়ের লোকজন পরিত্যাগ করছে এবং তিনি তাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন, তা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তখন উনার নিকট বিষয়টি কষ্টকর হয়ে পড়লো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক উনার মধ্যে মহাসম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া কি?
উত্তর: সমস্ত উম্মত উনাদের জন্য ফরয।
প্রশ্ন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক উনার পশু গ্রহপালিত না হলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক শুদ্ধ হবে কি?
উত্তর: না; শুদ্ধ হবে না।
প্রশ্ন: উট, গরু এবং মহিষ কয়জনের তরফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক দেয়া যায়?
উত্তর: সাতজনের তরফ থেকে দেয়া যায়।
বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ তথা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ কি কারণে- সে সম্পর্কে হযরত ইমাম আবূ মানছূর মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,
رَحْمَةً مِّنَّا لِلْخَلْقِ لِاَنَّ مَنِ اهْتَدٰى وَاتَّبَعَهٗ كَانَ لَهٗ بِهٖ نَـجَاةٌ
অর্থ: “জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি আমার পক্ষ থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগতের জন্য রহমত স্বরূপ তথা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’। কেননা যে ব্যক্তি হেদায়াত লাভ করেছে বা করবে এবং (হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম) উনাকে অনুসরণ করেছে বা করবে, সে ব্যক্তি উনার কারনে নাজাত লাভ করবে বাকি অংশ পড়ুন...
ইমাম ওয়াক্বেদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে, ৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার যিলহজ্জ শরীফ মাসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিসর ও আলেকজান্দ্রিয়ার সম্রাট জুরায়েজ ইবনে মীনা’ ওরফে মুক্বাউক্বিসের নিকট সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দাওয়াত দিয়ে একখানা পত্র মুবারক লিখেন। উক্ত পত্র মুবারক উনার বাহক ছিলেন হযরত হাত্বিব ইবনে আবূ বালতা‘আহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি। সুবহানাল্লাহ!
বাদশাহ মুক্বাউক্বিস পত্র মুবারকখানা পেয়ে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীমের সাথে সংরক্ষণ করেন এবং জবাবে নিন্মোক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার খরচ মুবারক
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন-
يَوْمَ مَوْلِدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَبَحَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقُ الْاَكْبَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) مِائَةَ نَاقَةٍ وَّتَصَدَّقَ بِـهَا.
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার দিন খলীফাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরবানী মুবারক দেয়া কি?
উত্তর: সমস্ত উম্মত উনাদের জন্য ফরয।
প্রশ্ন: আন নূরুর রবি‘য়াহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতে আযীম শরীফ কোন মাসের কত তারীখে?
উত্তর: ২য় হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২ তারীখে।
প্রশ্ন: ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও ম বাকি অংশ পড়ুন...
ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘আর রবি’ অর্থাৎ চতুর্থ। ’ সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক হচ্ছেন- তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘আর রবি‘য়াহ’ অর্থা বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـى الدَّرْدَاءِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّهٗ مَرَّ مَعَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلـٰى بَـيْتِ حَضْرَتْ عَامِرِ ۣ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَكَانَ يُـعَلِّمُ وَقَائِعَ وِلَادَتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاَبْـنَائِهٖ وَعَشِيْـرَتِهٖ وَيَـقُوْلُ هٰذَا الْيَـوْمَ هٰذَا الْيَـوْمَ فَـقَالَ عَلَيْهِ الصَّلٰوةُ وَالسَّلامُ اِنَّ اللهَ فَـتَحَ لَكَ اَبْـوَابَ الرَّحْـمَةِ وَالْمَلَائِكَةُ كُلُّهُمْ يَسْتَـغْفِرُوْنَ لَكَ مَنْ فَـعَلَ فِعْلَكَ نَـجٰى نَـجٰتَكَ
অর্থ: “হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একব বাকি অংশ পড়ুন...
প্রশ্ন: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত কুরবানী মুবারক করা কি?
উত্তর: সমস্ত উম্মতদের জন্য ফরযে আইন।
প্রশ্ন: পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র কোন্ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ব্যক্তিত্ব মুবারক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে কোটি কোটি সম্মানিত কুরবানী মুবারক করার ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন?
উত্তর: ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَالْفَجْرِ وَلَيَالٍ عَشْرِ وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ
অর্থ: কসম! ফজরের অর্থাৎ সকালের। কসম! দশ রাত্রির। কসম! জোড় ও বিজোড়ের। (পবিত্র সূরা ফজর শরীফ: ১-৩)
وَالْفَجْرِ কসম! সকালের।
এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সকালের কসম করে পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার দশ তারিখ ইয়াওমুন নহর সকালের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। এই দিন খুব সকালে কুরবানী করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত।
وَلَيَالٍ عَشْرِ কসম! দশ রাত্রির।
এখানে দশ রাত্রির কসম করে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার প্রথম দশ রাত ও দশ দিনের গুরুত্ব বুঝিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
اَلرَّاجِحُ اَنَّـهَا قُبَيْلَ فَجْرٍ يَوْمَ الْاِثْنَيْـنِ ثَانِـىْ عَشَرَ رَبْيْعِ الْاَوَّلِ مِنْ عَامِ الْفِيْلِ
অর্থ: “প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ঘটনা মুবারক ফজরের আগমুহূর্তে অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব শরীফ উনার সময়) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম শরীফ (ম বাকি অংশ পড়ুন...












