পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সর্বাধিক জ্ঞানী এবং সর্বক্ষেত্রে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় সম্মানিত ব্যক্তিত্ব উনাদের মধ্যে খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সর্ব শীর্ষে। বলা হয়, আখেরী উম্মতের সমস্ত নেক আমল বা উত্তম কাজের জন্য তিনি সর্বপ্রথম বদলা লাভ করবেন। কারণ উনার আদর্শ মুবারক সমস্ত কিছুকে সৌন্দর্যম-িত করেছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাব বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এছাড়াও, ফাতেমীয় শাসক আল-আজিজ বিল্লাহ (হিজরী ৩৬৪-৩৮৫; শামসী ৩৪২-৩৬৩, খ্রিস্টাব্দ ৯৭৫-৯৯৬) এর লাইব্রেরির একটি বিশেষ চরিত্র ইবনে কিলিস, যিনি সম্ভবত উজির ছিলেন, তিনি কিতাব সংগ্রহ ও বিন্যাসে ছিলেন। গ্রন্থাগারটিতে শুধুমাত্র ধর্মতত্ত্বের উপর ১৮ হাজার কিতাব অন্তর্ভুক্ত ছিল, ছিল পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ২৪০০ কপি।
মুসলিম স্পেন আল আন্দালুসিয়ায় চতুর্থ হিজরী শতকে লাইব্রেরি সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০টি। এর কিছু ছিল টলেডোয় (আল তুলায়তুলাহ) বাকিগুলো কর্ডোভা (আল কুরতুবাহ), মালাগা (আল মালাক্বাহ), সেভিল (আল ইসবিলিয়াহ), গ্রানাডায় (আল বাকি অংশ পড়ুন...
নুরুদ্দীন ইবনে ইসহাক আল-বিতরূজী ছিলেন একজন মুসলিম স্পেন আল আন্দালুসিয়ার আরবীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং কাজী। টলেমীর মহাকাশ মডেলের বিপরীতে তিনি হলেন অন্যতম প্রথম মুসলিম মহাকাশ বিজ্ঞানী, যিনি টলেমীর ধারণার বাইরের মহাকাশ মডেল পেশ করেছিলেন। উনার মহাকাশ গবেষণার অন্যতম অবদান ছিল, তিনি মহাকাশীয় বস্তুসমূহের চলমানতার কারণ ব্যাখ্যা করেন। উনার এই নতুন মহাকাশীয় মডেল মুসলিম খিলাফতের বাইরে ৭ম হিজরী শতক (১৩শ খ্রি:) শতকের মধ্যে ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়ে। উনার জন্ম পরিচয় সম্পর্কে খুব বেশি কিছু পাওয়া যায় না। তবে জানা যায় তিনি সম্ভবত মরক্কোতে জন্মগ্ বাকি অংশ পড়ুন...
দর্শনশাস্ত্রের উপর উনার অনেক কিতাব রয়েছে। এই কিতাবগুলো তিন শ্রেনীর ছিল: ছোট ভাষ্য গুলোকে ’জামি’, মধ্যম আকারের ভাষ্যগুলোকে ’তালখিস’ ও বড় আকারের ভাষ্যকে ’তাফসির বা শরাহ’ বলা হত। এভাবে উনার নিজস্ব দর্শনের অনেক কিতাব প্রকাশ করেছিলেন। ইউরোপে তিনি বেশি পরিচিত হয়েছেন দর্শনের উপর ব্যাপক কাজ করে।
উনার এই দর্শনের কিতাবগুলো পরে ব্যাপকভাবে ল্যাটিন ও হিব্রু অনুবাদ হয়েছে। এই অনুবাদ গ্রন্থগুলো তখনকার ইউরোপে যে অজ্ঞানতার অন্ধকার যুগ চলছিল তা থেকে জেগে উঠে জ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করেছিল।
উনার এই দর্শনতত্ত্ব গুলো ইউরোপে প্রচলিত ল্যাটি বাকি অংশ পড়ুন...
আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ (হিজরী ৫২০-৫৯৪; খ্রি: ১১২৬-১১৯৮) ছিলেন মুসলিম স্পেন আল আন্দালুসিয়ার বিখ্যাত দার্শনিক। তিনি ইসলামী শরিয়াহ, গণিত, ঔষধবিদ্যার উপর বেশ দক্ষ ছিলেন। বিভিন্ন বিষয় যেমন: দর্শন, আধ্যাত্বিকতা, চিকিৎসা বিধান, মহাকাশ, পদার্থ বিজ্ঞান, ইসলামী শরিয়াহ ও কানুন এবং ভাষাতত্ত্বে তিনি উনার অনেক দর্শনতত্ত্ব প্রকাশ করেছেন।
ইবনে রুশদ ৫২০ হিজরী (১১২৬ খ্রি:) সালে কর্ডোভায় প্রসিদ্ধ কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উনার শিক্ষাজীবনে তিনি হাদীছ শরীফ, ফিক্বাহ শাস্ত্রের সাথে চিকিৎসা ও ধর্মতত্ত্বের উপর জ্ঞান আহরণ করেন বাকি অংশ পড়ুন...
আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আব্দুল বাক্বী আল বাগদাদী আল কাব্বী (হিজরী ৪৪১-৫৩৫; ১০৫০-১১৪১ খ্রি:) ছিলেন মারিস্তানের কাজি, আরবীয় ফক্বিহ এবং গণিতবিদ। তিনি প্রাচীন মিশরীয় পন্ডিত ইউক্লিডের ১০ টি গণিত কিতাবের ভাষ্য বা ব্যাখ্যা লিখেছিলেন। ক্রেমোনার জেরার্ড তা ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করেছিল ‘লিবের জুডেই সুপার ডেসিমাম ইউক্লিডিস’ শিরোনামে। এই ল্যাটিন অনুবাদ ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বর্তমান পর্যন্ত এই ল্যাটিন অনুবাদের সাতটি পাওয়া যায়। উনার অন্যান্য কাজ গুলো হচ্ছে: “জাদাউইলুল জাইবিল মাহলূলিদ দাক্বীক্বাহ্” جداول الجيب المحلول الدقيقة (Detailed ta বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞান চুরি :
বর্তমানে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বলতে যেটা বোঝায়, তার জনক হচ্ছে মুসলমানগণ। শুরু থেকেই মুসলমানগণ ছিলেন জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ ও প্রাচুর্যময়, অপরদিকে কাফিররা ছিলো মূর্খ, অজ্ঞ ও বর্বর। উল্লেখ্য, ১২৫৮ সালে হালাকু খান মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু বাগদাদ নগরীতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ধ্বংস করে মুসলিম জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র বাইতুল হিকমাহ লাইব্রেরী। এই লাইব্রেরী থেকে মুসলমানদের অনেক জ্ঞান-বিজ্ঞান গবেষণা বই চুরি যায়, যা পরবর্তীতে ইহুদী ও খ্রিস্টান জাতি করায়ত্ব করে ফেলে। একইভাবে ১৪৯২ সালে পতন হয় বাকি অংশ পড়ুন...












