قال صاحب الهدايه- ويكره لهن حضور الجماعت يعنى الشواب منهن- وقوله الجماعة يتناول الجمع والاعياد والكسوف والاستسقاء- قال اصحابنا لان فى خروجهن خوف الفتنة وهو سبب للحرام وما يقضى الى الحرام فهو حرام فعلى هذا قولهم يكره مرادهم يحرم
অর্থ: ‘হেদায়া’ কিতাবের লেখক তিনি বলেন, ‘যুবতী মহিলাদের জামায়াতে যাওয়া মাকরূহ্ তাহরীমী। ’ তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত বলতে এখানে (পাঁচ ওয়াক্তসহ) জুমুয়া, ঈদাইন, কুসূফ, ইস্তেস্কা ইত্যাদি সবই অন্তর্ভুক্ত। ’ আমাদের ফক্বীহগণ উনারা বলেন, কেননা তাদের (মহিলাদের) জামায়াতের জন্য বের হওয়ায় ফিৎনার আশঙ্কা রয়েছে। আর ফিৎনা হারামের অন্তর্ভুক্ত। আর যা হারাম কাজে সহায়তা করে তাও হারাম। এ কারণ বাকি অংশ পড়ুন...
إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا এর ব্যাখ্যায় প্রসিদ্ধ ও সর্বজনমান্য তাফসীরগুলোতে কাপড়, চাদর, বোরকা ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মহিলাদের উপরের চাদর বা বোরকার উপর দৃষ্টি পড়লে মহিলাদের গুনাহ হবে না। তবে বেগানা পুরুষ কোন বেগানা মহিলার বোরকার উপরও ইচ্ছাকৃত দৃষ্টি দিতে পারবে না।
উক্ত আয়াতাংশের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা যে ফায়সালা দিয়েছেন তা হচ্ছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম- (وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ) “তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে”-এর মধ্যে زِ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বেগানা পুরুষ-মহিলার কোনো নির্জন স্থানে একাকী বাস, কিছুক্ষণের জন্যও লোক-চক্ষুর অন্তরালে, ঘরের ভিতরে, পর্দার আড়ালে একান্তে অবস্থান হারাম। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয় শয়তান তথা তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَت الأَوْزَاعِيِّ عَنْ حَضْرَت مَكْحُولٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ سُئِلَتْ حَضْرَتْ اُمُّ الْمَؤمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ صِدِّيْقَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فِي كَمْ تُصَلِّي الْمَرْأَةُ ؟ فَقَالَتْ ائْتِ حَضْرَت كَرَّمَ اللهُ وَجْهَه عَلَيْهِ السَّلَام فَاسْأَلْهُ ثُمَّ ارْجِعْ إِلَيَّ فَأَتَى حَضْرَت كَرَّمَ اللهُ وَجْهَه عَلَيْهِ السَّلَام فَسَأَلَهُ فَقَالَ فِي دِرْعٍ سَابِغٍ وَخِمَارٍ فَرَجَعَ إِلَيْهَا فَأَخْبَرَهَا فَقَالَتْ صَدَقَ-
অর্থ: হযরত ইমাম আওজায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মাকহুল রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- আমি মহাসম্মানিতা মহাপবিত্রা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মুম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্পদ ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই হলো এর ব্যবহার দ্বারা সর্বোচ্চ প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ করা এবং লক্ষ্য অর্জন করা । আমাদের চাহিদা অসীম, কিন্তু সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই অসীম চাহিদাকে সীমিত সম্পদ দ্বারা পূরণ করতে হলে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন।
সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার পরিবারের আয় বাড়াতে, ব্যয় হ্রাস করতে ও অর্থ সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। পরিবারের সদস্যদের সময়, শক্তি, ক্ষমতা, দক্ষতা ও বুদ্ধি ইত্যাদি মানবীয় সম্পদকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে পরিবারের আয় বাড়ানো যায় এবং ব্যয় হ্রাস করা যায়। যেমন- গৃহের আঙ্গিনায় সবজি উৎপাদন, হাঁস-মুর বাকি অংশ পড়ুন...
একজন পীর বোন যিনি মাঝে মাঝে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করেন, উনার উপর প্রায় ৫/৬ বছর আগে থেকেই দুষ্ট জ্বিনের প্রভাব ছিল। সে কখনো দূর থেকে কখনো কাছ থেকে ভয় দেখাতো। কিন্তু, মারাতœক কোন ক্ষতি না করায় পীরবোন বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। দুই বছর পূর্বে উনার বিবাহ হয়। বিবাহের পর পরই উনার সমস্যা বেড়ে যায়। যেমন, রাতে ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া, ঘুমের ঘোরে উঠে বারান্দায় চলে যাওয়া, ঘুমে বিভিন্ন দুঃস্বপ্ন দেখা, সজাগ থাকা অবস্থায়ও কিছু দেখতে পাওয়া, একা একা ঘরে থাকতে পছন্দ করা, অন্ধকার ঘরে থাকা, অতিরিক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
একদিন হযরত উম্মুল ফদ্বল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি হযরত ইমামুছ ছালিছ (ইমাম হুসাইন) আলাইহিস সালাম উনাকে কোলে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আগমন করেন। তখন তিনি উনাকে দুগ্ধ পান করাতেন। তিনি উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল আযহার অর্থাৎ কোল মুবারকে দিলে হযরত ইমামুছ ছালিছ (ইমাম হুসাইন) আলাইহিস সালাম তিনি নূরুশ শিফা মুবারক (ছোট ইস্তিঞ্জা মুবারক) করে দিলেন। হযরত উম্মুল ফদ্বল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হযরত ইমামুছ ছালিছ আ বাকি অংশ পড়ুন...
প্রকাশ থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে জামায়াতে নামায পড়তে মসজিদে যেতে নিষেধ করেন এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি তা পূর্ণ সমর্থন ও সত্যায়িত করেন। এর দ্বারা এটা প্রতিভাত যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিষেধকৃত বিষয়কে এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার সমর্থন ও সত্যায়নকৃত বিষয়কে যারা মানবে না তারা ঈমান ও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাব বাকি অংশ পড়ুন...
যে সকল আয়াত শরীফসমূহ দ্বারা ‘হিজাব বা পর্দা’ ফরয প্রমাণিত হয়েছে তা দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, শুধু বোরকা বা পর্দা করে রাস্তায় বের হওয়ার নাম হিজাব বা পর্দা নয়। বরং তার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ও আয়াত শরীফসমূহে উল্লিখিত সকল হুকুম-আহকামসমূহ মেনে চলার নামই হচ্ছে “শরয়ী হিজাব বা পর্দা”।
যেমন, কারো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি নেয়া, মাহরাম ব্যতীত অন্য কারো সাথে দেখা-সাক্ষাত না করা, মাহরামদের সামনেও শালীনতা বজায় রাখা, গায়রে মাহরামদের সামনে চেহারা, হাত, পাসহ সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা, চলাচলের সময় পুরুষ-মহিলা উভয়ের দৃষ্টিকেই অবনত রাখা, নিজে বাকি অংশ পড়ুন...
মহিলারা ঘরে অবস্থান করার সময় ক্বমীছ, ওড়না ও সেলোয়ার পরিধান করা সুন্নত। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত মুহম্মদ বিন ক্বয়েস বিন মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ-ছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি প্রায় একথা বলতেন যে, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি সুমহান সংবাদ মুবারক দিব না? আমরা বলতাম হাঁ! তখন তিনি বলতেন, পর্যায়ক্রমে এক রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন আমার সম্মানিত হুজরা শরীফ মুবারকে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন, তখ বাকি অংশ পড়ুন...












