মন্তব্য কলাম
অবশেষে জাতিসংঘও স্বীকার করতে বাধ্য হলো নিকৃষ্ট, নির্মম গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল, গাজায় চরম দুর্ভিক্ষ তৈরী করেছে নৃশংস ইসরাইল ক্ষুধার অস্ত্র দ্বারা গাজাবাসীকে শহীদ করছে বর্তমানে গাজা জুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে রয়েছে| এছাড়া আরও প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ)
, ০১লা রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১১ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
গুরুতর ‘জরুরি’ অবস্থায় আছেন| আর ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (২০ শতাংশ) চরম ‘সঙ্কট’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন|
গাজায় পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে|
এদের মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার শিশুর অবস্থা গুরুতর, যাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে|
শুধু শিশুই নয়, প্রায় ৫৫ হাজার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীও মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন
গাজায় স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে| ৯৮ শতাংশ চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়ে পড়েছে, গবাদি পশুও প্রায় শেষ, আর সমুদ্রে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ|
'ইসরায়েলের ওপর অর্থবহ চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যর্থতা, শিশুসহ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার সময় অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা - এগুলো যতটা বিভ্রান্তিকর, ঠিক ততটাই নিন্দনীয়|
গাজার দুর্ভিক্ষ আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরাইল সৃষ্ট বিপর্যয়, যা জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ এবং মানবতারই চূড়ান্ত ব্যর্থতা|
গাজায় চলছে নিরন্তর গণহত্যা এবং নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধ|
আন্তর্জাতিকভাবে এর এখনি বিচার হওয়া দরকার
মুসলিম বিশ্বের আলাদা আন্তর্জাতিক আদালত তৈরি করা দরকার
(৩য় পর্ব)
ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে|
অপুষ্টির শিকার এসব শিশুর চিকিৎসা করতে অন্তত ১০টি হাসপাতাল দরকার বলে জানিয়েছে শহরটির আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া ও নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের শিশু হাসপাতালের পরিচালক আহমদ আল-ফারা|
আবু সালমিয়া বলেন, শিশুদের পাশাপাশি গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত হয়ে আরও যারা ভর্তি হয়েছে, তারাও বিভিন্ন মাত্রায় অপুষ্টিতে ভুগছে| অপুষ্টি গাজার অন্যতম প্রধান সমস্যায় পরিণত হয়েছে| এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে|
এছাড়া গত শুক্রবার দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজা উপত্যকার গাজা নগর প্রশাসনিক অঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষ চলছে| এতে অন্তত ৫ লাখ ১৪ হাজার গাজাবাসী দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে| বর্তমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী মাসের শেষের দিকে উপত্যকার মধ্যাঞ্চলের প্রশাসনিক অঞ্চল দেইর আল-বালাহ ও দক্ষিণের খান ইউনিসেও দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে|
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছে, গাজায় নিজেরা যে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করা ইসরায়েলকে বন্ধ করতে হবে|
আইপিসির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় টম বলে, ‘এ দুর্ভিক্ষ পুরোপুরি ঠেকানো যেত| কিন্তু ইসরায়েলের পরিকল্পিত বাধায় গাজায় খাদ্য ঢুকতে পারছে না| তাই দুর্ভিক্ষ তৈরি হয়েছে| ’
মিসর সীমান্তে ত্রাণভর্তি হাজারো ট্রাক কয়েক মাস ধরে গাজায় ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে| কিন্তু গত মার্চ থেকে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সেগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না| মে মাসের শেষ থেকে তারা গাজায় কিছু ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল|
গাজায় ভয়াবহ আকারের মানবিক বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর এইড রিলিফ অ্যান্ড অ্যাসিসটেন্সের গাজা প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইউসরা আবু শারেখ| বলেন, যুদ্ধে সবচেয়ে বড় মূল্য দিচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুরা|
ইউসরা আবু শারেখ গাজা সিটিতে বসবাস করে| তার ১২ ও ৭ বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে| ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সবাই এখন অপুষ্টিতে ভুগছে| গত পাঁচ মাস ধরে ফিলিস্তিনির গোশত, ডিম কিংবা ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেনি| ’
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এই সংঘাতে সবচেয়ে বড় মূল্য দিচ্ছে শিশুরা| প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুরা| কবে এই যুদ্ধের শেষ হবে কেউ জানে না| ’
ইসলায়েলি বোমা আর ক্ষুধায় প্রাণ হারানো গাজার শিশুদের জন্য আবেগঘন পোস্ট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওম্যান টেইলর|
ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন তিনি| রিপাবলিকান পার্টিতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিয়ে সরব নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম|
সর্বশেষ গত শনিবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট দিয়ে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি| বিশেষ করে ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক অভিযানে সৃষ্টি দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়ার শিশুদের জন্য একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তিনি| প্রচলিত মারণাস্ত্র নির্বিচারে ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্য, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলোকেও ‘অস্ত্রে’ পরিণত করে ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল|
নিচে গ্রিনের পোস্টটির বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো:
যদি আমাদের সরকার দ্বারা সংঘটিত কোনো ভয়াবহ কাজের কারণে আমেরিকায় দিন-রাত বোমা বর্ষণ করা হতো, এবং অসংখ্য নিরীহ আমেরিকান ও আমেরিকান শিশু নিহত ও মারাত্মকভাবে আহত হতো, এবং আমরা করুণার জন্য মিনতি করতাম, কিন্তু বাকি বিশ্ব বলতো-
‘আমেরিকানরা তাদের সরকারকে ভোট দিয়েছে, তাই তারা এর যোগ্য| তাদের সরকার খারাপ, তাই সব আমেরিকানই খারাপ| অতএব, এটিই তাদের প্রাপ্য এবং এটি করা উচিত| ’
এবং আমাদের দুর্ভোগের প্রতি বিশ্ব নীরব থাকতো| কেউ আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতো না| এবং আমাদের শহর ও বাড়িঘর বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতো| এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যেত, কোনো খামার, কোনো মুদি দোকান, কোনো সুসংগঠিত সমাজ আর অবশিষ্ট থাকতো না| এবং কেউ আমাদের আহত ও ক্ষুধার্ত শিশুদের সাহায্য করতো না|
তাহলে আপনার কেমন লাগতো? আপনি কী ভাবতেন? আপনি কী করতেন?
আমাদের সবাইকে যা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও এটাই ঘটছে গাজায়, যেখানে অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও শিশু নিহত হচ্ছে এবং তারা হামাস নয়|
হামাস কি এর যোগ্য? হ্যাঁ| নিরীহ মানুষ ও শিশুরা কি এর যোগ্য? না|
গাজার নিরীহ মানুষরা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নিরীহ মানুষদের হত্যা বা অপহরণ করেনি|
যেভাবে আমরা ৭ অক্টোবরের শিকার ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে কথা বলেছিলাম, একইভাবে আমেরিকানরা কীভাবে গাজার অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও শিশুদের প্রতি সমবেদনা জানাতে নীরব থাকতে পারে?
এক ধরনের নিরীহ জীবনের কি কোনো মূল্য আছে, আর অন্য ধরনের নিরীহ জীবনের কোনো মূল্য নেই?
আমেরিকা সামরিক সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেয়|
আসলে, সংশোধন করছি|
মার্কিন করদাতারা সামরিক সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে বার্ষিক ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দেয়|
এর অর্থ হলো, প্রতিটি মার্কিন করদাতা ইসরায়েলের সামরিক কর্মকা-ে অবদান রাখছে|
তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে গাজার মানবিক সংকট নিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে| শনিবার (২৩ আগস্ট) পাঠানো চিঠিতে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি মেলানিয়া যে সহানুভূতি দেখিয়েছে, গাজার মানবিক পরিস্থিতির প্রতিও একই সহানুভূতি দেখানোর আহ্বান জানানো হয়|
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে রাশিয়ার নেতা ভøাদিমির পুতিনকে মেলানিয়ার পাঠানো সাম্প্রতিক চিঠির কথা উল্লেখ করে এমিন বলেন,
আপনার চিঠিতে যেমনটি আপনি বলেছেন, প্রতিটি শিশুরই একটি প্রেমময় এবং নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার সর্বজনীন ও অনস্বীকার্য অধিকার রয়েছে| এই অধিকার কেবল কোনো অঞ্চল, জাতি, ধর্ম বা আদর্শের জন্য নয়| এই অধিকার থেকে বঞ্চিত নিপীড়িতদের সমর্থন করা মানব পরিবারের প্রতি একটি মৌলিক দায়িত্ব|
'এই প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে একজন নেতার স্ত্রী হিসেবে, ইউক্রেন যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক প্রভাবে প্রাণ হারানো, বিচ্ছিন্ন পরিবার এবং এতিম শিশুদের প্রতি আপনার সমবেদনা এমন একটি উদ্যোগ, যা হৃদয়ে আশা জাগিয়ে তোলে| '
চিঠিতে বলা হয়, আমি বিশ্বাস করি আপনি গাজার জন্য আরও জোরালোভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করবে, যা আপনি যুদ্ধে প্রাণ হারানো ৬৪৮ জন ইউক্রেনীয় শিশুর প্রতি দেখিয়েছে| গাজায় দুই বছরের মধ্যে ১৮ হাজার শিশুসহ ৬২ হাজার নিরীহ বেসামরিক নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে|
গাজায় নজিরবিহীন সহিংসতার কথা তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, আমাদের কি কখনো মনে হয়, একদিন 'অজানা সৈনিক' শব্দটি, যা একসময় নিহত সৈনিকদের জন্য ব্যবহৃত হত - এখন শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে? আজ, হাজার হাজার গাজা শিশুর কাফনের ওপর লেখা 'অজানা শিশু' শব্দগুলো| তাদের নামও শনাক্ত করা যাচ্ছে না| এগুলো আমাদের বিবেকের ওপর অপূরণীয় ক্ষত রেখে যাচ্ছে|
এমিন আরও বলে, এই শিশুদের গভীর মানসিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং তারা হাসতে ভুলে গেছে| মাইক্রোফোনে চিৎকার করে বলছে, তারা মরতে চায়, তাদের নিষ্পাপ হৃদয়ে যুদ্ধের ক্লান্তি বয়| গাজায় ইতিহাস লিপিবদ্ধ করছে, এই ক্ষুদ্র-এতিম শিশুদের চুলও অবর্ণনীয় যন্ত্রণা এবং ভয়ের কারণে ধূসর হয়ে গেছে|
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিশুদের নীরব হাসি কেবল ইউক্রেইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না| যখন বিশ্ব একটি সম্মিলিত জাগরণ অনুভব করছে এবং ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী ইচ্ছাশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, তখন আমি বিশ্বাস করি যে, গাজার পক্ষ থেকে আপনার আহ্বান ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একটি ঐতিহাসিক দায়িত্বও পূরণ করবে|
তুর্কি ফার্স্ট লেডি ফিলিস্তিনের পরিস্থিতিকে কেবল গণহত্যা হিসেবেই বর্ণনা করেনি, বরং এটিকে স্বেচ্ছাচারী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ বলেও বর্ণনা করে - যেখানে ক্ষমতা ও আয়েশের তাড়নায় কিছু জীবনকে অন্যদের চেয়ে বেশি মূল্যবান বলে মনে করা হয়|
এই অন্যায্য আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংহতির আহ্বান জানিয়ে তিনি চিঠিতে বলেন, 'আমাদের অবশ্যই এই বিকৃত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর এবং শক্তি একত্রিত করতে হবে, যা কিছু শিশুর জীবনকে অন্যদের তুলনায় কম মূল্যবান বলে মনে করে| আন্তর্জাতিক আইন এবং শেয়ার করা মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা ও আমাদের সাধারণ নীতিগুলোর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য| '
তিনি আরও বলেন, 'একজন মা, একজন নারী এবং একজন মানুষ হিসেবে, আমি আপনার চিঠিতে প্রকাশিত অনুভূতির সঙ্গে গভীরভাবে একমত| আমি আশা করি আপনি গাজার শিশুদের জন্য একই আশা লালন করবেন, যারা শান্তি ও প্রশান্তি কামনা করে| '
এমিন জোর দিয়ে বলেন, গাজার ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিশু, যারা ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে - যেমন ছয় বছর বয়সী হিন্দ রজব - যাকে ৩৩৫ বার গুলি করা হয়েছিল, অথবা তিন বছর বয়সী রিম - যার দাদু আনন্দে ভরা চোখে তাকে বিদায় জানিয়েছিলো - ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে| কিন্তু দশ লক্ষেরও বেশি শিশু যারা বেঁচে আছে, তাদের জন্য আমাদের এখনো সুযোগ আছে|
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ|
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












