বহিষ্কারের দেড় বছর পর বিএনপি ত্যাগ:
অভিমানী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের আক্ষেপ
এডমিন, ০৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) তাজা খবর

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আক্ষেপ করে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আমার ছোট ভাই (কাউন্সিলর খোরশেদ আলম) ফোন দিয়ে কান্না করছেন। মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই য়াম খন্দকার অভিমান করে আছেন। কিন্তু আমার তো করার কিছু নেই!
গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টের নিজ চেম্বারে ঢাকা পোস্টের কাছে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন তিনি। প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘দেড় বছর আগে বিএনপি বহিষ্কার করেছে। তারপর বিএনপির কেউ একটিবারের জন্য ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেয়নি। কোনো মূল্যায়ন করেনি। এখন আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। নিজের পরিচয় দেওয়ার জন্য তো একটি প্লাটফর্ম দরকার।’
‘ছোট ভাই বিএনপিতে আছে, তারা বিএনপি করবে। আমার ১৪ গোষ্ঠী বিএনপির সঙ্গে জড়িত। দল আমার প্রতি সুবিচার করেছে , নাকি অবিচার করেছে, জাতি সেটা দেখবে। আমাকে দেড় বছর আগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপর এক দিনের জন্যও ডাকেনি। এখন ডাকার কোনো সম্ভাবনা দেখি না।’
রাজপথের কর্মীর প্রতি কি এমন আচরণ হওয়া উচিত- প্রশ্ন রেখে এ রাজনীতিক বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় নির্বাচনের দুই দিন আগে অব্যাহতি দেওয়া হলো। শোকজ কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হলো না। বহিষ্কারের পরও নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশে গিয়েছি। আমি গুলি খাওয়া লোক। আওয়ামী লীগের লোকেরা ঘোষণা দিয়েছিল, মিছিলে গুলি হবে। আমি বলেছিলাম, গুলি হলেও মিছিল হবে। মিছিল থেকে পুলিশ কখনও আমার হাত থেকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ছবিসম্বলিত ব্যানার নিতে পারেনি।’
‘দলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের গুরুত্ব থাকা উচিত। মানুষ ভুল করতেই পারে। সংশোধনের সুযোগ দেওয়া উচিত। আইনও সংশোধন করা যায়। মানুষ সংশোধনের সুযোগ থাকবে না কেন? দল ব্যক্তিকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়। দল হবে সামষ্টিক। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। কারও প্রতি আমার ক্ষোভ থাকবে না। আমি বিএনপির শুভকামনা করি। ভালো থাকুক তারা।’