অশ্লীল সাইনবোর্ড বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দৃষ্টি মেলতে
এডমিন, ০৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যাঁরা প্রাণীর ছবি তৈরি করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। এবং তাদেরকে বলা হবে- যে ছবিগুলো তোমরা তৈরি করেছ, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দান করো। ” (পবিত্র বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘরে প্রাণীর ছবি বা ছবিযুক্ত সমস্ত জিনিস (থাকলে) ধ্বংস করে ফেলতেন। ” (পবিত্র বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছেÑ “হযরত আবু যুরয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সঙ্গে মদীনা শরীফে এক ঘরে প্রবেশ করলাম, অতঃপর তিনি ঘরের উপরে এক ছবি অঙ্কনকারীকে ছবি অঙ্কন করতে দেখতে পেলাম এবং বললেন- আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনাকে বলতে শুনেছি- তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি অধিক অত্যাচারী, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সাদৃশ্য কোনো প্রাণীর ছুরত সৃষ্টি করে। তাকে বলা হবে- একটি দানা সৃষ্টি কর অথবা একটি কনা সৃষ্টি করো। ” (পবিত্র বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
বলাবাহুল্য, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত শহরগুলোতে যত্রতত্র বিভিন্ন কোম্পানীর অশ্লীল ছবিযুক্ত সাইনবোর্ড মুসলমান মু’মিনগণ উনাদের দৃষ্টি গোচর হয়। সাইনবোর্ডগুলো শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরের কাকরাইল মোড়, যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, মালিবাগ, তেজগাঁও ইত্যাদি ছাড়াও অন্যান্য জেলা উপজেলা শহরের মোড়গুলোতে অশ্লীল ছবিযুক্ত সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। ঢাকার মালিবাগ মোড়ের মসজিদের উপরেও অশ্লীল ছবিযুক্ত সাইনবোর্ড লাগানো আছে। মুসল্লিরা নামায পড়তে মসজিদের দিকে মুখ ফিরালে সেই সাইনবোর্ডে চোখে পড়ে। এছাড়াও বাংলাদেশসহ ভারতীয় অশালীন নায়িকাদের কতই না সাইনবোর্ড, পোস্টার ও ব্যানার দেখা যায়। এখন যেন ছোট কাপড় পরিধানকৃত নায়িকাদের সাইনবোর্ড, পোস্টার ও ব্যানারগুলো ফ্যাশানে রূপান্তরিত হয়েছে। অপরদিকে শপিংমলগুলো মূর্তির শপিংমলে রূপান্তরিত হয়েছে। শপিংমলের দোকানগুলোর সামনে সাজিয়ে রাখা মেয়ে-ছেলেদের মূর্তিগুলো প্রদর্শন করিয়ে বেচাকেনা করছে।
অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি বাদ্যযন্ত্র এবং মূর্তি ধ্বংসের জন্যই প্রেরিত হয়েছি। ”
প্রসঙ্গত যে, আমাদের দেশ পবিত্র স্বাধীনতার দেশ, বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতিয়ারে গড়ে তোলা এই দেশ। দেশের পবিত্রতা অর্জন করা আমাদের নিজ দায়িত্ব। তাই যারা পবিত্র দেশকে বেপর্দা বেহায়াপনায় রূপান্তরিত করছে এবং বিভিন্ন অশ্লীল সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রচার-প্রসার করছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর এজন্যে দরকার সরকারের উর্ধ্বতন মহলের নজরদারী।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে গায়েবী মদদ করুন। (আমীন)
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।