সুন্নতী মুবারক তা’লীম
অসুখ-বিসুখ, দুঃখ-কষ্টসহ যাবতীয় রোগের শেফা সুন্নতী খাদ্য “তালবীনাহ” (২)
, ২০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثالثة الصّـِدِّيْقَة عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكُمْ بِالْبَغِيْضِ النَّافِعِ التَّلْبِيْنَةِ يَعْنِي الْـحَسَاءَ قَالَتْ وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا اشْتَكَىْ اَحَدٌ مِنْ اَهْلِهِ لَـمْ تَزَلِ الْبُرْمَةُ عَلَى النَّارِ حَتّٰى يَنْتَهِيَ اَحَدُ طَرَفَيْهِ يَعْنِي يَبْرَاُ اَوْ يَـمُوتُ.
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অসাধারণ উপকারী বস্তুটি তোমরা অবশ্যই গ্রহণ করবে। তা হলো তালবীনাহ অর্থাৎ হাসা (দুধ ও ময়দা সহযোগে প্রস্তুত তরল পথ্য)। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে কেউ মহাসম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করলে হাসা-এর পাতিল চুলার উপর থাকতো, যতক্ষণ না রোগী ছিছহাতী শান মুবারক অথবা মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ না করতেন। ” (ইবনে মাজাহ শরীফ: পবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৪৪৬)
তালবীনাহর উপকারিতা:
তালবীনাহ একটি পরীক্ষিত পথ্য। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা নিম্নোক্ত রোগ-ব্যাধিসমূহের শেফায় তালবীনাহর আশ্চর্যজনক উপকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন-
১. হৃদরোগের প্রতিষেধক।
২. হৃদপি-ের শক্তি বাড়ায়।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার রোধ করে।
৪. অ্যালজেইমার প্রতিরোধ করে।
৫. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিকের ঝুঁকি কমায়।
৬. বিষন্নতা দূর করে।
৭. কোলেস্টেরল কমায়।
৮. পাকস্থলীর জন্য স্বস্তিদায়ক।
৯. কোষ্ঠকাঠিণ্যতা দূর করে ফলে নিয়মিত ইস্তিঞ্জা হয় ইত্যাদি আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তালবীনাহ হালুয়া প্রস্তুত প্রণালী:
উপাদান:
১. দুধ,
২. বার্লি ,
৩. মধু (মিষ্টি স্বাদের জন্য),
৪. খেজুর কুচি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
১. একটি পাত্রে চার টেবিল চামচ পরিমাণ বার্লি গুড়া নিতে হবে।
২. এরমধ্যে এক কাপ দুধ ঢেলে দিতে হবে এবং ভালভাবে নাড়তে হবে যেন ভালোভাবে মিশে যায়।
৩. ৩ মিনিট ওভেনে গরম করতে হবে অথবা চুলায় দিয়ে নাড়তে হবে যেন জমাট না হয়ে যায়।
৪. মিশ্রণটি কিছুটা ঘন হওয়ার পর মিষ্টি স্বাদের জন্য হালকা মধু দেয়া যেতে পারে।
৫. সবশেষে খেজুর কুচি করে কেটে উপরে ছিটিয়ে দিলেই তালবীনাহ প্রস্তুত।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুগন্ধি/ আতর ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সুগন্ধি/ আতর ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক (১)
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাম দিক থেকে শুরু করা হলেও যে আমলগুলো মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ওযূর একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অনিচ্ছাকৃত তরক করায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সতর্কতা মুবারক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












