নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫১তম বৎসর মুবারক-এ সম্মানিত হজ্জ উনার মওসুমে আকাবার প্রথম বাইয়াত মুবারক অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! বাইয়াত মুবারক গ্রহণকারী উনারা ছিলেন সংখ্যায় ৬ জন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫২তম বৎসর মুবারক-এ সম্মানিত হজ্জ উনার মওসুমে আকাবার দ্বিতীয় বাইয়াত মুবারক অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! বাইয়াত মুবারক গ্রহণকারী উনারা ছিলেন সংখ্যায় ১২ জন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫৩তম বৎসর মুবারক-এ সম্মানিত হজ্জ উনার মওসুমে আকাবার তৃতীয় বাইয়াত মুবারক অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ! ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা উনারা বাইয়াত মুবারক হন; উনাদের মধ্য থেকে ১২ জনকে নক্বীব নিযুক্ত করা হয়। সুবহানাল্লাহ!

অতঃপর মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক প্রাপ্ত হয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক উনার উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ হতে বের হয়ে ফজরের পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওর গুহা মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রাখেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওর গুহা মুবারক-এ ৩ দিন ৪ রাত্রি মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করার পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) লাইলাতু সাইয়্যিদি সইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) অন্ধকার হওয়ার সাথে সাথে সেখান থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার উদ্দেশ্যে বের হন। তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার) বিকালের দিকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুবা নামক স্থানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রাখেন। অতঃপর তিনি সেখানে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করেন। যা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে কুবা শরীফ নামে পরিচিত। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ নির্মাণ করার পর সেখানে সম্মানিত জুমু‘আহ্ শরীফ উনার সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায় করেন। এটাই হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে সর্বপ্রথম সম্মানিত জুমু‘আহ্ শরীফ উনার সম্মানিত ছলাত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুবা শরীফ-এ ৩ দিন ৪ রাত্রি মুবারক-এর অধিক সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) সেখান থেকে রওয়ানা মুবারক হয়ে উক্ত তারীখেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক রাখেন। সুবহানাল্লাহ!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।