পাঠক কলাম:
আপনার সন্তানকে শিশুকাল থেকেই দ্বীন ইসলাম শিক্ষা দিন
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
শিশুরা স্বভাবতই অনুকরণপ্রিয়। বড়দের মধ্যে তার অন্তর যাকে পছন্দ করে, সে তাকেই অনুকরণ করে থাকে। ফলত শিশুকালে একটি মেয়েকে তার মায়ের অনুকরণ করে শিশু লালন-পালন, ঘর-বাড়ি, ঝাড়া-মোছা, ছোট ছোট হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে রান্নাবান্না করতে দেখা যায়। পাশাপাশি বড়দের দুনিয়াবী গাল-গল্প শোনা, পরচর্চা, পরনিন্দা, চালাকী, দুষ্টমী করে মিথ্যা বলা এই ধরনের বদস্বভাবগুলোও তার নিজের অজান্তেই তার মধ্যে গড়ে উঠে। তাছাড়া শিশু বয়সে সে খেতে না চাইলে তাকে হারাম টিভি দেখিয়ে ভুলিয়ে খাওয়ানো হয়, বেপর্দাভাবে তাকে যে কোনো অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি শিক্ষণীয় বিষয়ে সে আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও সে কোথাও ধর্মীয় আলোচনা খুঁজে পায় না। ফলশ্রুতিতে হারাম, হালাল সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান সে অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়।
বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষণীয় যে, শিশুকালের অনেক স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাই শিশুর কোমল অন্তরে গভীরভাবে রেখাপাত করে যা তার পরবর্তী বাস্তব জীবনে অনেকাংশে প্রভাব বিস্তারে সাহায্য করে।
যেমন ধরুন এর উল্টোটা যদি হয়, কোনো শিশু তার ছেলেবেলা থেকেই বাসায় নামায-কালামের চর্চা, ইলম চর্চাসহ পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা রাখা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ, হারাম ছবি তোলা, রাখা, আঁকাসহ খেলাধুলা, গান-বাজনা, বেপর্দা ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক দ্বীন ইসলাম উনাকে অনুসরণ করতে দেখে তবে সেও সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলবে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অনুযায়ী, “যে ব্যক্তি যাকে মুহব্বত করবে তার হাশর-নশর তার সাথেই হবে। ” এখন কোনো ‘মা’ কি চান উনার আজকের অতি আদরের এই শিশুর হাশর হোক একজন কাফিরের সাথে? না, কখনোই না। তাহলে আসুন, আমরা সকলেই যারা আগামীতে একদিন মা হবো, দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হই, ইসলামী আদর্শের অনুসরণ করি আগামী প্রজন্মকে করাতে শেখাই। দেশকে একটি সুস্থ, স্বাভাবিক, বিবেকবান জাতি উপহার দেই। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার “নিজের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ এবং পরিবার-পরিপজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাও” এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মিছদাক্ব হই। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলের নেক আরজুসমূহ কবুল করুন। (আমীন)।
-উম্মে হুসাইন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












