আপনার সন্তান স্কুলে গিয়ে কি পড়ছে, কি শিখছে- সেটা দেখা আপনার ঈমানী দায়িত্ব
এডমিন, ০৩ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২১ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত

ভালো কথা! কিন্তু আপনি কি একবার আপনার সন্তান তার বইয়ে কি পড়ছে, কি শিখছে, কি দেখছে, সেটা একবারও দেখেছেন? তার বইগুলোর পাতাগুলো একবার খুলে দেখেছেন? তার সাথে এ নিয়ে কথা বলেছেন?
এ প্রশ্নগুলো করার পিছনে অবশ্যই কারণ আছে। বর্তমানে আমাদের দেশের শিক্ষানীতি, সিলেবাস ও পাঠ্যবই নিয়ে যে কত বড় ও কৌশলী চক্রান্ত হচ্ছে- সেটা হয়তো আপনার জানা নেই। আপনার জানার জন্যই বলছি-
১) আমাদের দেশের বর্তমানের পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত গল্প, কবিতা, রচনাগুলোর প্রায় ৮০ ভাগেরও বেশি লেখকরাই হলো হয় হিন্দু বা নাস্তিক। বাকি যে ২০ ভাগ লেখক আছে তারাও কতটুকু মুসলমান সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ।
২) বইয়ে এমন সব গল্প-কবিতা, রচনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- যেগুলোর বেশিরভাগই হয় হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির, অথবা নাস্তিকতা সংশ্লিষ্ট, অথবা ইসলামবিরোধী। বইগুলোর কোথাও বিন্দুমাত্র ইসলামী বা মুসলমানদের ভাবধারা, সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়নি।
পাঠক! আপনি একটু কষ্ট করে হলেও অন্তত নিজের ঈমানী দায়িত্ব মনে করে, আপন সন্তানদের ঈমান রক্ষার জন্য আপনার সন্তানের বইগুলো নিয়ে একটু দেখুন। মনে রাখবেন- সন্তানকে স্কুল-কলেজে পাঠিয়ে হয়তো কথিত শিক্ষিত বানাতে পারবেন; কিন্তু আপনার অসচেতনতা, আপনার গাফলতি, আপনার অজ্ঞতার কারণে আপনার সন্তান যদি পবিত্র ঈমান ও সম্মানিত ইসলাম থেকে সরে যায়, তাহলে তার দায় আপনি অবশ্যই এড়াতে পারবেন না। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
-রিয়াসাত পারভেজ।