আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই কী এবার বেশি গরম পড়েছে ?
, ২২ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
অনেকেই এবারের গরম দেখে দাবী করছে, আবহাওয়া বা পানিবায়ু পরিবর্তনের কারণেই নাকি এমনটা হচ্ছে। তাবে তাদের দাবী অনুসারে আসলেই পৃথিবীর আবহাওয়া বা পানিবায়ু পরিবর্তন ঘটছে কি না, সেটা যাচাই করা দরকার।
প্রথমেই বলে রাখি, এবার মিডিয়াতে খবর প্রকাশ হয়েছে “৫০ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড”। এবার ৩০ এপ্রিল যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। প্রশ্ন আসতে পারে, বর্তমানে অবাহাওয়া বা পানিবায়ু পরিবর্তন হলে উচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে বুঝলাম, কিন্তু ৫০ বছর আগে কেন এত বেশি তাপমাত্রা হয়েছিলো, তখনও কী আবহাওয়া বা পানিবায়ুর পরিবর্তন ঘটেছিলো ? আর এটা তো হচ্ছে যতদিন তাপমাত্রা নথিভূক্ত হয়েছে তার হিসেব। নথিভূভক্তির আগে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা ঘটেনি তার হিসেব কে বলবে?
কেউ কেউ বলছে গাছ কাটার কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। এটা ঠিক গাছ কাটলে তাপমাত্রা বেশি অনুভব হয়, কিন্তু শহর অঞ্চলে গাছ কাটার কারণেই তাপমাত্রা বাড়ছে এটা নিশ্চিত বলা যায় না। বিশেষ করে বেশি গরম পড়লেই একটা মহল আছে, ব্যবসার ধান্ধায় এসব উল্টা পাল্টা যুক্তি ছড়ায়। ৯০ এর দশকে গরম আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে ‘দেশকে মরুভূমি থেকে বাঁচাতে বেশি করে গাছ লাগান’ এই শ্লোগান দিয়ে বিদেশী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ দিয়ে দেশ ভরে ফেলে। পরবর্তীতে দেখা যায়, সে সমস্ত গাছ তো পরিবেশের জন্য ভালো নয়, বরং মারাত্মক ক্ষতিকর।
শহরাঞ্চলে তাপামাত্রা বেশি অনুভব হওয়ার একটা বড় কারণ কংক্রিটের বর্ধণ। বাড়িঘরে তো কংক্রিটের ছাদ আছেই, উপরন্তু ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, সেতু, ব্রীজে প্রচুর পরিমাণ কংক্রিটের ব্যবহার স্থানকে উত্তপ্ত করে রাখে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে তেমন কথা বলতে দেখা যায় না। আবার পানির তাপধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীগুলো যদি চালু থাকতো, তবে পরিবেশ অনেকটাই ঠা-া থাকতো। কিন্তু ভারতকে পানি ছাড়তে বলে কিংবা খনন করে বাংলাদেশের নদীগুলো পূনরায় গতিশীল করার কোন উদ্যোগ নেয় না কেউ।
মূলতঃ গরম, শীত বা ঝড় বৃষ্টি একটু বেশি হলেই একটি মহল ‘আবহাওয়া গেলো গেলো’ বলে একটা শ্লোগান তুলে। যে বা যারা এসব শ্লোগান তুলে তাদের সবার উদ্দেশ্য ভালো নয়। এরা নানান ভুল বুঝিয়ে পরিবেশের কথা বলে এমন কিছু করে, যা তাদের স্বার্থ বাস্তবায়ন করে এবং প্রতিপক্ষকে দমন করে। আবহাওয়া বা পানিবায়ু পরিবর্তনের অজুহাত দিয়ে নিত্য নতুন আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে চাপ দেয়, যা প্রণয়ন করলে দেশী শিল্প-কারখানা ধ্বংস হয়।
-মুহম্মদ শফিউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












