ইবরত-নছীহত:
আল্লাহওয়ালা উনাদের সংস্পর্শ ব্যতীত একা একা খাঁটি মুসলমান হওয়া যায় না
, ২৭ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অনেকেই মনে করেন এবং বলে থাকেন- আমি নিজে নিজে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ পড়েই সবকিছু শিখে নিবো। কিন্তু তাদের এ কথা আদৌ সঠিক নয়। সাধারণ দুনিয়াতেই একজন ছেলে-মেয়েকে মাদরাসা বা স্কুলের সব বই কিনে ঘরে বসিয়ে দিলে তার পক্ষে একা একা বইগুলো আয়ত্ত করা সম্ভব নয়। তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম পবিত্র কুরআন শরীফ এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কি করে একা একা শিক্ষা করা সম্ভবপর হবে?
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফেই ওলীআল্লাহ তথা হক্কানী রব্বানী আলেমগণ উনাদের নিকট যেতে আদেশ করেছেন।
পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ-১১৯ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, আর ছদিক্বীন তথা সত্যবাদীগণ উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ছদিক্বীনগণের ছোহবত মুবারক অর্জন করতে বলার কারণ হলো- ছদিক্বীনগণ হলেন সর্বোচ্চ স্তরের আল্লাহওয়ালা। অর্থাৎ যিনি ছদিক্ব, তিনি সর্বগুণে গুণান্বিত, তিনিই হাক্বীক্বী আলেম, ফক্বীহ।
আমরা প্রতিদিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে বা অন্যান্য সময় আমরা পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে বলে থাকি- “আয় আল্লাহ পাক, আমাদেরকে সরল পথ দেখান। উনাদের পথ দেখান, যাঁদেরকে আপনি নিয়ামত দান করেছেন। ”
অর্থাৎ আমরা সর্বদা উনাদের পথই চাই, যাঁদেরকে নিয়ামত দান করা হয়েছে। এখন নিয়ামত কাদেরকে দেয়া হয়েছে সেটাও মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি এ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ, ছালেহ্গণ উনাদেরকে নিয়ামত মুবারক দান করেছেন। ” সুবহানাল্লাহ!
এখানে নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের দরজা আলাদা; আর ছাদিক্ব, ছালেহ্, শহীদগণ উম্মতগণের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ামতপ্রাপ্ত। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি আদেশ মুবারক করেছেন, “তোমরা ছদেক্বীনগণের ছোহবত মুবারক অর্জন করো। ”
সুতরাং হক্ব মত-পথ পেতে হলে, তথা সর্বদা পবিত্র ঈমানের উপর দায়িম-ক্বায়িম থাকতে হলে অবশ্যই ছাদিক্বীন তথা আল্লাহওয়ালাগণের সংস্পর্শ মুবারক তথা ছোহবত মুবারক অর্জন করতে হবে।
-মুহম্মদ রঈসুল ইসলাম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












