খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত, হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” সুবহানাল্লাহ!
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ!
তাই সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন পোষণ করা। উনার সীমাহীন বুলন্দী শান মুবারক মনে-প্রাণে মেনে নেয়া।
, ০১ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ উনার ৮নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত, হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! যেমন- বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফসহ আরো অন্যান্য কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় হজ্জের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুৎবা মুবারক উনার শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আপনারা যারা এখানে হাযির বা উপস্থিত রয়েছেন, যারা গায়েব বা অনুপস্থিত উনাদেরকে (আমার নছীহত মুবারকগুলো) পৌঁছিয়ে দিবেন।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এটা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক যে ‘হাযির-নাযির’ এ বিষয়টি লুগাত বা অভিধান দ্বারাও ছাবিত। আর এটা সকলের জানা রয়েছে যে, যিনি হাযির বা উপস্থিত তিনি নাযির বা প্রত্যক্ষকারী, প্রত্যক্ষদর্শী। অর্থাৎ যিনি হাযির তিনিই নাযির আবার যিনি নাযির তিনিই হাযির। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘আবূ দাউদ শরীফসহ’ আরো অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ঐ মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তুমি কোন বিপদে-আপদে পতিত হও তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, তাহলে আমি তোমার বিপদ-আপদ দূর করে দিবো। যখন তোমার জমিনে ফসল হয় না, দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমার জমিতে ফসল ফলিয়ে দিবো, দূর্ভিক্ষ দূর করে দিবো। যখন তুমি কোন জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে থাকো আর তোমার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমার বাহন ফিরিয়ে দিবো।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং কোনো সময় এবং স্থান উনার সম্মানিত উপস্থিতি মুবারক থেকে খালি নয়। যার কারণে কোনো উম্মত যদি জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে যেখানেই থাকে আর তার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করলে তিনি উক্ত উম্মতের বাহন ফিরিয়ে দেন, বাহনের ব্যবস্থা করে দেন, কোনো বিপদে পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন পোষণ করা। উনার সীমাহীন বুলন্দী শান মুবারক মনে-প্রাণে মেনে নেয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে মুহব্বত করবেন।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৩৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সম্মানিত কিতাব উনার মধ্যে আসমান-যমীন সৃষ্টির শুরু থেকে গনণা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হচ্ছে হারাম বা সম্মানিত মাস। এটাই সঠিক দ্বীন। তোমরা এই মাসগুলোতে নিজের প্রতি জুলুম করো না। ” হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ অন্যতম।
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। ”সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবে আসন পেতে বসে থাকে। যখন সে যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয়, তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়। ” মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির সমস্ত কামিয়াবীর সোপান।
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে।
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)