উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
, ১৫ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি গোষ্ঠীগুলো উস্কে দেয়ার মূলে কাজ করছে বিদেশী কিছু সংস্থা, যেমন- জাতিসংঘ (ইহুদীসংঘ), ইউএনডিপি, কারিতাস, কেয়ার, আশা, সিসিডিবি’সহ আরো কিছু বিদেশী এনজিও। এরাই কুটবুদ্ধি ও কুপরামর্শ দিয়ে উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে ক্ষেপিয়ে রাখছে। এই উস্কে দেয়ার পেছনে উপজাতিদের মুলো দেখানো হয়- ‘তাদের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে দেয়া হবে’। কিন্তু বাস্তবে উপজাতিদের স্বার্থ এখানে মুখ্য নয়। মূল স্বার্থ পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের, যারা উপজাতি গোষ্ঠীগুলোকে শুধু ব্যবহার করছে তিন পার্বত্য জেলাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। কারণ বিশেষ ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানে কারণে তিন পার্বত্য জেলাকে আমেরিকার খুব খুব দরকার, তাই যেভাবেই হোক এই তিনি জেলাকে তাদের চাই চাই। এ প্রক্রিয়া চলে চার প্রকারে-
(১) মগজ ধোলাই সম্পর্কিত পুশিং: বিদেশী গোষ্ঠীগুলো উপজাতিদের কাছে গিয়ে সর্বদা কানপড়া দিতে থাকে- “তোমাদের বাংলাদেশের সাথে থেকে কি লাভ আছে? তোমরা নিজেরাই একটা দেশের জন্য চিন্তা করো, সেটা হবে তোমাদের রাজত্ব। সেখানে তোমরা যা খুশি তাই করতে পারবে। তোমাদের লোকবল আছে, সামর্থ্য আছে। অনেক এলাকায় ভূমি পাচ্ছে। তোমরাও চেষ্টা করলে পাবে। আমরা বাইরে থেকে তোমাদের সর্বপ্রকার সাহয্য করবো। ” এ ধরনের কানপড়া কিছু বিদেশী গোষ্ঠী সবসময় উপজাতি নেতাদের দিয়ে থাকে।
(২) ফান্ডিং: বাইরের এনজিও সংস্থাগুলো ফান্ড প্রবাহ দিয়ে মূল বিদ্রোহ জিয়িয়ে রাখে। এই ফান্ড প্রবাহ নানান জায়গায় হতে পারে। যেমন- বিভিন্ন উপজাতি নেতাদের কাছে, এনজিওতে ভালো চাকরি দিয়ে, আর্থিক অনুদানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে, ঘরবাড়ি বানিয়ে দিয়ে। এসব অর্থ প্রবাহের বিনিময়ে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
(৩) মিডিয়ার সাহায্য: সম্রাজ্যবাদী (সিআইএ, র’ ও মোসাদ) অপশক্তি নিয়ন্ত্রিত কিছু মিডিয়া উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে এই উস্কানি দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এ ধরনের মিডিয়ার মধ্যে নেতৃস্থানীয় হচ্ছে- ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ভোরের কাগজ, যায়যায়দিন। এরা অব্যাহতভাবে উপজাতিদের দেশদ্রোহী কাজে ফুয়েল দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।
(৪) অস্ত্র সাহায্য: প্রতিবেশীসহ বাইরের কিছু দেশ থেকে উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে অস্ত্র সরবারাহ করে তাদের বিদ্রোহী মনোভাব ও স্বাধীন রাষ্ট্রের অলীক কল্পনা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও কার্যক্রমটি সিআইএ ও মোসাদ নির্ভর। কিন্তু আমেরিকার তো বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত নাই। তাই ভারত ও মিয়ানমারের সহায়তায় তাদের সীমান্ত ব্যবহার করে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে মারণাস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে ইহুদীসংঘের সব সংস্থা এবং এনজিও’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
-মুহম্মদ মারুফ হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খ্রিস্টানদের অনুষ্ঠানকে ‘বড়দিন’ বলা যাবে না
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
স্বাধীন আরাকান চাই!
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশের সার্বভৌমত্বের সংকটে- দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতেই হবে
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পৃথিবীর সবচাইতে কুখ্যাত কিছু নৌদস্যুর অপকীর্তি
২৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ফসলের একটি অংশ যায় রাজাকার ত্রিদিবের সন্তান দেবাশীষের ঘরে! -এদেশে উপজাতি চৌকিদারকে কেন ‘রাজা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে?
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ছু’দের বদ আমলই কি এর জন্য দায়ী নয়?
২২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশে জিএম ফুড প্রচলনের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে
১৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জান্নাতী এবং জাহান্নামী ব্যক্তিদের কিছু আলামত
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ঔ পনিবেশিক-ব্রাক্ষণ্যবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র পরিভাষা, শব্দ ও বানান আগ্রাসন (১)
১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইলিশ ধরায় বাংলাদেশ-ভারতের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বড় পার্থক্য নিষেধাজ্ঞার নামে ভিনদেশী জেলেদের জামাই আদরে সাগর থেকে ইলিশ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় আর দেশীয় জেলেদের জেলে পুরা হয় জেলেদের প্রতি এ নির্মম জুলুম আর কতকাল?
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আধুনিকতা নাম দিয়ে হারাম ‘ছবি’ তোলা থেকে বিরত থাকুন
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












