উপজাতি রাজাকারদের চাপা পড়া কু-কীর্তি (১)
-উপজাতি গোষ্ঠী বোমাংদের শাসক রাজাকার যুদ্ধাপরাধী অং শৈ প্রু
এডমিন, ১১ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২০ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বিশেষ প্রতিবেদন

আল ইহসান ডেস্ক:
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী উপজাতি রাজাকারদের কথা আমাদের নতুন প্রজন্ম জানেই না। এ সুযোগে উপজাতি রাজাকাররা এবং তাদের বংশধররা স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারী নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে এবং প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পৌঁছে গেছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
উপজাতি যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিচার না করে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি করা, তাদেরকে সরকারী সুযোগ-সুবিধা দেয়া কি দেশের জন্য অপমানের নয়?
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম তিনটি সার্কেলে বিভক্ত ছিলো। এই তিন সার্কেলে উপজাতিদের তথাকথিত তিন শাসক (রাজা) ছিলো। তাদের মধ্যে চাকমাদের ছিলো ত্রিদিব, বোমাংদের অং শৈ প্রু এবং মংদের মং প্রু চাঁই।
বোমাং সার্কেলের শাসক (কথিত রাজা) যুদ্ধাপরাধী অং শৈ প্রু ছিলো স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী। প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও মন্ত্রী এই রাজা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে এবং হানাদার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলো। সে ১৯৬৫ সালে মুসলিম লীগের টিকিটে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রিসভায়ও যোগ দিয়েছিলো। তার পরিবারের লোকজনও পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। তবে বোমাং রাজা অং শৈ প্রু স্বাধীনতার পর জেলে বন্দি হয়। (ইব্রাহিম পৃ. ৭৮)।
হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’, সপ্তম খ-ের (জুন ২০০৯) ৫৪০ পৃষ্ঠায় আছে, ‘পাকিস্তান সরকারের তৎকালীন মন্ত্রিসভায় একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হয় বোমাং শাসক অং শৈ প্রু।’