উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৬)
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
তিন শ্রেণীর লোক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ زِيَادِ بْنِ حُدَيْرٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ قَالَ لِيْ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ هَلْ تَعْرِفُ مَا يَهْدِمُ الإِسْلاَمَ قَالَ قُلْتُ لَا قَالَ يَهْدِمُه زَلَّةُ الْعَالِمِ وَجِدَالُ الْمُنَافِقِ بِالْكِتَابِ وَحُكْمُ الأَئِمَّةِ الْمُضِلِّيْنَ.
অর্থ: হযরত যিয়াদ ইবনে হুদাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার কি জানা রয়েছে কোন জিনিস সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি করে? হযরত যিয়াদ ইবনে হুদাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি বললাম বিষয়টা আমার তাহক্বীক্ব নেই। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ১. আলিমদের পদস্খলন, ২. পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে মুনাফিক্বদের বিতর্ক, ৩. গোমরাহ শাসকদের গোমরাহীমূলক আদেশ-নিষেধ। (সুনানুদ দারেমী ১/৮২, মুসনাদুদ দারেমী ১/২৯৫, শরহুস সুন্নাহ ১/৩১৭, মিশকাত শরীফ, মিরকাতুল মাফাতীহ ১/৩৩৪ ইত্যাদি)
এই তিন শ্রেণীর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে পথভ্রষ্ট আলিম তথা উলামায়ে সূ’রা। এই বর্ণনা থেকেও সাব্যস্ত হয় যে, উলামায়ে সূ’রা অন্য দুই শ্রেণী থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বেশি ক্ষতি করেছে, করছে এবং করবে। কারণ উলামায়ে সূ’রা সাধারণ মানুষকে নেক ছূরতে ধোকা দেয়। আলিমদের প্রতি সাধারণ মানুষের একটা দুর্বলতা থাকে। অমুক এতো বড় আলিম সে কি ভুল করতে পারে? আর এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তারা তাদের গোমরাহীর বীজ বপন করে। নাঊযুবিল্লাহ!
একটা বিষয় যদি আমরা লক্ষ্য করি যে, কোনো সরকার যদি ইসলাম বিরোধী কোনো কিছু জারী করতে চায় তাহলে সে নিজে সেটা জারী করতে পারে না। কারণ সাধারণ মানুষ তার থেকে সেটা গ্রহণ করবে না। তাই সবসময়ই দেখা যায়, সরকার তার দলীয় উলামায়ে সূ’দের মাধ্যমে তাদের কুফরী মতবাদটাকে জারী করার কোশেশ করে থাকে। যার কারণে দেখা যায় সমস্ত ফেতনার মূলেই হলো এই উলামায়ে সূ’রা। নাঊযুবিল্লাহ!
উলামায়ে সূ’রা দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَنَا مِنْ غَيْرِ الدَّجَّالِ أَخْوَفُ عَلَيْكُمْ مِنَ الدَّجَّالِ فَقِيْلَ وَمَا هُوَ يَارَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ عُلَمَاءُ السُّوْءِ
অর্থ: “আমি তোমাদের ব্যাপারে এক সম্প্রদায়কে দাজ্জালের চেয়েও অধিক বেশি ভয়ঙ্কর মনে করি। তখন জিজ্ঞেস করা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেটা কোন্ সম্প্রদায়? জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, এরা হলো উলামায়ে সূ’। (বিদায়াতুল হিদায়াহ ২৭ পৃষ্ঠা)
আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَشَدَّ مَا أَتَخَوَّفُ عَلٰى أُمَّتِيْ ثَلَاثٌ زَلَّةُ عَالِمٍ وجِدَالُ مُنَافِقٍ بِالْقُرْاٰنِ وَدُنْيَا تَقْطَعُ أَعْنَاقَكُمْ فَاتَّهِمُوْهَا عَلٰى أَنْفُسِكُمْ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আমার উম্মতের তিনটি বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশংকা করছি। তা হলো- আলিমদের পদস্খলন, পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে মুনাফিক্বদের বিতর্ক, এই দুনিয়া যা তোমাদের গলা কেটে দেয়। অতঃপর তোমরা নিজেদেরকে দোষারোপ করো। (আয যুহদ ওয়া ছিফাতুয যাহিদীন ৪৯ পৃষ্ঠা, আল মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৫৮)
-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ক্বদমবুছী মুবারক খাছ সুন্নাত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূঁজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৯)
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাযিনু কামালিল্লাহ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
১১ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
উলামায়ে সূ’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ও হাক্বীক্বত (৭)
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, হিন্দুদের পূজায় গিয়েছে, তাদেরকে পূজা করতে সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, সমর্থন করেছে, সম্মতি প্রকাশ করেছে, তাদের সাথে মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করেছে, তাদেরকে সম্মান করেছে, তা’যীম করেছে, তাদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করেছে এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছে, বাহ বাহ দিয়েছে এবং বেশী বেশী মূর্তি তৈরী করতে বলেছে এবং বেশী বেশী পূজা করতে বলেছে তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৮)
০৯ মে, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)