একজন মুসলমান হিসেবে ভাল ও মন্দের পার্থক্য করুন! (১)
, ০১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আ’লা শরীফ উনার ৯, ১০ ও ১১ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতদেরকে নছীহত মুবারক করুন; নিশ্চয়ই আপনার নছীহত মুবারক উম্মতদের জন্য সম্মানিত দ্বীন পালনে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ও আপনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের সহায়ক হবে। যাদের অন্তরে ভয় রয়েছে উনারাই শুধুমাত্র নছীহতের মাধ্যমে ফায়দা লাভ করবে। আর আপনার নছীহত মুবারক তারাই গ্রহণ করবে না, যাদের অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয় নেই এবং আপনার প্রতি মুহব্বত ও আদব নেই। অর্থাৎ যারা চরম বেয়াদব, বদবখত ও গোমরাহ। ”
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয়, যারা নছীহত মুবারক গ্রহণ করবেন, উনাদের জন্য অনেক সুসংবাদ রয়েছে। উনাদের সম্পর্কে পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে বলা হবে, যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করবেন উনাদের জন্য রয়েছে এমন জান্নাত যার তলদেশ দিয়ে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়, উনাদেরকে সেখান থেকে রিযিক হিসাবে ফলমূল দেয়া হবে। সেখানে উনাদের জন্য থাকবে পবিত্রতমা আহলিয়া। উনারা সেখানে অনন্তকাল অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ!
এখানে শুধুমাত্র একটি দলীল পেশ করা হয়েছে কিন্তু এরূপ অসংখ্য আরো দলীল-প্রমাণ রয়েছে। সব তো বর্ণনা করা সম্ভব নয়। যে ব্যক্তি বুঝবে সে অল্পতেই বুঝবে বা হিদায়েত লাভ করবে। এখানে নেককার উনাদের বর্ণনা কিছুটা দেয়া হয়েছে। আর বদকারদের সম্পর্কে পবিত্র সূরা লাইল শরীফ উনার ১৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “গুনাহগার ও বদবখত তারা ব্যতীত অন্য কেউ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। ” এই বদবখতদের দুটি প্রধান দোষ রয়েছে। প্রথমটি হলো: তারা সবসময় মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের সম্পর্কে ও উভয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মিথ্যারোপ করে। নাউযুবিল্লাহ! দ্বিতীয়টি হচ্ছে: উনাদের উভয়ের থেকে এবং উভয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। নাউযুবিল্লাহ!
যখন তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, সেখানে তারা এত আযাব-গযবে গ্রেফতার থাকবে যে, তারা মরার মতো মরবেও না এবং বাঁচার মতো বাঁচবেও না। তারপরও তারা মৃত্যু কামনা করবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ সমস্ত কাফিররা জাহান্নামে বলতে থাকবে, “হায় আফসুস! আমরা যদি মাটি হয়ে যেতাম বা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতাম! অর্থাৎ হাক্বীক্বী মৃত্যুবরণ করতাম সেটাই উত্তম হতো!”
-আহমদ কানিজ ফাতিমা আঁখি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












