মন্তব্য কলাম
এদেশবাসী- পাকিস্তানী রাজাকারদের কথা শুনেছে। কিন্তু উপজাতি সন্ত্রাসীরা বৃটিশ আমল, পাকিস্তানী আমল এবং বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশেও রাজাকারগিরি করছে। গত ২১শে এপ্রিল সন্তু লারমার নাতি জাতিসংঘ অধিবেশনে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে চরম ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছে বাংলাদেশী উপজাতিদের আদিবাসী দাবী করে সংবিধান বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে
, ০৮ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০২ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ৩১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বিশেষ করে পার্বত্য এলাকা থেকে বাঙালীদেরই তাড়িয়ে দেয়ার জোর দাবী তুলেছে।
সরকারের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় ওরা স্বাধীন জুমল্যান্ড গড়ার ষড়যন্ত্রে বিভোর কিনা? সমালোচক মহলে সে প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে
জাতিসংঘের আদিবাসী ঘোষণাপত্র ২০০৭- স্বাক্ষর করেনি বাংলাদেশ।
পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা যে আদিবাসী নয় তাও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে জোরদার হচ্ছে আদিবাসী অপপ্রচার।
সঙ্গতকারণেই প্রত্যাহারকৃত ১৫৯টি সেনাক্যাম্প পূন:স্থাপনই কেবল নয় বরং পার্বত্য এলাকায় সেনাক্যাম্প আরো বেশী স্থাপন করা জরুরী দরকার।
এবং বর্তমান গোয়েন্দা ব্যার্থতার বিপরীতে শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা বিশেষ দরকার।
তথাকথিত শান্তি চুক্তিতেই বাংলাদেশীদের জন্য সব অশান্তি জমে আছে।
পতিত জালিম সরকারের করে যাওয়া
বাঙালীদের প্রতি চরম বৈষম্যকারী এমনকী ক্ষেত্র বিশেষে নাগরিকত্ব অস্বীকারকারী
তথাকথিত এই শান্তি চুক্তি অবিলম্বে বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট চুক্তি করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
সেনাবাহিনী ও সরকার
উপজাতিদের জন্য অনেক অনেক বেশী করলেও ওরা সেনাবাহিনীর উপর বার বার আক্রমণ করছে।
আলাদা জুমল্যান্ড করার কু-চেষ্টা করছে।
আদিবাসী দাবিদাররা বিশ্বাসঘাতক, ষড়যন্ত্রী ও দেশদ্রোহী
(প্রথম পর্ব)
পাহাড়ে অসহায় পরিবারের স্বপ্ন পূরণ: সেনাবাহিনীর সহায়তায় নতুন ঘর
২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ২০২৫
এক সময় ভাঙা ঝুপড়ি ঘরই ছিল ফুলী চাকমার একমাত্র আশ্রয়। বয়সের ভার, দারিদর্্েযর কঠিন চক্র, আর সরকারি সহায়তার অভাবে কেটেছে তাদের জীবনের অনেক বছর। কিন্তু স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলে দিল তাদের জীবন। স্থানীয়রা তৎপর হওয়ার পর তার অসহায় জীবনের খবর পৌঁছে যায় জোন কমান্ডারের কাছে। জোন কমান্ডার ও তার চৌকস কর্মকর্তা সহ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর নিজস্ব অর্থায়নে শুরু হয় নতুন ঘর নির্মাণের কাজ।
গত (২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ২০২৫) দুপুরে রাঙ্গামাটি রিজিয়নের কাপ্তাই ১০ আরই ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম সাদিক শাহরিয়ার ও অন্যান্য সেনা অফিসারের উপস্থিতিতে ফুলেশ্বর চাকমার নতুন ঘরের দ্বার উন্মোচন করা হয়।
দুর্গম পাহাড়ের মানুষের জন্য সেনাপ্রধানের সুপেয় পানির উপহার
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এ ১১:৫৮
খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিনের পানি সংকট দূর করতে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধানের বিশেষ উপহার হিসেবে এবার সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছেন পানছড়ি উপজেলার রেজা মনিপাড়া ও কারিগর পাড়ার ১১৭ পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্প’ উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাছান মাহমুদ।
এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতাবিশিষ্ট সড়কগুলো সেনাবাহিনী নির্মাণ করায় পাহাড়ি জনপদে এসেছে উন্নয়ন ও প্রাণের স্পন্দন। বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুরে্যাগে জানমাল রক্ষা, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে সেনাবাহিনী যে আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ও অবদান: মহা গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অঙ্গভূত অংশ হলেও একটি সময় পর্যন্ত এই জনপদের সঙ্গে রাষ্ট্রের সংযুক্তি ছিল সুদূরপরাহত। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এই ভূখ-ে স্বাভাবিক শাসন প্রক্রিয়া চালু রাখা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করে জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে যে প্রতিষ্ঠানের অনন্য ভূমিকা রয়েছে, তাহলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এই বাহিনীর আত্মত্যাগ, কষ্টসাধ্য পরিশ্রম এবং সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা আজ পাহাড়ের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে।
১৯৭২ সালে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গঠিত হওয়ার পরপরই ১৯৭৩ সালে তারা শান্তিবাহিনী নামক একটি সশস্ত্র শাখা গঠন করে এবং ৫ দফা দাবিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ১৯৭৫ সালে খিরামবন বিভাগে হামলা, জুরাছড়ি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, ১৯৭৭ সালে সাঙ্গু নদীতে টহলরত সেনাসদস্যদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে কাদেরসহ পাঁচজন সেনাসদস্যকে হত্যা এবং বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন ও নিরস্ত্র জনগণের উপর হামলার মাধ্যমে শান্তিবাহিনী পাহাড়ে এক বিপজ্জনক অরাজকতার সূচনা করে।
পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঠেকাতে রাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা মোতায়েন করে এবং ধাপে ধাপে সেনা সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে। পাহাড়ের দুর্গম, বিষাক্ত ম্যালেরিয়াপ্রবণ ও জনবিচ্ছিন্ন অঞ্চলসমূহে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর জন্য ছিল এক অক্লিষ্টকর্মার নজির। শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাদের নিত্য যাপন, দুর্গম পথে টহল, অভিযানে অংশগ্রহণ এবং নিরস্ত্র বাঙালিদের জীবনরক্ষা ছিল এক অসামান্য দৃষ্টান্ত।
১৯৭৯ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করে সরকার, যার ফলে রাষ্ট্রের অখ-তা রক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ হয়। এই পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে শান্তিবাহিনী আরও আগ্রাসী হয়ে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর আক্রমণ ও হত্যা চালায়। ফলে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি হয়ে ওঠে অপরিহার্য। একদিকে জনগণের নিরাপত্তা, অন্যদিকে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা ছিল একসাথে ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিচালনার চরম দায়িত্ব।
সেনাবাহিনীর প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল রাষ্ট্র রক্ষার দৃঢ় সংকল্পের প্রতিফলন। পাহাড়ের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ছিল যে কতটা চ্যালেঞ্জিং, তা স্পষ্ট হয় পুর্নবাসিত প্রবীণ বাঙালিদের কথায়। তারা মনে করেন, শান্তিবাহিনীর তীব্র গেরিলা আক্রমণ, ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব, খাদ্য-ওষুধের সংকট, দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থার মধ্যে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন ছিল এক মহাকাব্যিক সংগ্রাম।
পাহাড়ে সভ্যতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থানমুখী কার্যক্রম-এ সমস্ত কিছুই সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা ও কর্মদক্ষতার ফসল। পাহাড়ের খাড়া ঢালুতে রাস্তাঘাট নির্মাণ, দুঃসাধ্য স্থানে ব্রিজ-কালভার্ট স্থাপন, দূরদূরান্তে স্কুল-কলেজ স্থাপন, অসুস্থদের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া, মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি সকল কর্মযজ্ঞে সেনাবাহিনীর অবদান অবিস্মরণীয়।
৭২০ জনের অধিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য শহীদ হয়েছেন পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে। আহত হয়েছেন অগণন সেনা সদস্য। এক একজন শহীদের রক্তে আজ পাহাড়ে গড়ে উঠেছে উন্নয়নের ভিত্তি। আজকে নাইক্ষ্যংছড়ি, বাঘাইছড়ি ও পানছড়ির মত দুর্গম অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষও ভোগ করছে শিক্ষা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ এবং উন্নত জীবনধারা। ১৯৭৯ ও ১৯৯৭ সালের পূর্বে এসব এলাকায় প্রায় আদিম জীবনযাপন চললেও, আজ সেখানে আলো জ্বলেছে, শিশুদের হাতে বই উঠেছে, প্রসূতিদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেছে।
সেনাবাহিনীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ পর্যটনের নতুন স্বপ্নলোক। সাজেক, নীলগিরি, আলুটিলা, বগালেক, থানচি-এই স্থানগুলোতে আজ হাজার হাজার পর্যটকের আগমন, স্থানীয়দের আয়ের উৎস এবং রাষ্ট্রের সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অথচ এই অঞ্চলগুলো ছিল কখনো বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দুর্গ, যেখানে প্রবেশ করাটাও ছিল জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিবর্তনের পেছনে সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য।
তবে দুঃখজনকভাবে, এক শ্রেণির সুশীল সমাজ, বাম রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং তথাকথিত মানবাধিকারকর্মী সবসময়ই সেনাবাহিনীর উপস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তাদের চোখে পাহাড়ে সেনা শাসনের সমালোচনা থাকলেও, সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন নিয়ে তারা নিশ্চুপ থাকে। এই নিঃস্তব্ধতা যেন একপাক্ষিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
পাহাড়ে পুনর্বাসিত বাঙালি এবং সাধারণ উপজাতি জাতিসত্তা বিশ্বাস করেন, সেনাবাহিনী না থাকলে এই পাহাড় অরক্ষিত হয়ে পড়বে, এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। আজ সেনাবাহিনীর পদচারণ যেখানে পৌঁছেছে, সেখানেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। পাহাড়ের আনাচে-কানাচে নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমই নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রের একত্ববোধ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথেই পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার অঞ্চলটির দুর্গম এলাকায় নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে।
এই পার্বত্য জনপদে সেনাবাহিনীর অতীত দিনগুলো ছিল অগ্নিদ সময়। অস্ত্র হাতে নয়, তারা এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে পাহাড়ে এসেছে। এই বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি-অস্ত্রের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের মাধ্যমে মন জয়-ছিল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সেনাবাহিনী শুধু একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী নয়, বরং আধুনিক রাষ্ট্রগঠনের কারিগর। অন্ধকারে ডুবে থাকা অঞ্চলে তারা এনেছে আলো, নিঃসঙ্গতায় ডুবে থাকা মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রের সান্নিধ্য। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে শুধু চাকরি করেননি, বরং সেখানে তারা জীবন রেখে গেছেন, ভবিষ্যৎ রেখে গেছেন।
পাহাড়ে শান্তি স্থাপনে অনন্য অবদান সেনাবাহিনীর
দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল খাগড়াছড়ি জেলার আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় ১৬০টি পরিবারের ৪০০ জন ব্যক্তিবর্গ দীর্ঘদিন যাবৎ পানির সমস্যায় ভূগছিল। সেখানে ছিলনা কোন সুপেয় পানির উৎস। এই খবর জানার পরপরই ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের উদ্যোগে সেনাবাহিনী কর্তৃক ১০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়। যা ৫০০ মিটার গভীর হতে মোটর এর মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করতঃ উক্ত পানির ট্যাংকে সংরক্ষিত হয় এবং সেখান থেকে স্থানীয়রা সুপেয় পানি সংগ্রহ করে। সেখানে এই প্রকল্প চালুর পর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর পানির সমস্যা সমাধান হওয়ায় সেনাবাহিনীর অনন্য ভূমিকায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অতি সম্প্রতি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের জংলীটিলা এলাকায় স্থানীয় পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের পানির সমস্যা সমাধানে মহালছড়ি সেনা জোনের মাধ্যমে একটি সুপেয় পানির হাউজ নির্মাণ করা হয়। এতে ঐ এলাকার স্থানীয় জনগণ সেনাবাহিনীর মানবিক দায়িত্ব পালনে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্ববোধ করছে।
পাহাড়ের অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে দ্রুত পৌঁছে দেন তারা। যে কোনো দুরে্যাগে পাহাড়ী মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় তাদের। না এখানেই শেষ নয়, বেকার যুবকদের জন্য ব্যবস্থা করছেন কর্মসংস্থানের। রাত হলে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কারণে ঘুমাতে পারেন না পাহাড়ি-বাঙালিরা। তাদের শান্তিতে ঘুমোনোর ব্যবস্থাও করছেন এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য।
তথা, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পাহাড়ি অঞ্চল- খাগড়াছড়ি, বান্দরবন এবং রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর মানুষের পাশে থাকার কথা। সামাজিক উন্নয়নে এই বাহিনীর ভূমিকা যেমন এখন দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত, তেমনি আস্থা অর্জন এবং সম্প্রীতি বজায়ে তিন পাহাড়ের সব ধর্মের মানুষের কাছে সেনাবাহিনী একটি নির্ভরতার প্রতীক। পার্বত্য চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি এখন একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার হাজাপাড়া নামক দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় মহামারি আকারে ডায়রিয়া আর অন্যান্য পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিলো কিছু দিন আগে। ঐ সময়ে বেশ কিছু পাহাড়ী যুবক, বৃদ্ধা ও শিশু গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতি দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে দূর্গম পাহাড়ী পথে কয়েক ঘন্টা হেটে হাতিরমাথা অতিক্রম করে হাজাপাড়া এলাকায় পৌছায়, সেখানে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প নির্মাণ করে ১৫০-১৬০ জন মহামারী আক্রান্ত রোগীদের পরম যতেœর সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলে। প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে দূর্গম ঐ এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেশমাতৃকার সেবায় নিজেদের কষ্ট বিসর্জন দিয়ে বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসা সেবা এবং জনস্বার্থমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল।
তথাকথিত করোনায় যখন সারাদেশের মানুষ নিজের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই খাগড়াছড়ি, বান্দরবন এবং রাঙামাটির দুর্গম অঞ্চলের মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সেনাবাহিনী। কেবল তাই নয়, রাত-বিরাতে অনেক মানুষ হাসপাতালে যেতে পারেন না। তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এই বাহিনীর প্রতিটি চৌকষ সদস্য।
এই বাহিনীর আরও রয়েছে নানান ভূমিকা। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি তারা সেখানকার বসবাসরত লোকজনের জীবনমানোন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ বছরে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন তিন পার্বত্য জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫০ হাজারের বেশি মানুষের ভেতর শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। এছাড়াও অন্তত এক লাখ মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও ২০ হাজার জনকে বিভিন্ন আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে। নিয়মিতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে বিনামূল্যে চক্ষুশিবির।
এসব চক্ষুশিবিরে দুর্গম পার্বত্য এলাকার সুবিধাবঞ্চিত বয়োবৃদ্ধ পাহাড়ী ও বাঙালির চোখের ছানি অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরনের চক্ষু সেবা প্রদান করা হয়।
ইতিপূর্বে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, রাঙামাটির সাজেক ও বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় হাম আক্রান্ত হয়ে বহু পাহাড়ী শিশু নিহত হবার ঘটেছে। এসব আক্রান্ত এলাকাগুলোতে নিজেদের জীবন বাজি রেখে সুপেয় পানি সরবরাহ, খাবার ব্যবস্থা, অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প করে অসুস্থদের চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করে পাহাড়ে হাম আক্রান্ত পাহাড়ীদের জীবন বাঁচানোর মতো মানবিক কাজে সেনাবাহিনীর অবদান ভাষায় বর্ণনার মত নয়।
তারপরেও তথাকথিত আদিবাসী দাবীদারদের কোনো কৃতজ্ঞতা বোধ নেই। বরং সুযোগ পেলেই ওরা সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ করছে
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কেবল জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলাই নয়, প্রথমেই এর দূত হিসেবে আত্মস্বীকৃত সমকামীকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ। শুধু সেই নয়, সমকামী পার্টনার সহই তারা ঢাকায় আসতে চাইছে।
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কর্মক্ষম জনশক্তি তথা কর্মক্ষমতার স্বর্ণযুগে বাংলাদেশ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭৫ জনই কর্মক্ষম। এবং ইন্দোনেশিয়া নয়, বাংলাদেশই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মুসলমানের সংখ্যা ৪৫ কোটিরও উপরে। (সুবহানাল্লাহ)
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গত ৩ই নভেম্বর সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে দেশে অনলাইন জুয়ারীর সংখ্যা ৫০ লাখ বাস্তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বিকার প্রশাসনের ব্যর্থতায় অনলাইন জুয়ায় দেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ জড়িত মারাত্মক অপরাধে জড়াচ্ছে অনলাইন জুয়ায় আসক্তরা
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা গবেষণার দিকে আগ্রহী না হয়ে বিসিএস পরীক্ষায় আগ্রহী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তহবিল বা অর্থায়ন আসার প্রক্রিয়াটি সরকারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক স্থাপন হয়নি
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আফ্রিকার দৈত্য মুসলিম প্রধান দেশ- ‘নাইজেরিয়ায়’ আছে- ‘অফুরন্ত তেলের উৎস’ আছে- সবচেয়ে দামী খনিজ ‘লিথিয়াম’, ‘উচ্চ মানের লৌহ আকরিক’ সহ দুর্লভ সব খনিজ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আফ্রিকার দৈত্য মুসলিম প্রধান দেশ- ‘নাইজেরিয়ায়’ আছে- ‘অফুরন্ত তেলের উৎস’ আছে- সবচেয়ে দামী খনিজ ‘লিথিয়াম’, ‘উচ্চ মানের লৌহ আকরিক’ সহ দুর্লভ সব খনিজ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদীদের বন্ধুও বড় শত্রুই বটে! ইহুদীরাই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট বানায়, নামায় তথা আমেরিকা চালায়।
০৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শীর্ষ বিশ্ব সন্ত্রাসী বর্বর ইসরাইল ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন প্রায় শেষ করে আবারো আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে এখন ইরানে সন্ত্রাসী হামলা করে যাচ্ছে জাতিসংঘ তথা ইহুদীসংঘ কাফিরদের মুখপাত্র হিসেবেই তাদের মুখ বন্ধ করে আছে
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শুধু চট্টগ্রাম বন্দর, করিডোর অথবা পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুমল্যান্ড নামে আলাদা খ্রিস্টান রাজ্য বানানোর গভীর ষড়যন্ত্রই শেষ নয়- বরং অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা তথা আতাতের কারণে বাংলাদেশে নতুন নতুন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বসানোর পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। বাংলাদেশের কৃষি-বাণিজ্য সবই তারা জবর দখল করতে চাইছে।
০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
চিকিৎসকের ভুল নির্ধারণ এবং শাস্তি প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণই ব্যর্থ তন্ত্র-মন্ত্রের ভাবধারায় আইন প্রণয়ন যেমন সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ হয়নি তেমনি প্রয়োগও স্বচ্ছ হয় না কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই রোগী-চিকিৎসক সুসম্পর্ক এবং উত্তম চিকিৎসা সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিগত রাজনৈতিক সরকারগুলোর চেয়ে অনেক বেশী বাগড়ম্বর করছে অন্তর্বর্তী সরকার সার সংকটকে তারা জাদুঘরে পাঠাবে বললেও দেশের সর্বত্র সার সংকট প্রকট।
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












