মন্তব্য কলাম
এদেশবাসী- পাকিস্তানী রাজাকারদের কথা শুনেছে। কিন্তু উপজাতি সন্ত্রাসীরা বৃটিশ আমল, পাকিস্তানী আমল এবং বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশেও রাজাকারগিরি করছে। গত ২১শে এপ্রিল সন্ত্রাসী সন্তু লারমার নাতি জাতিসংঘ অধিবেশনে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে চরম ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়েছে
, ১১ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশী উপজাতিদের আদিবাসী দাবী করে সংবিধান বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে
বিশেষ করে পার্বত্য এলাকা থেকে বাঙালীদেরই তাড়িয়ে দেয়ার জোর দাবী তুলেছে।
সরকারের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় ওরা স্বাধীন জুমল্যান্ড গড়ার ষড়যন্ত্রে বিভোর কিনা? সমালোচক মহলে সে প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে
জাতিসংঘের আদিবাসী ঘোষণাপত্র ২০০৭- স্বাক্ষর করেনি বাংলাদেশ।
পার্বত্য জেলার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা যে আদিবাসী নয় তাও ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে জোরদার হচ্ছে আদিবাসী অপপ্রচার।
সঙ্গতকারণেই প্রত্যাহারকৃত ১৫৯টি সেনাক্যাম্প পূন:স্থাপনই কেবল নয় বরং পার্বত্য এলাকায় সেনাক্যাম্প আরো বেশী স্থাপন করা জরুরী দরকার।
এবং বর্তমান গোয়েন্দা ব্যার্থতার বিপরীতে শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা বিশেষ দরকার।
তথাকথিত শান্তি চুক্তিতেই বাংলাদেশীদের জন্য সব অশান্তি জমে আছে।
পতিত জালিম সরকারের করে যাওয়া
বাঙালীদের প্রতি চরম বৈষম্যকারী এমনকী ক্ষেত্র বিশেষে নাগরিকত্ব অস্বীকারকারী
তথাকথিত এই শান্তি চুক্তি অবিলম্বে বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট চুক্তি করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
সেনাবাহিনী ও সরকার
উপজাতিদের জন্য অনেক অনেক বেশী করলেও ওরা সেনাবাহিনীর উপর বার বার আক্রমণ করছে।
আলাদা জুমল্যান্ড করার কু-চেষ্টা করছে।
আদিবাসী দাবিদাররা বিশ্বাসঘাতক, ষড়যন্ত্রী ও দেশদ্রোহী
(চতুর্থ পর্ব)
আদিবাসী শব্দটি গত এক এক যুগ ধরে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য, বাংলাদেশের অখন্ডতার জন্য, বাংলাদেশী জনগণের জন্য চরম স্পর্শকাতর বিষয়। গভীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়।
এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে জাতিসংঘের একটি ঘোষণাপত্র।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬১তম অধিবেশনে ২০০৭ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে একটি ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়।
সেখানে ১৪৪টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ, ভুটান এবং রাশিয়া সহ ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এছাড়া আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। পরবর্তীতে এই চারটি দেশ তাদের অবস্থান বদল করে এই ঘোষণাপত্রকে সমর্থন দেয়।
সেই ঘোষণাপত্রে ১২টি ক্ষেত্রে আদিবাসীদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল জাতিসংঘ। যার মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত অধিকারগুলোই ছিল মুখ্য। সে ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে:
অনুচ্ছেদ-৩৬: ১. আদিবাসী জনগোষ্ঠীর, বিশেষত যারা আন্তর্জাতিক সীমানা দ্বারা বিভক্ত হয়েছে তারা অন্য প্রান্তের নিজস্ব জনগোষ্ঠী তথা অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংক্রান্ত কার্যক্রমসহ যোগাযোগ, সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় রাখার ও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে।
যদিও ৪৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের অখ-তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, আদিবাসীর দাবি এমন একটা জনগোষ্ঠী থেকে উচ্চারিত হচ্ছে, যারা প্রায় ৫০ বছর ধরে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। কৌশলগত কারণে তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা যতোটা উচ্চকিত করে স্বাধীনতার কথা ততোটা নয়। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষই রাষ্ট্রবিরোধী এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়।
তাই আজকের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, মিয়ানমার ও ভারতের সেভেন সিস্টার্সের দিকে তাকিয়ে আদিবাসী ইস্যুটি আইএলও কনভেনশন-১৬৯ ও আদিবাসী বিষয়ক জাতিসংঘ চার্টারের ভিত্তিতে এ অঞ্চলকে ঘিরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা পরিকল্পনা ও নীলনকশাগুলো বিচার করি, তাহলে বুঝতে পারবো, এটি কোনো মামুলি শ্রুতিমধুর শব্দের স্বীকৃতির দাবি নয়। এর পেছনে নানা অভিসন্ধি রয়েছে, যা আঞ্চলিক সমস্যায় রূপ নেবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন ফেনমেননা কুকি-চিন। এই কুকি-চিন জাতিভুক্ত ৬টি জনগোষ্ঠীর ৭৬ হাজার মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯টি উপজেলা অর্থাৎ প্রায় ৫৬% ভূমিতে তাদের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০২২ সাল থেকে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছে। কিন্তু এদের মূলজনগোষ্ঠী রয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড প্রভৃতি এবং মিয়ানমারের চিন, রাখাইন ও অন্যান্য রাজ্যে। কুকিদের দাবি মোট ৫০টি জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৩ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী সেখানে বসবাস করে। তারা ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত হলেও নৃতাত্ত্বিকভাবে একই জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন তাদের পূর্বের কল্পিত রাষ্ট্র ‘গ্রেটার কুকিল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে কুকি জাতীয়তাবাদের পুনর্জাগরণ ঘটাতে তৎপর। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও সেভেন সিস্টার্সের কুকি অধ্যুষিত রাজ্যগুলোর সাম্প্রতিক বিদ্রোহ ও সহিংসতাকে উক্ত ধারণার ভিত্তিতে বিবেচনা করলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
অন্যদিকে জুম্ম জাতীয়তাবাদের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি মূলত চাকমা অধ্যুষিত। এ ছাড়াও তাদের সাথে মারমা, ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গা প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর একটি অংশ সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী চাকমা, সেভেন সিস্টার্সের মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম ও অরুণাচলে বিস্তৃত হয়ে বসবাস করছে। মিয়ানমারের আরাকানে চাকমাদের একটি অংশ রয়েছে। সেখানে তারা সাংমা নামে পরিচিত। অনেকের মতে, মিয়ানমারই চাকমাদের আদি নিবাস। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মারমাদের আদিনিবাস মিয়ানমার। সেখানে তাদের বৃহৎ অংশ এখনো বসবাস করে। ত্রিপুরাদের আদি নিবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এভাবে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল উপজাতিদের আদিনিবাস ভারত ও মিয়ানমার। কিন্তু এসব উপজাতিরা বাংলাদেশে আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করলেও ভারত ও মিয়ানমারে তারা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃত নয় এবং তারা সেখানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তাদের জোরালো কোনো আন্দোলন পরিলক্ষিত হয় না।
কুকি জনগোষ্ঠী ভারতের মনিপুরে বর্তমানে যে আন্দোলন করছে তা তাদের প্রাপ্য তফসিলি বা ট্রাইবাল স্টাট্যাস এককভাবে সংরক্ষণের জন্য। তারা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি জনগোষ্ঠীকে ট্রাইবাল বা তফসিলি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিরোধিতা করছে। অর্থাৎ কুকিরা সেখানে আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করছে না। এখন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ১৩টি উপজাতি যদি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি আদায় করে নিতে সক্ষম হয় তাহলে তাদের জনগোষ্ঠী মূল অংশ বসবাসকারী ভারত ও মিয়ানমারেও তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হবে। তখন তারা এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরু করবে এবং আন্তর্জাতিক মহলও চাপ সৃষ্টির সুযোগ পাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে তাদের খ-িত অংশ যদি আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তাহলে ভারতের সমগ্র সেভেন স্টিস্টার্স রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা এবং মিয়ানমারের বিপুল এলাকা আদিবাসী ল্যান্ড স্বীকৃতি পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। একই সাথে সীমান্তের উভয়পাড়ের অভিন্ন জনগোষ্ঠী যদি অভিন্ন রাজনৈতিক, অভিন্ন সরকার কাঠামো গঠন কিংবা স্বাধীনতার দাবি তোলে তা আঞ্চলিক সমস্যায় রূপ নেবে। ইতিহাসে দেখা যায়, আলোচিত অঞ্চলে একটি ক্রিশ্চিয়ান বাফার স্টেট সৃষ্টির জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা পশ্চিমা পৃথিবীতে সক্রিয় রয়েছে। এই সকল পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ক্রাউন কলোনী, গ্রেটার কুকিল্যান্ড ও নিউ জেরুজালেম প্রভৃতি। আদিবাসী তত্ত্বের মাধ্যমে বা এ অঞ্চলে আদিবাসী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে।
বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবিতে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ ও অর্থায়নের বিষয়টি দেশবাসীর মাঝে উক্ত পরিকল্পনার প্রামাণ্য দলিল হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের একার পক্ষে এই চাপ উপেক্ষা করা সহজসাধ্য নয়। তাই বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি এবং এ দাবি আদায়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপ ও তাদের গোপন অভিসন্ধির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার সরকারের দৃষ্টিগোচর করতে পারে। তাদের বোঝাতে পারে যে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উল্লিখিত অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ বিশেষভাবে ভূমিকা রাখতে পারবে, যা ৪২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। পূর্ব তিমুর, দক্ষিণ সুদান স্বাধীনকরণে জাতিসংঘের ভূমিকা বিশ্বের দেশপ্রেমিক জনগণকে আতঙ্কিত করেছে। অধুনা পশ্চিম পাপুয়া নিউগিনিতেও জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের উপজাতিদের আদিবাসী স্বীকৃতি শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, বরং এটা একই সাথে ভারত ও মিয়ানমারের সমস্যা এবং আঞ্চলিক শিরপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে যদি বাংলাদেশ সরকার ভারত ও মিয়ানমার সরকারের সাথে মিলে সমন্বিত পরিকল্পনা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে এই আদিবাসী স্বীকৃতি নামক রাষ্ট্রঘাতী ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা সহজতর হবে। এছাড়াও আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে এ অঞ্চলে পশ্চিমা মদদপুষ্ট কোনো রাষ্ট্র যদি গঠিত হয়, তাহলে তার অন্যতম লক্ষ্য হবে এ অঞ্চলে চায়নার স্বার্থ ও প্রভাবকে নিষ্ক্রিয় করা, যাতে অরুণাচল সীমান্ত পর্যন্ত পশ্চিমা সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে। তাই এই নীলনকশা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি চায়নাকেও সহযোগী হিসেব পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারে।
অন্যদিকে বিশ্বরাজনীতিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়ন। এই কৌশলে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে পাশে পেতে অত্যন্ত আগ্রহী সেটা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এবং মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে। স্বাধীনতার পরে এই দেশে ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র কখনো এতোটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের এই জনপ্রিয়তা অক্ষুণœ রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ইন্ধনে আদিবাসী স্বীকৃতির আড়ালে ‘ক্রাউন কলোনী’ সৃষ্টি বা অন্য কোনো নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা এই জনপ্রিয়তায় ধস নামাতে পারে। বরং স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় অখ-তা বিরোধী তৎপরতার কোনো ধরনের আশঙ্কা বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে, যাতে লাভবান হতে পারে প্রতিপক্ষ। সে কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে এই দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করতে পারে, তাতে অতীতে কোনোকালে যদি এ অঞ্চলে ক্রাউন কলোনী প্রতিষ্ঠার পশ্চিমা কোনো পরিকল্পনা থেকেও থাকে তা থেকে সরে গিয়ে একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে। কেননা, এ অঞ্চলে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ইন্দো-প্যাসিফিক লক্ষ্য অর্জনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এদেশের মানুষ কোনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আধিপত্য বিস্তারের মল্লভূমিতে বাংলাদেশকে পরিণত করতে দিতে চায় না।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন ভারতের ভূ-রাজনীতি দেখতে চায় না দেশ প্রেমিক জনসাধারণ পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করা গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনাও এদেশীয় অর্থায়নেই সম্ভব ইনশাআল্লাহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা যথাযথ করতে পারলে এবং বাস্তবায়ন করলে দেশের উত্তারঞ্চল সোনালী সমৃদ্ধিতে আরো সমুজ্জল হবে ইনশাআল্লাহ
২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












