মন্তব্য কলাম
কাদিয়ানীদের মালিকানায় প্রাণ গ্রুপসহ বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলো দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে পথে বসানোর ষড়যন্ত্র করছে। অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। সরকারের আশু পদক্ষেপ কাম্য।
, ২৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১২ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বসিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে কাদিয়ানীদের প্রাণসহ দেশের কিছু বড় শিল্প গ্রুপ। দেশের অনেকগুলো খাতের লাখো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে এখন প্রাণের মতো বড় শিল্প গ্রুপের দখলদারিত্ব চলছে। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় সব পণ্য এখন প্রাণের পণ্য তালিকায়। খাদ্যপণ্যে ফেরিওয়ালা থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টের খাবার প্রাণের প্যাকেটে। এমনকি মাছের বাজারেও এখন প্রাণের বিনিয়োগ রয়েছে। এর ফলে বড় শিল্প গ্রুপের বিনিয়োগের প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ছোট খাতগুলোয় বড় শিল্প গ্রুপের আগ্রাসী বিনিয়োগ নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, বাজারে প্রাণ গ্রুপটির প্রায় ৬০ হাজার পণ্য রয়েছে। গত কয়েক বছরে তাদের ব্যবসার পরিধি আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। শুধু খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই নতুন পণ্য দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০০টি। প্রাণের বেকারি ব্র্যান্ড অলটাইমের কারণে বিপাকে পড়েছে বেকারি খাত। প্রায় ৫০-এর অধিক পণ্য রয়েছে এই ব্র্যান্ডের। যার মধ্যে নানা ধরনের বিস্কুট, রুটি, কেকসহ বিভিন্ন রকমের বেকারি পণ্য। পাড়া-মহল্লায় যেসব বেকারি রয়েছে, তাদের এখন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। প্রাণের কারণে সেসব উদ্যোক্তারা ব্যবসা ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোই দেশের ভবিষ্যৎ। এই ক্ষুদ্র শিল্পগুলোই দেশের বড় শিল্পগুলোকে এগিয়ে নিতে সহযোগীতা করে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ৭২ লাখ শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯০ শতাংশ এসএমই খাতের। কৃষি খাতের বাইরে থাকা শ্রমশক্তির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের কর্মসংস্থান হয়েছে এ খাতে। বাংলাদেশের মোট দেশজ আয়ের ২৫ ভাগ আসছে এসএমই খাতের হাত ধরে। উৎপাদন খাতের ৪০ শতাংশ অবদান এসএমই খাতে। ক্ষুদ্র শিল্প খাতে চলতি অর্থবছর ৭ দশমিক ০২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের অর্থবছর এ খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এবার সার্বিক শিল্প খাতে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরমধ্যে মধ্যম ও বৃহৎ শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ দেশের প্রবৃদ্ধির পেছনে একটি বিশাল অবদান রয়েছে এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের।
অথচ ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও পর্যাপ্ত পুঁজির অভাবে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত প্রত্যাশিত হারে বিকশিত হতে পারছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে ঋণের প্রবাহ তুলনামূলক কম। পর্যাপ্ত জামানতের অভাবে এ খাতের উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে পারছেন না। তাছাড়া শিল্প খাতে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে চাইছে না ব্যাংকগুলো। এর বাইরে অবকাঠামো সমস্যা ও নীতি সহায়তার অভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশ ঘটছে না। সেইসাথে সরকারের শিল্পখাতের সমস্ত প্রকার সহযোগীতা পৃষ্ঠপোষকতা সবই বৃহৎ শিল্প খাতমুখী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো প্রতি সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপই নেই।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাদিয়ানীর প্রাণ গ্রুপ বাংলাদেশের জনগণকে স্বাস্থ্যগতভাবে পঙ্গু করার জন্য তাদের খাদ্যসামগ্রীকে অপদ্রব্য প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে। ইদানিংকালে পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, চানাচুর, জুসসহ তাদের বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীতে টিকটিকি, লোহা, পিন, তেলাপোকা, মাছিসহ সুই পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। জুসসহ তাদের বিভিন্ন পানীয়তে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ঠাকুরগাওয়ে প্রাণের পানীয় খেয়ে মারাত্মকভাবে ২০ জন অসুস্থ হয়েছে। প্রাণ গ্রুপের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বহুদিনের। কিন্তু রহস্যজনককারণে মনিটরিং প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বিকার।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, কাদিয়ানীদের প্রাণ গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্ষতি করে গেলেও সরকার থেকে এই প্রাণ গ্রুপের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। উল্টো দেখা যাচ্ছে, কিছু প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দেশবিরোধী দালাল তাদেরকে উল্টো পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত তাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে।
প্রাণ-আরএফএল-এর উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানও ঠিক নেই। এমনকি তা জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ বিএসটিআই গুণগত মান বজায় রেখে পণ্য উৎপাদন করতে না পারায় যে ৩১ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের সিএম লাইসেন্স বাতিল করে, ওই তালিকায় প্রাণের ৮টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। প্রাণের কথিত কোমল পানীয়, জুস, মসলার গুণগত মান ঠিক নেই। এসব জনস্বাস্থ্যের জন্যও নিরাপদ নয়। প্রাণের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্য প্রশ্নবিদ্ধ। কিন্তু প্রচার-প্রসারে শীর্ষে রয়েছে কাদিয়ানিদের এ প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের সংবিধান মতে, সকল ধর্মের নাগরিকদের ধর্মপালনে স্বাধীনতা আছে, থাকবে। কিন্তু নিজ ধর্ম পরিচয় গোপন করে মানুষকে ইসলামের নামে ভিন্ন আরেকটি ধর্মের দিকে আহবান করার কোনো অধিকার নেই। বরং এধরনের কর্মকা- সুস্পষ্ট অসাংবিধানিক ও অন্যায়। মূলত এ অন্যায় কাজের জন্যই আমরা এদেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবী জানাই। যাতে সাধারণ মানুষ তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা লাভ করতে পারে। তারা যেহেতু নিজ পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেনা, বরাবরই ধোকার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ঈমান নষ্ট করে চলছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর হওয়া সময়ের দাবী। তাদের পণ্য গুলো আমাদের বয়কট করতে হবে মূলত এ জন্যই।
প্রসঙ্গত, কাদিয়ানী কোম্পানী প্রাণ, আর.এফ.এল এর বেশকিছু সিস্টার কনসার্ন রয়েছে।
প্রাণ, আর.এফ.এল এর কয়েকটি কমন সিস্টার কনসার্ন বা একই কোম্পানির মালিকানাধীন প্রোডাক্টগুলোর কিছু নাম এখানে দেয়া হলো-
১. অলটাইম (ফুড আইটেম)।
২. বিজলি (ইলেক্ট্রিক তার)।
৩. রংধনু (রঙ)।
৪. মিঠাই (মিস্টি)।
৫. টেস্টি ট্রিট (বেকারী আইটেম)।
৬. ক্লিক (ইলেক্ট্রিক প্রোডাক্ট)।
৭. Regal (ফার্নিচার)।
৮. Best Byu (প্লাস্টিক আইটেম)।
৯. কসমিক (দরজা)।
১০. সেরা (ওয়াটার ট্যাংক)।
১১. Shine (স্যানিটারি প্রোডাক্ট)।
১২. গুডলাক (ষ্টেশনারী-কলম, পেন্সিল, ইরেজার ইত্যাদি)।
১৩. Walker Footwear (জুতা)।
১৪. প্রাণ আপ (সফট ডিংক্স)।
১৫. প্রাণ জুস, প্রাণ ম্যাংগো জুস, প্রাণ লাচ্ছি, প্রাণ লিচি।
১৬. Play Time (খেলনা)।
উল্লেখ্য, ৫ই ডিসেম্বর ২০২০ ইং কাদিয়ানীদের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকীতে প্রাণ, আর.এফ.এল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা কাদিয়ানীদের পৃষ্ঠপোষক, অর্থায়নকারী। সুতরাং তাদের মালিকানাধীন প্রাণ, আর.এফ.এল গ্রুপের সকল পণ্য বয়কট করা মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।
প্রাণ, আর.এফ.এল কোম্পানীর বর্তমান সিইও জনাব আহসান খান চৌধুরীর পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে একটু না বললেই নয়। তিনি কোম্পানীটির মালিক মেজর (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর পুত্র এবং নাটোরের প্রসিদ্ধ 'খানবাহাদুর' বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও কাদিয়ানী ধর্মমতের অনুসারী আবুল হাশেম খান চৌধুরীর প্রো-প্রৌত্র। মেজর আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর উত্তরবঙ্গের নাটোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন, মারা যান ৮ জুলাই ২০১৫ সালে (বয়স ৭৫) আমেরিকায়। তার পিতার নাম ছিল আলী কাশেম খান চৌধুরী, দাদার নাম ছিল খান বাহাদুর আবুল হাশেম চৌধুরী, যিনি ১৯১৫ সালের জানুয়ারী মাসে ভারতের 'কাদিয়ান' (গুরুদাসপুর, পাঞ্জাব) গিয়ে কাদিয়ানী ধর্মমত গ্রহণ করে আসেন। প্রথম যখন ১৯১৩ সালে এই পূর্ব বাংলায় (বর্তমান-বাংলাদেশ) কাদিয়ানী জামাতের গোড়াপত্তন হয় তখন সেটির প্রধান (প্রেসিডেন্ট) নির্বাচিত হন বি-বাড়ীয়ার কথিত পীর সৈয়দ আব্দুল ওয়াহেদ (মৃত. ১৯২৬ খ্রি.) (সময়কাল ১৯১৩-১৯২৬), আর জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হন এ্যাড. মুন্সি দৌলত আহমদ খাঁ। পীর আব্দুল ওয়াহেদের মৃত্যুর পর পূর্ব বাংলার কাদিয়ানীদের প্রধান নিযুক্ত হন প্রফেসর আব্দুল লতিফ (সময়কাল ১৯২৬-১৯৩১), তারপর হেকিম আবু তাহের মাহমুদ আহমদ [মৃত্যু ০৭-০৯-১৯৩৭] (সময়কাল ১৯৩১-১৯৩৪)। তারপর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন খান বাহাদুর আবুল হাশেম খান চৌধুরী [মৃত্যু ১৭-০৬-১৯৪৬] (সময়কাল ১৯৩৪-১৯৪০)।
বলে রাখা দরকার যে, আবুল হাশেম খান চৌধুরী কাদিয়ানী হওয়ার পর পীর সৈয়দ আব্দুল ওয়াহেদের মেয়ে 'হোসনে আক্রার বানু'-কে বিয়ে করেন, যিনি ছিলেন মেজর আমজাদ খান চৌধুরীর দাদী, আর বর্তমান কাদিয়ানী ন্যাশনাল আমীর আব্দুল আউয়াল খান চৌধুরীর নানী।
ekattor.org সাইটে সাংবাদিক রুদ্র সাইফুল প্রাণ, আর.এফ.এল কোম্পানীর ইতিহাস নিয়ে লিখেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে পাকিস্তানে আটকে পড়া সাড়ে ৪ লাখ বাঙালির সাথে দেশে ফিরে ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকে পড়া সেনা কর্মকর্তা’ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন আমজাদ খান চৌধুরী। জেনারেল শফিউল্লাহ ও জিয়ার সহযোগিতায় তিনি সেনাবাহিনীতে পদোন্নতি পেয়ে মেজর জেনারেল পর্যন্ত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে বগুড়া ক্যান্টনমেন্টের জমি অধিগ্রহণের টাকা চুরির অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর পেয়ে সেই চুরির টাকায় ব্যবসায় নামেন তিনি। অবসরের পর ১৯৮১ সালে সেই চুরির টাকায় গড়ে তোলেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আর.এফ.এল)। ১৯৮৫ সালে গড়ে তোলেন এগ্রিকালচার মার্কেটিং কোম্পানি যার ব্র্যান্ড নাম প্রাণ।আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার যুদ্ধাপরাধী পরিচয়কে আড়াল করে তার ব্যবসায়ী পরিচয় সামনে রেখে গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পরিবেশন করা হয়।
প্রাণ, আর.এফ.এল কোম্পানী হচ্ছে বাংলাদেশের কাদিয়ানী জামাতের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ডোনার (DONOR)। তাই এখন মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে 'আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত'-এর উপর অবিচল থেকে, ইসলামের দুশমন, মুদা'ঈয়ে নবুওয়ত এবং কাট্টা কাফির ও কাজ্জাব মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর প্রতি অবিরত ঘৃণা প্রকাশার্থে কাদিয়ানীদের পণ্য সমূহ বয়কট করা। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, যেমন- যে যার সাথে সম্পর্ক রাখে, হাশর-নাশর তার সাথে হবে। (নাউযুবিল্লাহ)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ৪০ ট্রিলিয়ন ডলার। সুবিশাল এই বাজারে প্রবেশে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। মান নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নত পণ্য ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশও এই সুবিশাল বাজার ধরতে পারে সরকারের উচিত- হালাল পণ্য উৎপাদন রফতানিতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা এবং মুসলিম বিশ্বের বাজার ধরতে কুটনৈতিক তৎপরতা চালানো।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চিকিৎসকের ভুল নির্ধারণ এবং শাস্তি প্রয়োগে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণই ব্যর্থ তন্ত্র-মন্ত্রের ভাবধারায় আইন প্রণয়ন যেমন সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ হয়নি তেমনি প্রয়োগও স্বচ্ছ হয় না কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই রোগী-চিকিৎসক সুসম্পর্ক এবং উত্তম চিকিৎসা সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শতবর্ষ আগের ঐতিহ্যবাহী হেজাজ রেলওয়ে এখনও টিকে আছে জর্ডানে বিশ্বের মুসলমানদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ‘দ্য হেজাজ রেলওয়ে’ নামে এই রেলপথ হেজাজ রেলওয়ে পূণর্জ্জীবিত করলে এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বকে এক সূতায় বাধা সম্ভব সম্ভব মুসলিম বিশ্বের নিজস্ব বাণিজ্য, অর্থনীতি, সমরনীতি সমৃদ্ধ করে নতুন সোনালী অধ্যায়ের সূচনা ইনশাআল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাগরের বুকে তৈরি হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ অনেক বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের আয়তন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললে বাংলাদেশ এত বড় হতে পারে যে বর্তমান ৪০ থেকে ৫০ কোটি জনসংখ্যার পরও বাংলাদেশেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাজের জন্য লোক আসবে ইনশাআল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৯০ হাজার হরিণ থাকার কথা যে নিঝুম দ্বীপে প্রতিকূল পরিবেশে সে দ্বীপে এখন হরিণ সংখ্যা মাত্র ৫ হাজার কিন্তু নারিকেল দ্বীপের কুকুর প্রেমীরা এক্ষেত্রে নির্বিকার ভয়াবহ বায়ু দূষণসহ নানা দূষণে ৩ কোটি লোকের ঢাকা বসবাসের জন্য চরম ঝুকিপূর্ণ কিন্তু তথাকথিত পরিবেশবাদীরা নিশ্চুপ! ওরা মূলত: পশু প্রেমী না শুধুই কুকুর প্রেমী, পরিবেশবাদী না শুধুই নারিকেল দ্বীপ ষড়যন্ত্রী!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বাংলাদেশীদের টাকায় খেয়ে পড়ে বাঁচে যে কলকাতা তারাই দিলো- বাংলাদেশীদের চিকিৎসা না করার ভাওতাবাজি ঘোষণা গণমাধ্যমে এসেছে ও আসছে বাংলাদেশীরা না যাওয়ায় সব সেক্টরে ওদের মরনাপন্ন অবস্থা প্রতিবছর ভারতের মেডিক্যাল টুরিজম প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারণার কবলে পড়ে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ওরা লুটে নেয় ১০ হাজার কোটি টাকা ভারতের দোসর সরকারের পতনের পর এ বিষয়ে দেশবাসীসহ সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)