কাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা উচিত?
, ৩০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২১ ছানী ‘আশার, ১৩৯০ শামসী সন , ২১ মে, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ ربهم بِالْغَدَاةِ وَ الْعَشِىِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَه.
অর্থ মুবারক: আপনি নিজেকে ঐ সকল ব্যক্তি উনাদের ছোহবত বা সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন, যারা সকাল-সন্ধ্যায় উনাদের রব তা’য়ালা উনাকে ডাকেন, উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য। (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-২৮)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবূ জুহাইফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, অভিজ্ঞদের জিজ্ঞাসা করো, আলিমদের সাথে মুহব্বত রাখো এবং বৃদ্ধদের সাথে উঠাবসা করো। (কানযুল উম্মাল, হাকীম)
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নবী ও রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ওহী মুবারক করেছিলেন যে, “হে আমার সম্মানিত নবী ও রসূল আলাইহিস সালাম! কয়েক প্রকার লোকের ছোহবত ইখতিয়ার করলে কয়েক প্রকার তাছীর পয়দা হয়ে থাকে। যেমন-
১. হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করলে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফত পয়দা হয় এবং দুনিয়া বা গাইরুল্লাহর মুহব্বত দূর হয়।
২. যাহিরী আলিমদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে ইলিম অর্জন হয় কিন্তু হাক্বীক্বতে পৌঁছা যায় না। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মা’রিফত মুবারক হাসিল করা সম্ভব হয় না।
৩. হাকীম বা অভিজ্ঞদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে প্রত্যেক বিষয়ে চূড়ান্ত ফায়সালা পাওয়া যায়।
৪. বৃদ্ধদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং দুনিয়াবী অভিজ্ঞতা পয়দা হয়।
৫. রাজা-বাদশাহদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে অহংকার পয়দা হয়।
৬. আমীর-উমরাহদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে দুনিয়ার প্রতি আসক্তি পয়দা হয়।
৭. সম্পদশালীদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে ধন-সম্পদের প্রতি লোভ বৃদ্ধি পায়।
৮. স্ত্রীলোকদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে কামভাব বৃদ্ধি হয়।
৯. বাচ্চাদের বা শিশুদের ছোহবত ইখতিয়ার করলে খেল-তামাশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি হয়।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করা সমস্ত ছোহবত থেকে সর্বোত্তম। কেননা এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মারিফত মুবারক হাছিল হয় অর্থাৎ হাক্বীক্বতের চূড়ান্ত সোপানে পৌঁছা সম্ভব। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত মুবারক লাযেম আবশ্যক করে নেওয়ার তাওফিক দান করেন। (আমীন)
-আহমদ বিনতে আলী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মেহমানদারী করার মাধ্যমে উদযাপনে শাফায়াত মুবারক লাভ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












